০৮:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেডিকেল ভর্তির প্রশ্ন ফাঁস :  নজরদারিতে খুমেক’র ২০ শিক্ষার্থী  

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:০০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • 93
মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, খুলনা
কথিত মেডিকেল ভর্তি কোচিং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র কিনে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া ২০ শিক্ষার্থীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।  এরই মধ্যে চিহ্নিত ও অভিযুক্ত এসব শিক্ষার্থী’র একাডেমিক ফলও সংগ্রহ করছে সিআইডি। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন ফাঁস হওয়া প্রশ্নে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি খুলনা মেডিকেল কলেজের সাবেক তিন শিক্ষার্থীসহ ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তালিকায় থাকা খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে খুলনার আশিকুজ্জামান সানি,  পিরোজপুরের মুসতাহিন হাসান লামিয়া,  খুলনার আনিকা তাহসিন জেসি,  আসমাউল হুসনা নিহা, যশোর সদরের ফারিহা ইসলাম, খুলনার নাজিয়া মেহজাবীন, মো . সোহানুর রহমান বিশ্বাস, রাজশাহীর আরাফাত হোসেন, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডির হাতে গত ২০ আগস্ট গ্রেপ্তারকৃত নাজিয়া মেহজাবীন, শর্মিষ্ঠা মণ্ডল ও মুসতাহিন হাসান লামিয়া উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও মেডিকেলের প্রশ্নপত্র বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগে থ্রি ডক্টরসের মালিক ডা. মো. ইউনুচ উজ্জামান খান তারিমকেও গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. দীন-উল ইসলাম বলেন, ´১১ শিক্ষার্থীর নাম দিয়ে তাদের একাডেমিক বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল সিআইডি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে পাঠিয়েছি।
মেডিকেল কলেজে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং খুলনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো পৃথক দুটি চিঠিতে ২২ শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে খুলনা মেডিকেলে তিন শিক্ষার্থীকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। অন্যদের সিআইডির নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্তে অনেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সেসব শিক্ষার্থীর বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জোগাড়ের কাজ চলছে। বিভিন্ন মেডিকেলে চিঠি পাঠানো সেই কাজেরই অংশ। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

মূল্যস্ফীতি এখনো ঊর্ধ্বমুখী

মেডিকেল ভর্তির প্রশ্ন ফাঁস :  নজরদারিতে খুমেক’র ২০ শিক্ষার্থী  

আপডেট সময় : ০৫:০০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, খুলনা
কথিত মেডিকেল ভর্তি কোচিং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র কিনে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া ২০ শিক্ষার্থীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।  এরই মধ্যে চিহ্নিত ও অভিযুক্ত এসব শিক্ষার্থী’র একাডেমিক ফলও সংগ্রহ করছে সিআইডি। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন ফাঁস হওয়া প্রশ্নে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি খুলনা মেডিকেল কলেজের সাবেক তিন শিক্ষার্থীসহ ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তালিকায় থাকা খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে খুলনার আশিকুজ্জামান সানি,  পিরোজপুরের মুসতাহিন হাসান লামিয়া,  খুলনার আনিকা তাহসিন জেসি,  আসমাউল হুসনা নিহা, যশোর সদরের ফারিহা ইসলাম, খুলনার নাজিয়া মেহজাবীন, মো . সোহানুর রহমান বিশ্বাস, রাজশাহীর আরাফাত হোসেন, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সিআইডির হাতে গত ২০ আগস্ট গ্রেপ্তারকৃত নাজিয়া মেহজাবীন, শর্মিষ্ঠা মণ্ডল ও মুসতাহিন হাসান লামিয়া উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও মেডিকেলের প্রশ্নপত্র বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগে থ্রি ডক্টরসের মালিক ডা. মো. ইউনুচ উজ্জামান খান তারিমকেও গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. দীন-উল ইসলাম বলেন, ´১১ শিক্ষার্থীর নাম দিয়ে তাদের একাডেমিক বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল সিআইডি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে পাঠিয়েছি।
মেডিকেল কলেজে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং খুলনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো পৃথক দুটি চিঠিতে ২২ শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে খুলনা মেডিকেলে তিন শিক্ষার্থীকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। অন্যদের সিআইডির নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্তে অনেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সেসব শিক্ষার্থীর বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জোগাড়ের কাজ চলছে। বিভিন্ন মেডিকেলে চিঠি পাঠানো সেই কাজেরই অংশ। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে।