০১:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিল্লিতে কোচিং সেন্টারে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বিক্ষোভে নামল শিক্ষার্থীরা

ভারতের দিল্লির একটি জনপ্রিয় কোচিং সেন্টারে বন্যার পানিতে ডুবে তিন শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির রাজেন্দ্র নগরে ‘রাও আইএএস স্টাডি সার্কেল’ নামের ওই কোচিং সেন্টারটি যেখানে অবস্থিত সেখানকার বেজমেন্টে আকস্মিকভাবে বন্যার পানি ঢোকে। এতে সেখানে তিন শিক্ষার্থী চার ঘণ্টারও বেশি সময়ের জন্য আটকে যায়। পরবর্তীতে তাদের মৃত্যু হয়। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে দিল্লিতে ভারি বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির পানি কোচিংটির বেজমেন্টে প্রবেশ করা শুরু করে।
দিল্লি সেন্ট্রাল পুলিশের উপকমিশনার এম হর্ষবর্ধন সাংবাদিকদের বলেছেন, পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য মরদেহগুলো হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। পাম্পের মাধ্যমে পানি সরানো হচ্ছে। বেজমেন্টে এখনো ৭ ফুট পানি রয়েছে। যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুটি নারীর। বাকি মরদেহটি এক পুরুষ শিক্ষার্থীর। উদ্ধার অভিযান চালিয়ে প্রথমে দুই নারী শিক্ষার্থীর মরদেহ বের করা হয়। এরপর মধ্যরাতে পুরুষ শিক্ষার্থীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে ওই বেজমেন্টে ৩৩ জন শিক্ষার্থী ছিল। তাদের মধ্যে ৩০ জন বেরিয়ে যেতে সমর্থ হলেও এই তিনজন পারেননি। যেখানে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে সেখানকার রাস্তাঘাটেও দুই থেকে তিন ফুট পানি জমা হয়েছে। আর রাস্তায় পানি উঠে যাওয়ায় সেগুলো বেজমেন্টে প্রবেশ করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, তিনজনের মৃত্যুর পর বিক্ষোভে নেমেছেন দিল্লির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আধাসামরিক বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ। তারা সবাই সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর অংশ হিসেবে কোচিংটিতে পড়তেন তারা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, বেজমেন্টে কোচিংয়ের লাইব্রেরি ছিল। সেখানে বসে নীরবে পড়াশোনা করছিলেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যার পর যখন বৃষ্টি হয় তখন রাস্তায় দুই থেকে তিন ফুট পানি জমে যায়। সেই পানি উপচে গিয়ে ভবনটির বেজমেন্টে ঢুকে। ওই সময় বেজমেন্টে ৩৩ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩০ জন নিরাপদে বের হয়ে আসতে পারলেও তিনজন আটকা পড়ে যান। চার ঘণ্টা সেখানে আটকে থাকার পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কর্তৃপক্ষ যদি ড্রেনগুলো পরিষ্কার রাখত তাহলে বৃষ্টির পানি চলে যেত। কিন্তু ড্রেন আটকা থাকায় রাস্তায় পানি জমে যায় এবং সেটি কোচিং সেন্টারের বেজমেন্টের লাইব্রেরিতে ঢুকে যায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

দিল্লিতে কোচিং সেন্টারে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বিক্ষোভে নামল শিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০৮:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

ভারতের দিল্লির একটি জনপ্রিয় কোচিং সেন্টারে বন্যার পানিতে ডুবে তিন শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির রাজেন্দ্র নগরে ‘রাও আইএএস স্টাডি সার্কেল’ নামের ওই কোচিং সেন্টারটি যেখানে অবস্থিত সেখানকার বেজমেন্টে আকস্মিকভাবে বন্যার পানি ঢোকে। এতে সেখানে তিন শিক্ষার্থী চার ঘণ্টারও বেশি সময়ের জন্য আটকে যায়। পরবর্তীতে তাদের মৃত্যু হয়। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে দিল্লিতে ভারি বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির পানি কোচিংটির বেজমেন্টে প্রবেশ করা শুরু করে।
দিল্লি সেন্ট্রাল পুলিশের উপকমিশনার এম হর্ষবর্ধন সাংবাদিকদের বলেছেন, পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য মরদেহগুলো হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। পাম্পের মাধ্যমে পানি সরানো হচ্ছে। বেজমেন্টে এখনো ৭ ফুট পানি রয়েছে। যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে দুটি নারীর। বাকি মরদেহটি এক পুরুষ শিক্ষার্থীর। উদ্ধার অভিযান চালিয়ে প্রথমে দুই নারী শিক্ষার্থীর মরদেহ বের করা হয়। এরপর মধ্যরাতে পুরুষ শিক্ষার্থীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে ওই বেজমেন্টে ৩৩ জন শিক্ষার্থী ছিল। তাদের মধ্যে ৩০ জন বেরিয়ে যেতে সমর্থ হলেও এই তিনজন পারেননি। যেখানে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে সেখানকার রাস্তাঘাটেও দুই থেকে তিন ফুট পানি জমা হয়েছে। আর রাস্তায় পানি উঠে যাওয়ায় সেগুলো বেজমেন্টে প্রবেশ করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, তিনজনের মৃত্যুর পর বিক্ষোভে নেমেছেন দিল্লির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আধাসামরিক বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ। তারা সবাই সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর অংশ হিসেবে কোচিংটিতে পড়তেন তারা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, বেজমেন্টে কোচিংয়ের লাইব্রেরি ছিল। সেখানে বসে নীরবে পড়াশোনা করছিলেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যার পর যখন বৃষ্টি হয় তখন রাস্তায় দুই থেকে তিন ফুট পানি জমে যায়। সেই পানি উপচে গিয়ে ভবনটির বেজমেন্টে ঢুকে। ওই সময় বেজমেন্টে ৩৩ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩০ জন নিরাপদে বের হয়ে আসতে পারলেও তিনজন আটকা পড়ে যান। চার ঘণ্টা সেখানে আটকে থাকার পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কর্তৃপক্ষ যদি ড্রেনগুলো পরিষ্কার রাখত তাহলে বৃষ্টির পানি চলে যেত। কিন্তু ড্রেন আটকা থাকায় রাস্তায় পানি জমে যায় এবং সেটি কোচিং সেন্টারের বেজমেন্টের লাইব্রেরিতে ঢুকে যায়।