০৫:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই মালদ্বীপ ছাড়ল ভারতীয় সেনারা

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দাবির মুখে দেশটি থেকে ভারতের সব সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নয়াদিল্লি। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

 

গত বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারতীয় সেনাদের প্রথম এবং দ্বিতীয় ব্যাচ ভারতে ফিরে এসেছে। এই বিষয়ে আমরা বেশ কিছুদিন ধরে মালদ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। প্রথম এবং দ্বিতীয় ব্যাচের সেনারা এরইমধ্যে দেশে ফিরে এসেছে। তিনি আরও বলেন, সে দেশে অবস্থানরত সেনা সদস্যদের কাজ এখন থেকে করবেন ভারতীয় প্রযুক্তিবিদরা।

 

 

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্রও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ভারতীয় সব সেনা প্রত্যাহারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মালদ্বীপ সরকার ভারতকে ১০ মে’র মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। তার আগেই দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে সামরিক সদস্যদের সরিয়ে নিলো ভারত। এর আগে, গত সোমবার রাতে অর্ধেকের বেশি সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। দেশটিতে অবস্থান করছিল ৮০ জনের বেশি ভারতীয় সেনা।

 

গত বছর নির্বাচনী প্রচারে ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়ে বড় জয় পান মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। ভারতের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপের অভিযোগও তোলে মুইজ্জু সরকার। ক্ষমতায় এসেই নয়াদিল্লিকে দেশ থেকে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার বার্তা দেন তিনি। বর্তমানে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে দেশটি।

 

 

 

এদিকে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জমির ভারত সফর করেছেন। নির্বাচনের পর মালদ্বীপের কোনো মন্ত্রীর এটাই প্রথম ভারত সফর। গত বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার দেশের কয়েকজন মন্ত্রীর মন্তব্য কোনোভাবেই সরকারি মনোভাব ছিল না।

 

 

মুসা জমির বলেন, তাদের সরকার কখনো সাবেক মন্ত্রীদের ওই মন্তব্য সমর্থন করেনি। এমন অবাঞ্ছিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরকার দ্রুত যথোচিত ব্যবস্থাও নিয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ যাতে এমন না করেন, সে জন্য সরকার সচেষ্ট।

 

 

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সফররত মালদ্বীপের মন্ত্রীকে ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা’ জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে দৃঢ় করতে ও সেই লক্ষ্যে আগামী দিনের রূপরেখা তৈরিতে সাহায্য করবে। মালদ্বীপ ভারতের ঘনিষ্ঠ ও নিকটতম প্রতিবেশী। দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীলতা উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বৈঠক বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের দৃষ্টিভঙ্গির সামঞ্জস্য রক্ষায় সমর্থ হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই মালদ্বীপ ছাড়ল ভারতীয় সেনারা

আপডেট সময় : ০৭:৩১:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দাবির মুখে দেশটি থেকে ভারতের সব সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নয়াদিল্লি। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

 

গত বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারতীয় সেনাদের প্রথম এবং দ্বিতীয় ব্যাচ ভারতে ফিরে এসেছে। এই বিষয়ে আমরা বেশ কিছুদিন ধরে মালদ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। প্রথম এবং দ্বিতীয় ব্যাচের সেনারা এরইমধ্যে দেশে ফিরে এসেছে। তিনি আরও বলেন, সে দেশে অবস্থানরত সেনা সদস্যদের কাজ এখন থেকে করবেন ভারতীয় প্রযুক্তিবিদরা।

 

 

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্রও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ভারতীয় সব সেনা প্রত্যাহারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মালদ্বীপ সরকার ভারতকে ১০ মে’র মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। তার আগেই দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে সামরিক সদস্যদের সরিয়ে নিলো ভারত। এর আগে, গত সোমবার রাতে অর্ধেকের বেশি সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। দেশটিতে অবস্থান করছিল ৮০ জনের বেশি ভারতীয় সেনা।

 

গত বছর নির্বাচনী প্রচারে ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়ে বড় জয় পান মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। ভারতের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপের অভিযোগও তোলে মুইজ্জু সরকার। ক্ষমতায় এসেই নয়াদিল্লিকে দেশ থেকে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার বার্তা দেন তিনি। বর্তমানে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে দেশটি।

 

 

 

এদিকে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জমির ভারত সফর করেছেন। নির্বাচনের পর মালদ্বীপের কোনো মন্ত্রীর এটাই প্রথম ভারত সফর। গত বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার দেশের কয়েকজন মন্ত্রীর মন্তব্য কোনোভাবেই সরকারি মনোভাব ছিল না।

 

 

মুসা জমির বলেন, তাদের সরকার কখনো সাবেক মন্ত্রীদের ওই মন্তব্য সমর্থন করেনি। এমন অবাঞ্ছিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরকার দ্রুত যথোচিত ব্যবস্থাও নিয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ যাতে এমন না করেন, সে জন্য সরকার সচেষ্ট।

 

 

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে সফররত মালদ্বীপের মন্ত্রীকে ‘উষ্ণ অভ্যর্থনা’ জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে দৃঢ় করতে ও সেই লক্ষ্যে আগামী দিনের রূপরেখা তৈরিতে সাহায্য করবে। মালদ্বীপ ভারতের ঘনিষ্ঠ ও নিকটতম প্রতিবেশী। দুই দেশের সম্পর্কের ভিত্তি পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীলতা উল্লেখ করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বৈঠক বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশের দৃষ্টিভঙ্গির সামঞ্জস্য রক্ষায় সমর্থ হয়েছে।