০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দশ বছরে কাঁচাপাট রপ্তানি ১৯ লাখ মেট্রিক টন

গত ১০ বছরের বাংলাদেশ থেকে ১৯.০৭ লাখ মেট্রিক টন কাঁচাপাট রপ্তানি হয়েছে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য মোরশেদ আলমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এ দিনের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

পাটমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১৯.০৭ লাখ মেট্রিক টন কাঁচাপাট রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি হওয়া দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, জিবুতি, ভিয়েতনাম, অস্ট্রিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, জার্মানি, মেক্সিকো, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, জাপান, কোরিয়া, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, বেলজিয়াম, তিউনিশিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা, সিংগাপুর উল্লেখযোগ্য। এ সময়ে পাট রপ্তানি বাবদ ১০৪৫৪.১৬ কোটি টাকা আয় হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পাটজাত পণ্য হেসিয়ান, সেকিং, সিবিসি এবং ইয়ার্ন টুয়াইন রপ্তানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া ২৮২ ধরনের বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। পাটের ব্যাগ ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫৩নং আইন) প্রণীত হয়েছে। এই আইনের অধীনে ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ-খুদ-কুড়া, পোল্ট্রি ও ফিশফিড মোড়কীকরণে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাটজাত পণ্য ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পাট অধিদপ্তর নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে।

এছাড়া স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে নিয়মিত উদ্বুদ্ধকরণ/মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে। দেশে ও বিদেশে বহুমুখী পাট ও পাটজাতপণ্যের মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। পাট অধিদপ্তর, করিম চেম্বার, দ্বিতীয় তলায় পাট ও পাটজাত পণ্যের স্থায়ী বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। রংপুরে ২৩-২৫ মে, ২০২৪; নরসিংদীতে ০১-০৩ জুন, ২০২৪ এবং ফরিদপুরে ৮-১০ জুন, ২০২৪ তারিখে বহুমুখী পাটজাতপণ্যের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পাট ও পাটজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার/অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে এবং অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পাটমন্ত্রী।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

দশ বছরে কাঁচাপাট রপ্তানি ১৯ লাখ মেট্রিক টন

আপডেট সময় : ০৯:১৭:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

গত ১০ বছরের বাংলাদেশ থেকে ১৯.০৭ লাখ মেট্রিক টন কাঁচাপাট রপ্তানি হয়েছে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য মোরশেদ আলমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এ দিনের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

পাটমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১৯.০৭ লাখ মেট্রিক টন কাঁচাপাট রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি হওয়া দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, জিবুতি, ভিয়েতনাম, অস্ট্রিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, জার্মানি, মেক্সিকো, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, জাপান, কোরিয়া, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, বেলজিয়াম, তিউনিশিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা, সিংগাপুর উল্লেখযোগ্য। এ সময়ে পাট রপ্তানি বাবদ ১০৪৫৪.১৬ কোটি টাকা আয় হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পাটজাত পণ্য হেসিয়ান, সেকিং, সিবিসি এবং ইয়ার্ন টুয়াইন রপ্তানি করা হচ্ছে। এ ছাড়া ২৮২ ধরনের বহুমুখী পাটজাত পণ্য রপ্তানি করা হচ্ছে। পাটের ব্যাগ ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৫৩নং আইন) প্রণীত হয়েছে। এই আইনের অধীনে ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ-খুদ-কুড়া, পোল্ট্রি ও ফিশফিড মোড়কীকরণে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাটজাত পণ্য ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পাট অধিদপ্তর নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে।

এছাড়া স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে নিয়মিত উদ্বুদ্ধকরণ/মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়েছে। দেশে ও বিদেশে বহুমুখী পাট ও পাটজাতপণ্যের মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। পাট অধিদপ্তর, করিম চেম্বার, দ্বিতীয় তলায় পাট ও পাটজাত পণ্যের স্থায়ী বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। রংপুরে ২৩-২৫ মে, ২০২৪; নরসিংদীতে ০১-০৩ জুন, ২০২৪ এবং ফরিদপুরে ৮-১০ জুন, ২০২৪ তারিখে বহুমুখী পাটজাতপণ্যের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পাট ও পাটজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার/অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে এবং অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পাটমন্ত্রী।