০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদারীপুরে নির্বাচনে আচরণ বিধি লংঘনসহ নানা অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে

মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনসহ হুমকি ধামকির অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আসিবুর রহমান খান। রবিবার (5 মে) দুপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন আসিবুর রহমান খান।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক ও তার ভাই বজলুর রহমান খান মন্টু, ভাতিজা রুবেল খান, ভাগিনা মস্তফা কামালী ও তার সহকর্মীরা বিভিন্ন সভা সমাবেশে আমার পরিবার সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট, অশালীন, সম্মান হানিকর ও শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য দিচ্ছেন। যার কারণে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ ও ভীত সন্ত্রাস্ত্র সৃষ্টি হয়েছে।

 

তিনি আরো বলেন, শফিক খানের সমর্থকরা আমার সভা সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, নেতা কর্মীদের এবং হিন্দু ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, টাকার প্রলোভন, এমনকি আমাদের কর্মীদের শারীরিক নির্যাতন ও কোপানো হয়েছে। পোষ্টার ছেড়া, সুতলি দিয়ে টানানো পোষ্টারের সুতা ছিড়ে পোষ্টার ফেলে দেয়া এবং দুইজন সরকারি কর্মচারী শফিক খানের মোটর সাইকেল প্রতিকের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেয়া ইত্যাদি। তারা প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘণ করে চলেছে। এছাড়াও ধুরাইলে শাজাহান মাতুব্বর-কে সভায় আসতে বাধা প্রদান ও ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। এছাড়াও ছিলারচরে চেয়ারম্যান তৌফিক আকন জনসম্মুখে আনারস প্রতীকের পক্ষে কাজ না করার জন্য হুমকি প্রদান করেন।

 

সংবাদ সম্মেলন আসিব খান আরো বলেন, গত ২৮ এপ্রিল আমার খালা টিউলিপ আক্তার বিথি, মামি সঞ্চিতা আক্তার মিতু ও ইউপি সদস্য লাইজু আক্তার কে হুমকি তাদেরকে গাড়ি ভাংচুর সহ তার ‘গানম্যান’ বলে পরিচিত একজনের হাতে থাকা পিস্তুল উচিয়ে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয় তৌফিক আকন।

 

 

তিনি আরো জানান, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, সদর উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেমায়েত হোসেন ও শরীয়তপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিশ্বজিৎ বৈদ্য সরকারি চাকরি ও গাড়ি ব্যবহার করে শফিক খানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে অংশ নিচ্ছে যা আচরণ বিধি লংঘন।

 

 

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এজাজুর রহমান আকনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

 

 

মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ আলী জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে অবশ্যই আমরা সেটা দেখবো। আর এখন পর্যন্ত যা আসছে তা আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শাজাহান খান নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ সহ ১৫টি অভিযোগের কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা আজ পযর্ন্ত নেয় নি প্রশাসন।

মাদারীপুরে নির্বাচনে আচরণ বিধি লংঘনসহ নানা অভিযোগ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০৮:১২:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনসহ হুমকি ধামকির অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আসিবুর রহমান খান। রবিবার (5 মে) দুপুরে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন আসিবুর রহমান খান।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক ও তার ভাই বজলুর রহমান খান মন্টু, ভাতিজা রুবেল খান, ভাগিনা মস্তফা কামালী ও তার সহকর্মীরা বিভিন্ন সভা সমাবেশে আমার পরিবার সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট, অশালীন, সম্মান হানিকর ও শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য দিচ্ছেন। যার কারণে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ ও ভীত সন্ত্রাস্ত্র সৃষ্টি হয়েছে।

 

তিনি আরো বলেন, শফিক খানের সমর্থকরা আমার সভা সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, নেতা কর্মীদের এবং হিন্দু ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, টাকার প্রলোভন, এমনকি আমাদের কর্মীদের শারীরিক নির্যাতন ও কোপানো হয়েছে। পোষ্টার ছেড়া, সুতলি দিয়ে টানানো পোষ্টারের সুতা ছিড়ে পোষ্টার ফেলে দেয়া এবং দুইজন সরকারি কর্মচারী শফিক খানের মোটর সাইকেল প্রতিকের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেয়া ইত্যাদি। তারা প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘণ করে চলেছে। এছাড়াও ধুরাইলে শাজাহান মাতুব্বর-কে সভায় আসতে বাধা প্রদান ও ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। এছাড়াও ছিলারচরে চেয়ারম্যান তৌফিক আকন জনসম্মুখে আনারস প্রতীকের পক্ষে কাজ না করার জন্য হুমকি প্রদান করেন।

 

সংবাদ সম্মেলন আসিব খান আরো বলেন, গত ২৮ এপ্রিল আমার খালা টিউলিপ আক্তার বিথি, মামি সঞ্চিতা আক্তার মিতু ও ইউপি সদস্য লাইজু আক্তার কে হুমকি তাদেরকে গাড়ি ভাংচুর সহ তার ‘গানম্যান’ বলে পরিচিত একজনের হাতে থাকা পিস্তুল উচিয়ে আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয় তৌফিক আকন।

 

 

তিনি আরো জানান, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, সদর উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেমায়েত হোসেন ও শরীয়তপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিশ্বজিৎ বৈদ্য সরকারি চাকরি ও গাড়ি ব্যবহার করে শফিক খানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে অংশ নিচ্ছে যা আচরণ বিধি লংঘন।

 

 

সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এজাজুর রহমান আকনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

 

 

মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ আলী জানান, আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে অবশ্যই আমরা সেটা দেখবো। আর এখন পর্যন্ত যা আসছে তা আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শাজাহান খান নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ সহ ১৫টি অভিযোগের কোন দৃশ্যমান ব্যবস্থা আজ পযর্ন্ত নেয় নি প্রশাসন।