ঝালকাঠি প্রতিনিধি
‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ’। এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রম ও নিজ অর্থ দিয়ে খালের ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে তা প্রমাণ করে দিল। ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বাঁশের খুঁটি ও কাঠের পাটাতন দিয়ে ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি সাঁকো স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করেছেন এলাকাবাসী। বৃহৎ এ সাঁকো তৈরিতে আর্থিক জোগান এসেছে এলাকাবাসীর চাঁদা ও চেয়ারম্যানের অনুদান থেকে। সরকারের বরাদ্দকৃত নির্মাণাধীন ব্রিজ সম্পন্ন হতে আরও অনেক দেরি হবে বলে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট ব্রিজটি উদ্বোধন করে এলাকাবাসীর যাতায়াতের পথ সুগম করে দেন কাঠালিয়ার শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসান রিপন। এটিকে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ কাঠের সেতু বলে দাবি তার।
এলাকাবাসী জানান, নিজেরা বাড়ি বাড়ি থেকে বাঁশ, খুটি, রশিসহ সাঁকো নির্মাণের জিনিসপত্র সংগ্রহ করেন এবং সবাই শ্রম দিয়ে কয়েকদিনে তা সম্পন্ন করেন।
সাঁকো নির্মাণ করা যুবক মোঃ ফয়সাল হোসেন বলেন, যেহেতু সাঁকো দিয়ে শিশু ও বৃদ্ধরাও চলাচল করবে, এ জন্য আমরা সাঁকোকে শিশু ও বৃদ্ধাদের চলাচলের উপযোগী করেছি।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসান রিপন বলেন, কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউনিয়নের তালগাছিয়া-সোনারবাংলা ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতির কারণে এলাকাবাসীর চলাচলে উপযুক্ত কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তাই সংকট নিরসনে এলাকাবাসীর সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করে বাঁশ ও কাঠের ব্রিজটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সবাই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে আর্থিক সহযোগিতার জন্য কাজ শুরু করেন। এরপর থেকে শুরু হয় বাঁশ ও কাঠ সংগ্রহের কাজ। অবশেষে সেই বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ৩শ ফুট ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। সবার অক্লান্ত পরিশ্রমে কয়েক দিনের মধ্যেই ব্রিজ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়।
ব্রিজটি নির্মাণে যেসব যুবক অংশগ্রহণ করেছেন এবং যারা অর্থিক, মানসিকসহ সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার প্রতি ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান রিপন। একই সঙ্গে মূল ব্রিজের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
























