১০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি পরিশ্রমী ও কর্মঠ

খাগড়াছড়িতে কৃষি ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমানতালে কাজ করছে। পুরুষরা যেমন জমিতে হাল চাষ ও ধান রোপণ করে, তেমনি খাগড়াছড়ি আদিবাসী এমনকি বাঙালি নারীরাও জমিতে নেমে চাষাবাদ ও ধান রোপণ করছে। বরং পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি পরিশ্রমী ও কর্মঠ। তারা সেই ভোর বেলা কিছু খেয়ে জমিতে নামে, দুপুরে খাবারের পর আবারও নিরলসভাবে জমিতে কাজ করে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নারীরা পুরুষদের মতোই জমিতে নেমে চাষাবাদ করছে। তারা বিভিন্ন সবজি যেমন রোপণ করছে, তেমনি ধান চারা পর্যন্ত রোপণ করছে, জালা তোলছে। একেবারে পুরুষের মতোই কাজের পোষাক পরে সারিবদ্ধভাবে ধান চারা জমিতে রোপণ করছে। বিশেষ করে ভাইবোন ছড়ায়, কমলছড়ি হেডম্যান পাড়া, কুড়াদিয়া হড়া, পেড়াছড়া, খাগড়াছড়ি সদরে নিউজিল্যান্ড, সাতভাইয়া পাড়া, পানছড়ি, দীঘিনালা মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি, মাইসছড়ি, গুইমারা, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রামগড় এলাকায় নারীরা পুরুষদের মতোই জমিতে নেমে কাজ করে। তারা দলবদ্ধ হয়ে জমিতে ধান চারা রোপণ করে। তাদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, কাজ করত তাদের কোনো সমস্যা নেই, জমিতে নেমে ধান চারা রোপণ করতে দীর্ঘসময় উপুর হয়ে থাকতে কষ্ট হলেও এতে তাদের আপত্তি নেই। সংসারের চাহিদা মেটাতে জমিতে স্বামী-পুত্রের কাজে সহযোগিতা করতে তারা এ কাজ করছে। এমনকি পুরুষ যাতে ব্যবসা-বাণিজ্যে ও সন্তানরা লেখাপড়া করার সুযোগ পায়, সে জন্যহী নারীরা জমিতে ধান চারা রোপণের মতো কষ্টকর কাজ করছে। পানছড়ির কংচাইরী পাড়া কয়েকজন নারী বলেন, সারাদিন ঘরে তেমন কাজ থাকে না বিশেষ করে চাষাবাদের মৌসুমে কাজ করতে তাদের ভালো লাগে। নিজেদের বা বার্গ জমিতে ধান চারা রোপন যেমন করে তেমনি অন্যের জমিতে দিন মজুর (বদলা) কাজও করে থাকে। এতে তাদের বাড়তি আয় হয় এবং তা সংসারের উপকারে আসে।

খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত)মো: বাছিরুল আলম জানান, পার্বত্য এলাকায় মানুষেরা পুরুষের পাশাপাশি নারীরা ধান মারা, ধান রোপনসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে, সেক্ষেত্রে বাড়তি আয় করছে।  এবছর আমন ধানে লক্ষ্যমাত্রা ২৯ হাজার ৫০ হেক্টর।

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি পরিশ্রমী ও কর্মঠ

আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

খাগড়াছড়িতে কৃষি ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমানতালে কাজ করছে। পুরুষরা যেমন জমিতে হাল চাষ ও ধান রোপণ করে, তেমনি খাগড়াছড়ি আদিবাসী এমনকি বাঙালি নারীরাও জমিতে নেমে চাষাবাদ ও ধান রোপণ করছে। বরং পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি পরিশ্রমী ও কর্মঠ। তারা সেই ভোর বেলা কিছু খেয়ে জমিতে নামে, দুপুরে খাবারের পর আবারও নিরলসভাবে জমিতে কাজ করে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নারীরা পুরুষদের মতোই জমিতে নেমে চাষাবাদ করছে। তারা বিভিন্ন সবজি যেমন রোপণ করছে, তেমনি ধান চারা পর্যন্ত রোপণ করছে, জালা তোলছে। একেবারে পুরুষের মতোই কাজের পোষাক পরে সারিবদ্ধভাবে ধান চারা জমিতে রোপণ করছে। বিশেষ করে ভাইবোন ছড়ায়, কমলছড়ি হেডম্যান পাড়া, কুড়াদিয়া হড়া, পেড়াছড়া, খাগড়াছড়ি সদরে নিউজিল্যান্ড, সাতভাইয়া পাড়া, পানছড়ি, দীঘিনালা মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি, মাইসছড়ি, গুইমারা, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রামগড় এলাকায় নারীরা পুরুষদের মতোই জমিতে নেমে কাজ করে। তারা দলবদ্ধ হয়ে জমিতে ধান চারা রোপণ করে। তাদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, কাজ করত তাদের কোনো সমস্যা নেই, জমিতে নেমে ধান চারা রোপণ করতে দীর্ঘসময় উপুর হয়ে থাকতে কষ্ট হলেও এতে তাদের আপত্তি নেই। সংসারের চাহিদা মেটাতে জমিতে স্বামী-পুত্রের কাজে সহযোগিতা করতে তারা এ কাজ করছে। এমনকি পুরুষ যাতে ব্যবসা-বাণিজ্যে ও সন্তানরা লেখাপড়া করার সুযোগ পায়, সে জন্যহী নারীরা জমিতে ধান চারা রোপণের মতো কষ্টকর কাজ করছে। পানছড়ির কংচাইরী পাড়া কয়েকজন নারী বলেন, সারাদিন ঘরে তেমন কাজ থাকে না বিশেষ করে চাষাবাদের মৌসুমে কাজ করতে তাদের ভালো লাগে। নিজেদের বা বার্গ জমিতে ধান চারা রোপন যেমন করে তেমনি অন্যের জমিতে দিন মজুর (বদলা) কাজও করে থাকে। এতে তাদের বাড়তি আয় হয় এবং তা সংসারের উপকারে আসে।

খাগড়াছড়ি জেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত)মো: বাছিরুল আলম জানান, পার্বত্য এলাকায় মানুষেরা পুরুষের পাশাপাশি নারীরা ধান মারা, ধান রোপনসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে, সেক্ষেত্রে বাড়তি আয় করছে।  এবছর আমন ধানে লক্ষ্যমাত্রা ২৯ হাজার ৫০ হেক্টর।