২০ বছর হয়ে গেছে, অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ হকি দল অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতেছে। টোকিও গেমসে বেলজিয়ামের কাছে শুটআউটে হেরে সেই খরা কাটানো হয়নি, জিততে হয়েছে রৌপ্যপদক। এবার সেই আক্ষেপ ঘুচাতে উন্মুখ হয়ে আছে কোকাবুরারা। স্বর্ণপদকের জন্য তারা এতটাই উদগ্রীব যে, তাদের কিছু স্কোয়াড সদস্য কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এমনকি কেটে ফেলেছেন আঙুল!
দুই সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডার ম্যাথু ডাউসন পার্থে একটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচ খেলছিলেন। আরেক খেলোয়াড়ের স্টিক এসে তার হাতে লাগে। একটি আঙুল রক্তাক্ত হয়ে ঝুলে পড়ার মতো অবস্থা। ডাউসন মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন। ভেবেছিলেন, তার তৃতীয় অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন শুরুর আগেই শেষ হতে বসেছে।
নিউইয়র্ক টাইমসকে কদিন আগে ডাউসন বলেছিলেন, ‘প্রথম চিন্তা এসেছিল, না ঠিক আছে। অলিম্পিক স্বপ্ন শেষ।’ কিন্তু ডাউসন একজন সার্জনের সঙ্গে আলাপ করেন, যিনি তাকে দুটি পথ দেখান। ডানহাতের অনামিকা আগের অবস্থান ফিরিয়ে আনতে তাকে অস্ত্রোপচার করতে হবে, যাতে করে সেরে উঠতে সময় লাগবে কয়েক মাস, এমনকি পুরোপুরি সেরে ওঠার নিশ্চয়তাও নেই। আর যদি আঙুলের উপরের অংশ কেটে ফেলেন, প্যারিসে খেলার জন্য ফিট হয়ে উঠবেন।
স্ত্রীর পরামর্শ ছিল, তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত যেন না নেন ডাউসন। কিন্তু নাছোড়বান্দা অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্ডার, ‘কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে বিসর্জন দিতেই হয়। অলিম্পিকে পারফর্ম করতেই আমি এই পথ বেছে নিয়েছি।’
ডাউসন মনে করেন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, ‘আমাকে যদি আমার আঙুল কেটে মূল্য চুকাতে হয়, তাহলে আমার সেটাই করা উচিত।’ এবার দেখার অপেক্ষা, ডাউসনের এই বিসর্জনের প্রতিদান স্বর্ণপদক জিতে দিতে পারে কি না কোকাবুরারা।


























