১০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদীতে পানি  হওয়ায়  পর্যাপ্ত মাছ নেই, বন্যায় জেলেদের দুর্বিষহ জীবন

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 115
ব্রহ্মপুত্রের নদের পানি ফুঁসে ওঠায় মাছ ধরতে না পাওয়ায় দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন কুড়িগ্রামের চিলমারীর প্রায় ছয় শতাধিক মৎসজীবি। ভরা বন্যায় নদীতে আশানুরুপ মাছের দেখা মিলছে না। অনেকেই আছেন যারা এক সপ্তাহে  থেকে নৌকা নিয়ে বেরুতে পারেননি। আবার কেউ নদীতে মাছ না থাকায় নৌকায় বসে পুরোনো জাল সাড়ারিয়ে নিচ্ছেন। জেলেরা  বলছেন, এখনো কোনো ধরণের সহায়তা পাননি। তবে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে দ্রুত খোঁজ নিয়ে জেলে  পরিবার গুলোকে সহায়তা প্রদান করা হবে।
 জানা গেছে, উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের মাঝি পাড়া ও বাসন্তী গ্রামে মিলে প্রায় ছয় শতাধিক জেলে পরিবার রয়েছেন। যাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস নদী থেকে মাছ ধরা। অন্য সময় মোটামুটি ভাবে পরিবারের ভরণপোষণ দিতে পারলেও বন্যার সময় ভরা নদীতে প্রয়োজনের তুলনায় মাছের দেখা মিলে না। তাই এ সময় টাতে তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
রমনা মডেল ইউনিয়নের বাসন্তী গ্রামের শ্রী বাবলু চন্দ্র দাস বলেন, বন্যা আসলে আমাদের কষ্ট শুরু হয়। নদিতে পানি বাড়লে মাছ পাওয়া যায় না। আজ কয়েক দিন  থেকে বাড়ির চারপাশে পানি। ছেলে মেয়ে নিয়ে খুব বিপদে আছি। নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে বেরও হতে পারছিনা। আর বের হয়েই বা কি লাভ এত পানিতে কি আর মাছ পাওয়া যায়।  এখন বসে বসে জাল সাড়িয়ে নিচ্ছি।
জেলে  শ্রী শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, নৌকা নিয়ে নদীতে গিয়ে যে তেল ব্যয় করি তার টাকাই উঠে না। আর তেলের যে দাম। নৌকা নিয়ে বের হলেই ৬ থেকে ৭শত টাকা খরচ হয়। আর এখন নদীতে তেমন মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। তিন দিন থেকে মাছ ধরতে বের হতে পারচ্ছি না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান খান জানান, আমাদের অফিস থেকে শুধু ইলিশ মাছ ধরা নিষেধ থাকা কালীন কার্ডধারী মৎসজীবি দের সহায়তা প্রদান করা হয়। সেটা বছরের এক বার দেয়া হয়। আর এমনিতে সাধারণ ভাবে উপজেলা প্রশাসন থেকে দুযোর্গ কালীন সময় সহায়তা দেয়া হয়। হয়তো তখন সবাই পান না। আমাদের উপজেলায় কার্ডধারী ১১৭৮জন মৎস্যজীবি আছেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মো. রাফিউল আলম জানান, ত্রাণ সহায়ন বিতরণ করা হচ্ছে। রমনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে মৎসজীবি যারা রয়েছেন তাদেরকে সহায়তা দেয়া হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদীতে পানি  হওয়ায়  পর্যাপ্ত মাছ নেই, বন্যায় জেলেদের দুর্বিষহ জীবন

আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ব্রহ্মপুত্রের নদের পানি ফুঁসে ওঠায় মাছ ধরতে না পাওয়ায় দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন কুড়িগ্রামের চিলমারীর প্রায় ছয় শতাধিক মৎসজীবি। ভরা বন্যায় নদীতে আশানুরুপ মাছের দেখা মিলছে না। অনেকেই আছেন যারা এক সপ্তাহে  থেকে নৌকা নিয়ে বেরুতে পারেননি। আবার কেউ নদীতে মাছ না থাকায় নৌকায় বসে পুরোনো জাল সাড়ারিয়ে নিচ্ছেন। জেলেরা  বলছেন, এখনো কোনো ধরণের সহায়তা পাননি। তবে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে দ্রুত খোঁজ নিয়ে জেলে  পরিবার গুলোকে সহায়তা প্রদান করা হবে।
 জানা গেছে, উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের মাঝি পাড়া ও বাসন্তী গ্রামে মিলে প্রায় ছয় শতাধিক জেলে পরিবার রয়েছেন। যাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস নদী থেকে মাছ ধরা। অন্য সময় মোটামুটি ভাবে পরিবারের ভরণপোষণ দিতে পারলেও বন্যার সময় ভরা নদীতে প্রয়োজনের তুলনায় মাছের দেখা মিলে না। তাই এ সময় টাতে তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
রমনা মডেল ইউনিয়নের বাসন্তী গ্রামের শ্রী বাবলু চন্দ্র দাস বলেন, বন্যা আসলে আমাদের কষ্ট শুরু হয়। নদিতে পানি বাড়লে মাছ পাওয়া যায় না। আজ কয়েক দিন  থেকে বাড়ির চারপাশে পানি। ছেলে মেয়ে নিয়ে খুব বিপদে আছি। নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে বেরও হতে পারছিনা। আর বের হয়েই বা কি লাভ এত পানিতে কি আর মাছ পাওয়া যায়।  এখন বসে বসে জাল সাড়িয়ে নিচ্ছি।
জেলে  শ্রী শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, নৌকা নিয়ে নদীতে গিয়ে যে তেল ব্যয় করি তার টাকাই উঠে না। আর তেলের যে দাম। নৌকা নিয়ে বের হলেই ৬ থেকে ৭শত টাকা খরচ হয়। আর এখন নদীতে তেমন মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। তিন দিন থেকে মাছ ধরতে বের হতে পারচ্ছি না।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান খান জানান, আমাদের অফিস থেকে শুধু ইলিশ মাছ ধরা নিষেধ থাকা কালীন কার্ডধারী মৎসজীবি দের সহায়তা প্রদান করা হয়। সেটা বছরের এক বার দেয়া হয়। আর এমনিতে সাধারণ ভাবে উপজেলা প্রশাসন থেকে দুযোর্গ কালীন সময় সহায়তা দেয়া হয়। হয়তো তখন সবাই পান না। আমাদের উপজেলায় কার্ডধারী ১১৭৮জন মৎস্যজীবি আছেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মো. রাফিউল আলম জানান, ত্রাণ সহায়ন বিতরণ করা হচ্ছে। রমনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে মৎসজীবি যারা রয়েছেন তাদেরকে সহায়তা দেয়া হবে।