১০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে সতর্ক তাইওয়ান

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় ইনার মঙ্গোলিয়ায় চীনা সামরিক বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তাইওয়ান। দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। গত শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে চীন। তবে দেশটির এমন দাবি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে তাইপে। দ্বীপরাষ্ট্রটির চারপাশে বেইজিংয়ের নিয়মিত সামরিক কার্যকলাপের কারণে সেগুলোর ওপর নিবিড় নজরদারি রাখে দেশটি। তবে চীনের অভ্যন্তরে ঘটা ঘটনাগুলোর বিবরণ খুব কমই প্রকাশ করে থাকে তাইপে।
মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়ায় চীনের রকেট ফোর্সেল ‘মাল্টিপল ওয়েভ অব টেস্ট লঞ্চ’ শনাক্ত করেছে তারা। ওই এলাকাটি তাইওয়ান থেকে প্রায় ২০০০ কিলোমিটার (১২০০ মাইল) দূরে অবস্থিত। এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য না জানিয়েই মন্ত্রণালয়টি বলেছে, তাইওয়ানের বাহিনী চীনের এই কার্যকলাপের ক্রমাগত উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করছে এবং বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অফিস সময়ের বাইরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া পায়নি রয়টার্স। চীনের প্রচলিত এবং পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্রাগারের দায়িত্বে রয়েছে রকেট ফোর্স। ২০২২ সালের আগস্টে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপেই সফরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বেইজিং। তখন তাইওয়ানের চার পাশের জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল দেশটি। নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, তাইওয়ান তাদের কেন্দ্রীয় পর্বতশ্রেণীর কিছু চূড়ায় শক্তিশালী রাডার স্টেশন পরিচালনা করে। এই রাডারগুলো চীনের দিকে অনেকদূর পর্যন্ত দেখতে পারে। মে মাসে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন লাই চিং তে। তাকে একজন ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে মনে করে চীন। লাইয়ের অভিষেকের পর থেকেই দ্বীপরাষ্ট্রটির চারপাশে সামরিক চাপ বাড়িয়েছে বেইজিং। চীনকে বারবার আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন লাই। তবে প্রত্যেকবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে লাই বলেন, তাইওয়ানের জনগণই শুধু তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

চীনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে সতর্ক তাইওয়ান

আপডেট সময় : ০৮:২৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

চীনের উত্তরাঞ্চলীয় ইনার মঙ্গোলিয়ায় চীনা সামরিক বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তাইওয়ান। দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। গত শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে চীন। তবে দেশটির এমন দাবি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে তাইপে। দ্বীপরাষ্ট্রটির চারপাশে বেইজিংয়ের নিয়মিত সামরিক কার্যকলাপের কারণে সেগুলোর ওপর নিবিড় নজরদারি রাখে দেশটি। তবে চীনের অভ্যন্তরে ঘটা ঘটনাগুলোর বিবরণ খুব কমই প্রকাশ করে থাকে তাইপে।
মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে অভ্যন্তরীণ মঙ্গোলিয়ায় চীনের রকেট ফোর্সেল ‘মাল্টিপল ওয়েভ অব টেস্ট লঞ্চ’ শনাক্ত করেছে তারা। ওই এলাকাটি তাইওয়ান থেকে প্রায় ২০০০ কিলোমিটার (১২০০ মাইল) দূরে অবস্থিত। এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য না জানিয়েই মন্ত্রণালয়টি বলেছে, তাইওয়ানের বাহিনী চীনের এই কার্যকলাপের ক্রমাগত উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করছে এবং বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অফিস সময়ের বাইরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া পায়নি রয়টার্স। চীনের প্রচলিত এবং পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্রাগারের দায়িত্বে রয়েছে রকেট ফোর্স। ২০২২ সালের আগস্টে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপেই সফরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বেইজিং। তখন তাইওয়ানের চার পাশের জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল দেশটি। নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, তাইওয়ান তাদের কেন্দ্রীয় পর্বতশ্রেণীর কিছু চূড়ায় শক্তিশালী রাডার স্টেশন পরিচালনা করে। এই রাডারগুলো চীনের দিকে অনেকদূর পর্যন্ত দেখতে পারে। মে মাসে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন লাই চিং তে। তাকে একজন ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে মনে করে চীন। লাইয়ের অভিষেকের পর থেকেই দ্বীপরাষ্ট্রটির চারপাশে সামরিক চাপ বাড়িয়েছে বেইজিং। চীনকে বারবার আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন লাই। তবে প্রত্যেকবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। বেইজিংয়ের সার্বভৌমত্বের দাবি প্রত্যাখ্যান করে লাই বলেন, তাইওয়ানের জনগণই শুধু তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে।