০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
"ইতালির প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি"

বাংলাদেশের শ্রমিকদের হাত ছাড়া হতে পারে ইতালির শ্রমবাজার

ইতালির শ্রমভিসা নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনির। তিনি বলছেন, বাংলাদেশে ইতালির শ্রমভিসা কেনাবেচা হয়। এবং দেশটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে আসা কর্মীদের সবচেয়ে বড় অংশ আসে বাংলাদেশ থেকে। জর্জা মেলোনি জানান, অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে তার সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে৷ পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান শ্রম ঘাটতি পূরণের অংশ হিসেবেও নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

তিনি গত মঙ্গলবার (৪ জুন) ইতালির মন্ত্রিসভায় এক বৈঠকের পরে প্রকাশ করা ভিডিও বার্তায় এই হুশিঁয়ারি প্রকাশ পায় তিনি বলেন, কূটনীতিকরা বাংলাদেশে শ্রমভিসা কেনাবেচার বিষয়টি তুলে ধরেছেন৷ দেশটিতে একেকটি ভিসা ১৫ হাজার ইউরো (প্রায় ১৮ লাখ টাকা) করে বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন তারা৷ ইতালির ভিসা ব্যবস্থায় আইনের থাকা ফাঁককে কাজে লাগিয়ে বিদেশি কর্মীদের অবৈধভাবে দেশটিতে পাচার করছে অপরাধীচক্র৷ মাফিয়া বিরোধী প্রসিকিউটরের এ নিয়ে তদন্ত করা উচিত।

তিনি জানান, অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে তার সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। সেই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান শ্রম ঘাটতি পূরণের অংশ হিসেবেও নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মেলোনি সরকার ২০২৩-২০২৫ সালের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের শ্রমভিসার কোটা গত বছর বাড়িয়েছে৷ এখন এ কোটা চার লাখ ৫২ হাজার৷ আগের তিন বছরের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় ১৫০ শতাংশ বেশি৷ ২০১৯ সালে করোনা মহামারির আগে ইতালি মাত্র ৩০ হাজার ৮৫০টি ভিসা ইস্যু করেছিল৷

মেলোনি বলেন, ভিসাগুলো তদন্ত করতে গিয়ে কিছু ‘ভয়ঙ্কর’ তথ্য পাওয়া গেছে৷ দেখা গেছে, কিছু অঞ্চল থেকে (বিশেষ করে কাম্পানিয়ার দক্ষিণাঞ্চল) সম্ভাব্য নিয়োগকর্তার সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে আবেদন করা হয়েছে৷

মেলোনির দপ্তর থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত এক বক্তৃতায় বলা হয়েছে, এত বেশি সংখ্যক আবেদনের বিপরীতে কাজের ভিসা পাওয়া বিদেশিদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক কাজের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন৷ কাম্পানিয়াতে এর হার তিন শতাংশেরও কম৷

তিনি জানান, এ ঘটনাই প্রমাণ করে, ‘সংগঠিত অপরাধচক্র’ প্রায় ১৫ হাজার ইউরোর বিনিময়ে ইতালিতে প্রবেশের অধিকার নেই, এমন অভিবাসীদেরও ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদনের ব্যবস্থা করেছে৷

দেশটির মাফিয়াবিরোধী তদন্তকারীদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ১৩ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ইতালিতে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের পর এ অনিয়ম রোধে নতুন ব্যবস্থা পাস করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি৷

“নতুন আইন পাশ হলে বাংলাদেশিরা বিপদে পড়বেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী ও ভেনিস বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সভাপতি কুদ্দুস চৌধুরী এবং ভেনিস আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহাম্মেদসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গগণ “

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত সমুদ্রপথে ইতালিতে পৌঁছানো অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা ২১ হাজার ৫৭৪ জন৷ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা অর্ধেকেরও কম৷

জনপ্রিয় সংবাদ

সানজিদা তন্বীর বিয়ের খবর জানালেন ফেসবুকে নিজের হৃদয়গ্রাহী পোস্টে

"ইতালির প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি"

