০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে কচু চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক

তোমাকে দিয়ে কোন কচুই হবে না প্রবাদ থাকলেও মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ করে লক্ষ টাকার কাঠকচু বিক্রয়ের আশা করছেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কৃষক আজাদ মিয়া। পীরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের অনন্তরাম উচাপাড়া রেলগেট এলাকার আজাদ মিয়া চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। প্রচন্য রোদ উপেক্ষা সারি সারি কচু ক্ষেতের ভেতরে কাজ করছে তিনি। কৃষক আজাদ মিয়া বলেন, ১৮ শতাংশ জমিতে কাঠকচু চাষ করেছেন। জমি চাষ, চারা রোপন, সার-পানিসহ তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। নিজে পরিশ্রম করে জমি পরিচর্যা করছেন। এক মাস থেকেই কচুর লতা বিক্রয় করছেন। ইতিমধ্যে তিনি ২৫ হাজার টাকার কচুর লতা বিত্রয় করেছে। এখন কচুর গাছগুলো বড় হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কচু বিক্রয় করা যাবে। বাজারে প্রতিটি কাঠকচু ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রয় হতে পারে। সব মিলিয়ে লক্ষ টাকার কচু বিক্রয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আজাদ মিয়া বলেন, কাঠকচুতে অধিক লাভ। এলাকার অনেকে চাষ করে। পরিশ্রম না করলে ফল পাওয়া যায় না। পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ কাঠকচু সবজি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। কচু চাষে কৃষি বিভাগ তেমন পরামর্শ দেওয়া হয় না। পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে মুখীকচু, লতিকচু, ওলকচু, পানিকচু ও কাঠকচু চাষ করা হয়েছে। প্রতি বছরই কচুর চাষ বাড়ছে। কৃষকদের কচু চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তবে ভালো মানের বীজ হলে ভালো ফলন ও অধিক লাভ করা সম্ভব।

জনপ্রিয় সংবাদ

রংপুরে কচু চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক

আপডেট সময় : ০১:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

তোমাকে দিয়ে কোন কচুই হবে না প্রবাদ থাকলেও মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ করে লক্ষ টাকার কাঠকচু বিক্রয়ের আশা করছেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কৃষক আজাদ মিয়া। পীরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের অনন্তরাম উচাপাড়া রেলগেট এলাকার আজাদ মিয়া চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। প্রচন্য রোদ উপেক্ষা সারি সারি কচু ক্ষেতের ভেতরে কাজ করছে তিনি। কৃষক আজাদ মিয়া বলেন, ১৮ শতাংশ জমিতে কাঠকচু চাষ করেছেন। জমি চাষ, চারা রোপন, সার-পানিসহ তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। নিজে পরিশ্রম করে জমি পরিচর্যা করছেন। এক মাস থেকেই কচুর লতা বিক্রয় করছেন। ইতিমধ্যে তিনি ২৫ হাজার টাকার কচুর লতা বিত্রয় করেছে। এখন কচুর গাছগুলো বড় হয়েছে। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কচু বিক্রয় করা যাবে। বাজারে প্রতিটি কাঠকচু ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রয় হতে পারে। সব মিলিয়ে লক্ষ টাকার কচু বিক্রয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আজাদ মিয়া বলেন, কাঠকচুতে অধিক লাভ। এলাকার অনেকে চাষ করে। পরিশ্রম না করলে ফল পাওয়া যায় না। পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ কাঠকচু সবজি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। কচু চাষে কৃষি বিভাগ তেমন পরামর্শ দেওয়া হয় না। পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে মুখীকচু, লতিকচু, ওলকচু, পানিকচু ও কাঠকচু চাষ করা হয়েছে। প্রতি বছরই কচুর চাষ বাড়ছে। কৃষকদের কচু চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তবে ভালো মানের বীজ হলে ভালো ফলন ও অধিক লাভ করা সম্ভব।