বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় সাতটি দেশি বন্দুক ও ২০ রাউন্ড গুলি, ল্যাপটপ, ইউনিফর্ম – বুটসহ কেএনএফে’র সক্রিয় আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী যৌথবাহিনী।
আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। তবে বিজ্ঞপ্তিতে আটককৃতদের নাম ঠিকানা দেয়া হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার বেথেল পাড়ায় যৌথ বাহিনীর তল্লাশী অভিযানে দুইজন সক্রিয় কেএনএফ সদস্য আটক, ৭টি দেশী বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, ল্যাপটপ, ইউনিফর্ম ও বুট উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে, বান্দরবানে থানচি সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির দলের এক নারী ও গাড়ি চালকসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত গাড়িও জব্দ করেছে থানচি থানা পুলিশ।
উল্লেখ, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) শতাধিক কেএনএফ সদস্য রাত ৮- ৯টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী উপজেলা ভবন, সোনালী ব্যাংক ভবন ও উপজেলা মসজিদে থাকা লোকজনকে অস্ত্র ঠেকিয়ে সোনালী ব্যাংকে একযোগে এই হামলা চালায়। সোনালী ব্যাংকে ভল্টে থাকা টাকা লুট করার চেষ্টা করেন তারা। এসময় পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীর ব্যবহৃত ৮টি চাইনিজ রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৩৮০ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সেইসঙ্গে ওই শাখার ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। দুইদিন পর গত বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিনকে রুমা বেথেল পাড়া থেকে উদ্ধার করে র্যাব।
রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ১৫ ঘন্টা পর থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা লুট করে নিয়ে যায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। ওই দিনেই রাত ৮ থেকে থানচি বাজার ও থানার সামনে কেএনএফ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ঘন্টাব্যাপী গোলাগুলি চলে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।