বাংলাদেশের শ্রমিকদের হাত ছাড়া হতে পারে ইতালির শ্রমবাজার

আপডেট সময় : ০৫:১৩:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

ইতালির শ্রমভিসা নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনির। তিনি বলছেন, বাংলাদেশে ইতালির শ্রমভিসা কেনাবেচা হয়। এবং দেশটিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে আসা কর্মীদের সবচেয়ে বড় অংশ আসে বাংলাদেশ থেকে। জর্জা মেলোনি জানান, অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে তার সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে৷ পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান শ্রম ঘাটতি পূরণের অংশ হিসেবেও নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

তিনি গত মঙ্গলবার (৪ জুন) ইতালির মন্ত্রিসভায় এক বৈঠকের পরে প্রকাশ করা ভিডিও বার্তায় এই হুশিঁয়ারি প্রকাশ পায় তিনি বলেন, কূটনীতিকরা বাংলাদেশে শ্রমভিসা কেনাবেচার বিষয়টি তুলে ধরেছেন৷ দেশটিতে একেকটি ভিসা ১৫ হাজার ইউরো (প্রায় ১৮ লাখ টাকা) করে বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন তারা৷ ইতালির ভিসা ব্যবস্থায় আইনের থাকা ফাঁককে কাজে লাগিয়ে বিদেশি কর্মীদের অবৈধভাবে দেশটিতে পাচার করছে অপরাধীচক্র৷ মাফিয়া বিরোধী প্রসিকিউটরের এ নিয়ে তদন্ত করা উচিত।

তিনি জানান, অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে তার সরকার বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। সেই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান শ্রম ঘাটতি পূরণের অংশ হিসেবেও নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মেলোনি সরকার ২০২৩-২০২৫ সালের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের নাগরিকদের শ্রমভিসার কোটা গত বছর বাড়িয়েছে৷ এখন এ কোটা চার লাখ ৫২ হাজার৷ আগের তিন বছরের তুলনায় এ সংখ্যা প্রায় ১৫০ শতাংশ বেশি৷ ২০১৯ সালে করোনা মহামারির আগে ইতালি মাত্র ৩০ হাজার ৮৫০টি ভিসা ইস্যু করেছিল৷

মেলোনি বলেন, ভিসাগুলো তদন্ত করতে গিয়ে কিছু ‘ভয়ঙ্কর’ তথ্য পাওয়া গেছে৷ দেখা গেছে, কিছু অঞ্চল থেকে (বিশেষ করে কাম্পানিয়ার দক্ষিণাঞ্চল) সম্ভাব্য নিয়োগকর্তার সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে আবেদন করা হয়েছে৷

মেলোনির দপ্তর থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত এক বক্তৃতায় বলা হয়েছে, এত বেশি সংখ্যক আবেদনের বিপরীতে কাজের ভিসা পাওয়া বিদেশিদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক কাজের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন৷ কাম্পানিয়াতে এর হার তিন শতাংশেরও কম৷

তিনি জানান, এ ঘটনাই প্রমাণ করে, ‘সংগঠিত অপরাধচক্র’ প্রায় ১৫ হাজার ইউরোর বিনিময়ে ইতালিতে প্রবেশের অধিকার নেই, এমন অভিবাসীদেরও ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদনের ব্যবস্থা করেছে৷

দেশটির মাফিয়াবিরোধী তদন্তকারীদের এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ১৩ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ইতালিতে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের পর এ অনিয়ম রোধে নতুন ব্যবস্থা পাস করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি৷

“নতুন আইন পাশ হলে বাংলাদেশিরা বিপদে পড়বেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী ও ভেনিস বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সভাপতি কুদ্দুস চৌধুরী এবং ভেনিস আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহাম্মেদসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গগণ “

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত সমুদ্রপথে ইতালিতে পৌঁছানো অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা ২১ হাজার ৫৭৪ জন৷ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা অর্ধেকেরও কম৷