১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানছে না জামালপুর-১ আসনের এমপির ছোট ভাই

বড় ভাই জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য। সেই সুবাদে পরিচিতি পেয়েছেন নজরুল ইসলাম সাত্তার৷ জেলার নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানও তিনি। এবার উপজেলা নির্বাচন যেনো তাকে অদৃশ্য কোনো মোহের ইশারা দিচ্ছে।

 

 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ফলে দলটির হাইকমান্ডের নির্দেশ কোনো সংসদ সদস্য বা মন্ত্রীদের আত্মীয়রা ভোটের মাঠে লড়তে পারবেন না। এজন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেশ কয়েকবার এ বিষয়ে তৃণমূলকে সতর্ক করেছেন। একই সঙ্গে যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের এই মুখপাত্র।

 

দলের উচ্চ পর্যায়ের কড়া সিদ্ধান্তেও গুরুত্ব নেই বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম সাত্তারের। নানা অভিযোগে অভিযুক্ত এই নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার লালসায় এরইমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের পদ ছেড়েছেন।

 

জানা যায়, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে না যেতে তার আপন ভাই জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদও তাকে নিষেধ করেছেন। ভাইকে থামাতে না পেরে অনেকটাই অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন এমপি নূর মোহাম্মদ।

অসহায় হয়ে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমার কথা শোনে না। আমি কি করবো! আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এটা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি৷’ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম সাত্তার বলেন, ‘আমি দলের কোনো পদে নাই। আমার সংসার আলাদা। আমি আর কিছু বলতে চাই না।’

অভিযোগ আছে, দলের পদে না থাকলেও দলীয় লোকজনকে ঠিকই ব্যবহার করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সহ-সভাপতি। সরজমিনে দেখা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে লড়তে এরইমধ্যে তিনি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশকে৷ বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত ও অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে নিয়েই ভোটের যুদ্ধে নেমেছেন সাত্তার। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে বহিষ্কৃত ছাত্রনেতা সজল, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ছাইদুর রহমান লাল ও তার মদদদাতা নজরুল ইসলাম ইদুর নাম।

 

উপজেলা ছাত্রলীগের যে অংশ সাত্তারকে সমর্থন করছে, তারাও আবার আসন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ না দেয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক প্রচারণায় অংশ নিতে বাধ্য করছেন সাধারণ ছাত্রলীগ কর্মীদের। এই কর্মকান্ডে সামনে থেকে ইন্ধন যোগাচ্ছে উপজেলা ছাত্রলীগ এর আহ্বায়ক রাজন মিয়া ও সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ শাখার আহ্বায়ক আরিফ।

এদিকে নির্বাচনে মাঠে থাকলেও কোনঠাসা অন্যান্য প্রার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী বলেন, জননেতা ও জনদরদী এমপি নূর মোহাম্মদের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এই সাত্তারই যথেষ্ট। সকলে বকশীগঞ্জকে সাত্তার সহ অন্যান্য অনৈতিক কাজে লিপ্ত নেতাদের থেকে মুক্তি চায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানছে না জামালপুর-১ আসনের এমপির ছোট ভাই

আপডেট সময় : ০৭:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

বড় ভাই জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য। সেই সুবাদে পরিচিতি পেয়েছেন নজরুল ইসলাম সাত্তার৷ জেলার নীলাক্ষিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানও তিনি। এবার উপজেলা নির্বাচন যেনো তাকে অদৃশ্য কোনো মোহের ইশারা দিচ্ছে।

 

 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ফলে দলটির হাইকমান্ডের নির্দেশ কোনো সংসদ সদস্য বা মন্ত্রীদের আত্মীয়রা ভোটের মাঠে লড়তে পারবেন না। এজন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বেশ কয়েকবার এ বিষয়ে তৃণমূলকে সতর্ক করেছেন। একই সঙ্গে যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের এই মুখপাত্র।

 

দলের উচ্চ পর্যায়ের কড়া সিদ্ধান্তেও গুরুত্ব নেই বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম সাত্তারের। নানা অভিযোগে অভিযুক্ত এই নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার লালসায় এরইমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের পদ ছেড়েছেন।

 

জানা যায়, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে না যেতে তার আপন ভাই জামালপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদও তাকে নিষেধ করেছেন। ভাইকে থামাতে না পেরে অনেকটাই অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন এমপি নূর মোহাম্মদ।

অসহায় হয়ে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমার কথা শোনে না। আমি কি করবো! আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এটা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি৷’ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম সাত্তার বলেন, ‘আমি দলের কোনো পদে নাই। আমার সংসার আলাদা। আমি আর কিছু বলতে চাই না।’

অভিযোগ আছে, দলের পদে না থাকলেও দলীয় লোকজনকে ঠিকই ব্যবহার করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সহ-সভাপতি। সরজমিনে দেখা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে লড়তে এরইমধ্যে তিনি নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের একাংশকে৷ বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত ও অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে নিয়েই ভোটের যুদ্ধে নেমেছেন সাত্তার। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে বহিষ্কৃত ছাত্রনেতা সজল, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ছাইদুর রহমান লাল ও তার মদদদাতা নজরুল ইসলাম ইদুর নাম।

 

উপজেলা ছাত্রলীগের যে অংশ সাত্তারকে সমর্থন করছে, তারাও আবার আসন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ না দেয়ার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক প্রচারণায় অংশ নিতে বাধ্য করছেন সাধারণ ছাত্রলীগ কর্মীদের। এই কর্মকান্ডে সামনে থেকে ইন্ধন যোগাচ্ছে উপজেলা ছাত্রলীগ এর আহ্বায়ক রাজন মিয়া ও সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ শাখার আহ্বায়ক আরিফ।

এদিকে নির্বাচনে মাঠে থাকলেও কোনঠাসা অন্যান্য প্রার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী বলেন, জননেতা ও জনদরদী এমপি নূর মোহাম্মদের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য এই সাত্তারই যথেষ্ট। সকলে বকশীগঞ্জকে সাত্তার সহ অন্যান্য অনৈতিক কাজে লিপ্ত নেতাদের থেকে মুক্তি চায়।