১০:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর মাধ্যমে রাজস্ব বাড়বে

আমদানি-রপ্তানি সহজীকরণ এবং বাণিজ্য ত্বরান্বিতকরণে দ্রুত ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। গতকাল সোমবার এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডাব্লিউ) বিষয়ক এক কর্মশালায় এই দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতির আকার যত বড় হচ্ছে, ততই ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) সব অংশীজনের মতামত নিয়ে এই বছরের মধ্যেই ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এটি বাস্তবায়নের ফলে সরকারের যেমন রাজস্ব বাড়বে, তেমনি ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কমবে বলেও মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডাব্লিউ) বাস্তবায়ন হলে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় কমবে, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ আরও উন্নত হবে। যা ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে বেগবান করবে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা একমাত্র প্ল্যাটফর্ম থেকে বাণিজ্য সংক্রান্ত সব তথ্য জানতে পারবে। এক জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সব লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবে।
এরই মধ্যে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর ট্রেড পোর্টাল এবং ট্রেড রেজিস্ট্রেশন মডিউল সম্পন্ন হয়েছে বলে কর্মশালায় জানান আয়োজকরা। সি অ্যান্ড এফ এজেন্টদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং সিএলপি প্রক্রিয়াকরণের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। অন্যান্য সংস্থার নিবন্ধন প্রক্রিয়া এবং সিএলপি প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডাব্লিউ) প্রকল্পের পরিচালক এবিএম শফিকুর রহমান জানান, বিএসডব্লিউ সিস্টেমে আপাতত ১৯টি এজেন্সিকে যুক্ত করা হবে, যারা বিভিন্ন লাইসেন্সিং সেবা দিয়ে থাকে। এরই মধ্যে বিএসডব্লিউ পোর্টাল তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এটি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কর্মশালার সমাপনী বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বেসরকারি খাতের হাত ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। যদিও এতদিন আমাদের ব্যবসা, বাণিজ্য অনেকটা অগোছালোভাবেই এগিয়েছে। তবে এখন সময় এসেছে নিজেদের শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার। বেসরকারি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতা প্রয়োজন। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যবসা, বাণিজ্য ও অর্থনীতির আরও বিকশিত হবে বলে আমার বিশ্বাস। এতে করে ব্যবসার ব্যয় কমার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে।
এ সময় নীতিনির্ধারক এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুসংহত করার ওপরও জোর দেন মো. আমিন হেলালী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালকবৃন্দ, সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।

জনপ্রিয় সংবাদ

ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর মাধ্যমে রাজস্ব বাড়বে

আপডেট সময় : ০৯:২৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

আমদানি-রপ্তানি সহজীকরণ এবং বাণিজ্য ত্বরান্বিতকরণে দ্রুত ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। গতকাল সোমবার এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডাব্লিউ) বিষয়ক এক কর্মশালায় এই দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতির আকার যত বড় হচ্ছে, ততই ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) সব অংশীজনের মতামত নিয়ে এই বছরের মধ্যেই ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এটি বাস্তবায়নের ফলে সরকারের যেমন রাজস্ব বাড়বে, তেমনি ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কমবে বলেও মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডাব্লিউ) বাস্তবায়ন হলে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় কমবে, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ আরও উন্নত হবে। যা ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে বেগবান করবে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা একমাত্র প্ল্যাটফর্ম থেকে বাণিজ্য সংক্রান্ত সব তথ্য জানতে পারবে। এক জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সব লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবে।
এরই মধ্যে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর ট্রেড পোর্টাল এবং ট্রেড রেজিস্ট্রেশন মডিউল সম্পন্ন হয়েছে বলে কর্মশালায় জানান আয়োজকরা। সি অ্যান্ড এফ এজেন্টদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং সিএলপি প্রক্রিয়াকরণের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। অন্যান্য সংস্থার নিবন্ধন প্রক্রিয়া এবং সিএলপি প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডাব্লিউ) প্রকল্পের পরিচালক এবিএম শফিকুর রহমান জানান, বিএসডব্লিউ সিস্টেমে আপাতত ১৯টি এজেন্সিকে যুক্ত করা হবে, যারা বিভিন্ন লাইসেন্সিং সেবা দিয়ে থাকে। এরই মধ্যে বিএসডব্লিউ পোর্টাল তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এটি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কর্মশালার সমাপনী বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বেসরকারি খাতের হাত ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। যদিও এতদিন আমাদের ব্যবসা, বাণিজ্য অনেকটা অগোছালোভাবেই এগিয়েছে। তবে এখন সময় এসেছে নিজেদের শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার। বেসরকারি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতা প্রয়োজন। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যবসা, বাণিজ্য ও অর্থনীতির আরও বিকশিত হবে বলে আমার বিশ্বাস। এতে করে ব্যবসার ব্যয় কমার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে।
এ সময় নীতিনির্ধারক এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুসংহত করার ওপরও জোর দেন মো. আমিন হেলালী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালকবৃন্দ, সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।