০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরাজয় একেবারেই সন্নিকটে

গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের পরাজয় একেবারেই সন্নিকটে, যুদ্ধে ব্যর্থতার বিষয়টি ঢেকে রাখতেই এখন গাজায় লাগাতার হামলা চালানো হচ্ছে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন প্রাচীন ইতিহাসের একজন গবেষক। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নিয়েও মন্তব্য করেছেন এই গবেষক। তার দাবি, ইসরায়েল ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। আর এর জন্য একমাত্র দায়ী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সবশেষে ইসরায়েলকে রক্ষার একটি পথও বাতলে দিয়েছেন তিনি। ইসরায়েলের বিজয়ের যুগ শেষ হয়ে গেছে। নেতানিয়াহুর এখন উচিত ব্যর্থতার ভেতর থেকেই বিজয় কল্পনা করা। জেমান ইসরায়েল নিউজ সাইটে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে এমন মন্তব্য করেছেন পোল্যান্ডের ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হ্যাগি ওলশানিতস্কি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাচীন ইতিহাস বিভাগের একজন শিক্ষক।

ওলশানিতস্কি লিখেছেন, ৭ অক্টোবরে শুরু হওয়া যুদ্ধে ইসরায়েল কোনো লক্ষ্যই অর্জন করতে পারবে না, কারণ ইসরায়েল তার শত্রুকে ঠেকিয়ে রাখার সব শক্তিগুলো ব্যয় করে ফেলেছে। তার আর বর্ধিত কোনো শক্তি-সামর্থ্য নেই। অতীতে ইসরায়েল যেসব বিজয় অর্জন করত, সেসবের এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই। সাত অক্টোবরের ঘটনার পর ইসরায়েলি হামলায় যত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, তা দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০ বছরের বর্ণবাদী শাসনে নিহত কৃষ্ণকায় নাগরিকদের সংখ্যার চেয়েও বেশি। ওলশানিতস্কি আশঙ্কা প্রকাশ করে লেখেন, অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর যেভাবে হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসযজ্ঞ ও তাদের সম্পদের ওপর অগ্নিসংযোগ করছে, তাতে নতুন একটি যুদ্ধের আগুনকেই উসকে দেয়া হচ্ছে।

গাজায় চলমান যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দায়ী করে ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষক লিখেছেন, নেতানিয়াহু বিচার বিভাগসহ ইসরায়েলের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, যেন গাজা যুদ্ধে ব্যর্থতার জন্য তাকে কারাগারে যেতে না হয়। আসলে ক্ষমতালোভী নেতানিয়াহু ক্ষমতা হারানোর ভয়েই গাজা যুদ্ধের ইতি টানছেন না। ইসরায়েলকে রক্ষার একটি ক্ষুদ্র সম্ভাবনা রয়েছে নেতানিয়াহুর সামনে, আর সেটি হলো গাজায় যুদ্ধের আগুন থামানো। সব কিছুতেই ইসরায়েলের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে যাওয়ার আগে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। এই সুযোগ ইসরায়েলের হাতছাড়া করা উচিত নয়। মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও, রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবি : গাজায় ইসরায়েলি অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে তিউনিশিয়ায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন দেশটির হাজারো মানুষ। বিক্ষোভের সময় জমায়েত থেকে ইসরায়েলের প্রতি ওয়াশিংটনের অকুণ্ঠ সমর্থনের নিন্দা এবং তিউনিশিয়া থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়। গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী নিজেদের হাতে নিজেদের কবর খুঁড়ছে। এ সময় তারা স্লোগান দেয় তিউনিশিয়ার ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দূতাবাসের প্রয়োজন নেই। গত বছরের ৭ অক্টোবর এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৮৬ হাজার।

জনপ্রিয় সংবাদ

পরাজয় একেবারেই সন্নিকটে

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের পরাজয় একেবারেই সন্নিকটে, যুদ্ধে ব্যর্থতার বিষয়টি ঢেকে রাখতেই এখন গাজায় লাগাতার হামলা চালানো হচ্ছে। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন প্রাচীন ইতিহাসের একজন গবেষক। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নিয়েও মন্তব্য করেছেন এই গবেষক। তার দাবি, ইসরায়েল ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। আর এর জন্য একমাত্র দায়ী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সবশেষে ইসরায়েলকে রক্ষার একটি পথও বাতলে দিয়েছেন তিনি। ইসরায়েলের বিজয়ের যুগ শেষ হয়ে গেছে। নেতানিয়াহুর এখন উচিত ব্যর্থতার ভেতর থেকেই বিজয় কল্পনা করা। জেমান ইসরায়েল নিউজ সাইটে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে এমন মন্তব্য করেছেন পোল্যান্ডের ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হ্যাগি ওলশানিতস্কি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাচীন ইতিহাস বিভাগের একজন শিক্ষক।

ওলশানিতস্কি লিখেছেন, ৭ অক্টোবরে শুরু হওয়া যুদ্ধে ইসরায়েল কোনো লক্ষ্যই অর্জন করতে পারবে না, কারণ ইসরায়েল তার শত্রুকে ঠেকিয়ে রাখার সব শক্তিগুলো ব্যয় করে ফেলেছে। তার আর বর্ধিত কোনো শক্তি-সামর্থ্য নেই। অতীতে ইসরায়েল যেসব বিজয় অর্জন করত, সেসবের এখন আর কোনো অস্তিত্ব নেই। সাত অক্টোবরের ঘটনার পর ইসরায়েলি হামলায় যত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, তা দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০ বছরের বর্ণবাদী শাসনে নিহত কৃষ্ণকায় নাগরিকদের সংখ্যার চেয়েও বেশি। ওলশানিতস্কি আশঙ্কা প্রকাশ করে লেখেন, অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর যেভাবে হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসযজ্ঞ ও তাদের সম্পদের ওপর অগ্নিসংযোগ করছে, তাতে নতুন একটি যুদ্ধের আগুনকেই উসকে দেয়া হচ্ছে।

গাজায় চলমান যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে দায়ী করে ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষক লিখেছেন, নেতানিয়াহু বিচার বিভাগসহ ইসরায়েলের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, যেন গাজা যুদ্ধে ব্যর্থতার জন্য তাকে কারাগারে যেতে না হয়। আসলে ক্ষমতালোভী নেতানিয়াহু ক্ষমতা হারানোর ভয়েই গাজা যুদ্ধের ইতি টানছেন না। ইসরায়েলকে রক্ষার একটি ক্ষুদ্র সম্ভাবনা রয়েছে নেতানিয়াহুর সামনে, আর সেটি হলো গাজায় যুদ্ধের আগুন থামানো। সব কিছুতেই ইসরায়েলের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে যাওয়ার আগে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। এই সুযোগ ইসরায়েলের হাতছাড়া করা উচিত নয়। মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও, রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবি : গাজায় ইসরায়েলি অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানিয়ে তিউনিশিয়ায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন দেশটির হাজারো মানুষ। বিক্ষোভের সময় জমায়েত থেকে ইসরায়েলের প্রতি ওয়াশিংটনের অকুণ্ঠ সমর্থনের নিন্দা এবং তিউনিশিয়া থেকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়। গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী নিজেদের হাতে নিজেদের কবর খুঁড়ছে। এ সময় তারা স্লোগান দেয় তিউনিশিয়ার ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দূতাবাসের প্রয়োজন নেই। গত বছরের ৭ অক্টোবর এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৮৬ হাজার।