মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জামছড়ি, বাইশফাড়ি ও রেজুপাড়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠির সাথে তীব্র সংঘর্ষ চলাকালে বিজিপি সদস্যরা প্রাণ রক্ষায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। এই পর্যন্ত প্রায় দুইশত বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদে আশ্রয় দেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনীর সদস্যরা সংঘাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বিজিপি সদস্যরা। গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবার ব্যাপক সংঘর্ষ হওয়ায় সরকারি জান্তা বাহিনীর সদস্যরা প্রাণভয়ে বাংলাদেশে চলে আসছেন।
বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পালিয়ে আসা মিয়ানমার বিজিপির ১৩ সদস্যকে নিরস্ত্র করে বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ১১ মার্চ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিজিপির ১৭৯ সদস্যকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ১১ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন বর্ডার গার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার জান্তা বাহিনী বিদ্রোহীদের দমনে ব্যাপক অভিযান শুরু করলে, বিদ্রোহীরা মারমুখী হয়ে আক্রমণ অব্যাহত রাখায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়ায় বিজিপি সদস্যরা প্রাণ রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সীমান্তে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন একের পর এক করে।
























