কৃষি কি শুধু শ্রমনির্ভর ঐতিহ্য?
উম্মে কুলসুম পপি তার উত্তর দিয়েছেন এক নতুন পথের সৃজনশীলতা দিয়ে। তিনি
মাটি ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি করেছেন ‘এগ্রি-টেক’ নামে নতুন এক
সম্ভাবনার দিগন্ত।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী পপি আজ শুধুই উদ্যোক্তা
নন, তিনি বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লবের একজন অগ্রদূত।
শেকড়ের ভালোবাসা, প্রযুক্তির শক্তি
পপি লালমনিরহাটের মাটিতে বেড়ে ওঠা এক কৃষিপ্রেমী। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার
সময় তিনি বুঝতে পারেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষিকে আরও উন্নত করা
সম্ভব। চাকরি না করে নিজের উদ্যোগ শুরু করেন ‘এগ্রি-কোয়েস্ট’—এটি ছিল
তার জীবনের এক বড় সিদ্ধান্ত।
‘প্রিমিয়াম ফ্রুটস’ ও ‘বিডি অ্যাসিস্ট্যান্ট’
‘৯টা-৫টা’ নয়, ‘২৪/৭’ কৃষি বিপ্লব! পপি তার স্বামী আবু সাঈদ আল সাগরের
সাথে গড়ে তুলেছেন ‘প্রিমিয়াম ফ্রুটস’। তাদের ‘ইকোসিস্টেম ডোমিনেট’
কৌশলে কৃষকরা সরাসরি বিষমুক্ত ফল পাচ্ছেন, আর ‘বিডি অ্যাসিস্ট্যান্ট’
অ্যাপ কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে।
ডিজিটাল কৃষি বিপ্লব
পপি এখন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কৃষি শিক্ষার একজন ‘গ্লোবাল
মেন্টর’। তার ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে কৃষি সম্পর্কে শিক্ষণীয়
ভিডিওগুলি তরুণদের মধ্যে নতুন করে কৃষিতে আগ্রহ সৃষ্টি করছে। ‘পিক্সেল টু
প্ল্যান্ট’ তার এই ডিজিটাল বিপ্লবের অংশ।
এক নারীর সাহসী অভিযাত্রা
পপি নারীদের জন্য একটি শক্তিশালী উদাহরণ, যে সমাজের প্রচলিত বাধা অতিক্রম
করে কৃষিতে সফলতা অর্জন করেছেন। তার ‘নেভার গিভ আপ’ মনোভাব আজ তাকে একজন
আন্তর্জাতিক কৃষি-ইনফ্লুয়েন্সার বানিয়েছে।
ভবিষ্যতের কৃষি
পপি AI, রোবোটিক্স ও বায়োটেকনোলজি ব্যবহার করে কৃষিকে আরও স্মার্ট ও
টেকসই করতে চান। তার ‘ভিশন ২০৩০’ বাংলাদেশের কৃষিকে বিশ্বের সামনে তুলে
ধরবে।
তরুণদের জন্য বার্তা
পপির বার্তা—“মাটি ছুঁয়ো, স্বপ্ন বপন করো।” তিনি শুধু কৃষি উদ্যোক্তা
নন, তিনি বাংলাদেশের কৃষির নতুন দিগন্তের পথিকৃৎ।


























