২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মানুষের আশা-আকাঙক্ষার একটা প্রতিফলন বা প্রতিচ্ছবি থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। গতকাল রোববার দুপুরে সচিবালয়ে আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক ড. কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রামানিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আগামী বাজেটে কোন খাতে আপনার বা সরকারের প্রাধান্য থাকছে- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য অর্থনীতি অনট্র্যাকে ফিরিয়ে আনা। একই সঙ্গে নিত্যপণ্য যাতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে এগুলো নিশ্চিত করা। মানুষের জীবনযাত্রার মান এটাও যেন সীমার মধ্যে থাকে। সর্বোপরি মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার একটা প্রতিফলন বা প্রতিচ্ছবি দেখতে পাবেন আগামী বাজেটে। একই সঙ্গে সরকার যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিল, সেটার একটা রিফ্লেকশন (প্রতিফলন) দেখতে চাই।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক অসুবিধা আছে, সেগুলোতো ওভারকাম করতে হবে। আমরা আশা করবো আস্তে আস্তে এগুলো থাকবে না। মানে নির্বাচনী ইশতেহারে মানুষকে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেটার একটা প্রতিক্রিয়া থাকবে। কিন্তু অনেক বাধা আছে, সেটা অতিক্রম করতে হবে। এরই মধ্যে অনেকগুলোর কাজ হচ্ছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন দেশের অর্থনীতি দুর্যোগের মধ্যে পড়েছে- এটা কি আপনি স্বীকার করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন আমি বুঝলাম না। বিরুদ্ধে বললেই কি সে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল? আসলে তারা তো বিরোধীপক্ষের লোক। কিছুই হয়নি, সব নষ্ট হয়ে গেছে, এগুলো কী?
সরকারবিরোধী কথা বললেই কী তিনি বিরোধীপক্ষ হয়ে যাবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, না, তবে তার টোনটা দেখতে হবে। কেউ কিছু বললেই দেশের অর্থনীতি শেষ হয়ে যাবে? বাজেট দিতে গিয়ে কোন কোন জায়গায় চ্যালেঞ্জ আছে বলে আপনি মনে করেন- এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, চ্যালেঞ্জ তো অবশ্যই আছে। যেমন- মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ, রাজস্ব আদায়। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি আগে ছিল এখন আর নেই। আমরা সঠিক ট্র্যাকে আছি। তবে এখন আমরা ঋণখেলাপিদের ধরব।
আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানো হবে কি না- জানতে চাইলে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, এটা বাড়ানো হবে, দেখতে পারবেন বলে আশা করছি। এটা তো একটা প্রসেসের মধ্যে আছে। এটা তো বলা যাবে না।
বাজেট ব্যয় সংকোচনমূলক হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংকোচনমূলক তো এরই মধ্যে হয়েছে। ওটা পার হয়ে যাচ্ছি আমরা। সংকোচন থেকে আমরা ফেরত আসবো। কীভাবে এক্সপানশন (সম্প্রসারণ) করা যায় সেটাই চেষ্টা করছি। এই বাজেট থেকেই সেটি চেষ্টা করব।
ঋণখেলাপিদের তো খুব শক্তিশালী বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন কি না- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেখা যাক পারি কি না। সাবেক আইজিপি, আর্মি চিফ কি ধরা পড়েছে? আইজিপির সব সম্পত্তি ক্রোক করেছে। আইজিপির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং আর্মি চিফকে আমেরিকা স্যাংশন দিয়েছে। সেটা তো পাবলিকলি চলে এসেছে।


























