০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ 

 
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এনএএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভূয়া সনদে চাকরি, অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ এবং আওয়ামী রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে হুমকির অভিযোগে উপজেলার বৈদ্যেরবাজার এনএএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কামাল হোসেনের অপসারন চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সচেতন মহল।
বৃহস্পতিবার সকালে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে ১৩টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তার অপসারন চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন ভূয়া সনদে ৮ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে ২০১৯ সালে এমপিও ভুক্ত হন। ২০২০-২১ অর্থ বছরে তিনি বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ টাকা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সহসভাপতি এবং আওয়ামী রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন বিক্রি করে সে টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। অতিরিক্ত উন্নয়ন ফি, পরিক্ষার ফি আদায়ের প্রতিবাদ করলে দলীয় প্রভাবে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরন করেন তিনি। এছাড়া তিনি বিদ্যালয়ে যোগদানের পর শিক্ষার মান তলানিতে পৌঁছান বলে অভিযোগে জানা যায়। তাঁর দুর্নীতির তদন্ত করে তাকে অপসারনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার দাবী জানানো হয়।
এ ব্যাপারে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, কামাল স্যারের মতো ভূয়া সনদধারীদের জন্য শিক্ষকতার মতো মহান পেশা কলুষিত হচ্ছে। ভূয়া সনদধারী একজন প্রধান শিক্ষকের কাছে জাতি কি আশা করতে পারে। তিনি তার অফিস কক্ষকে রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন। আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আগে তার অফিসে নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং করতেন। নানা সময়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আসলেও তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ধামাচাঁপা দিতেন। তাঁর কাছে ৩১ লাখ টাকার হিসাব চাইলে তিনি ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে পরিকল্পিতভাবে নথিকক্ষে আগুন লাগিয়ে সব নথি পুড়িয়ে দেন। আমরা এই দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবী করছি।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

মূল্যস্ফীতি এখনো ঊর্ধ্বমুখী

সোনারগাঁয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ 

আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
 
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এনএএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভূয়া সনদে চাকরি, অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ এবং আওয়ামী রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে হুমকির অভিযোগে উপজেলার বৈদ্যেরবাজার এনএএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কামাল হোসেনের অপসারন চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে প্রাক্তন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সচেতন মহল।
বৃহস্পতিবার সকালে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে ১৩টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তার অপসারন চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন ভূয়া সনদে ৮ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে ২০১৯ সালে এমপিও ভুক্ত হন। ২০২০-২১ অর্থ বছরে তিনি বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ টাকা, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সহসভাপতি এবং আওয়ামী রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন বিক্রি করে সে টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। অতিরিক্ত উন্নয়ন ফি, পরিক্ষার ফি আদায়ের প্রতিবাদ করলে দলীয় প্রভাবে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরন করেন তিনি। এছাড়া তিনি বিদ্যালয়ে যোগদানের পর শিক্ষার মান তলানিতে পৌঁছান বলে অভিযোগে জানা যায়। তাঁর দুর্নীতির তদন্ত করে তাকে অপসারনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার দাবী জানানো হয়।
এ ব্যাপারে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, কামাল স্যারের মতো ভূয়া সনদধারীদের জন্য শিক্ষকতার মতো মহান পেশা কলুষিত হচ্ছে। ভূয়া সনদধারী একজন প্রধান শিক্ষকের কাছে জাতি কি আশা করতে পারে। তিনি তার অফিস কক্ষকে রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করতেন। আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আগে তার অফিসে নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং করতেন। নানা সময়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আসলেও তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ধামাচাঁপা দিতেন। তাঁর কাছে ৩১ লাখ টাকার হিসাব চাইলে তিনি ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে পরিকল্পিতভাবে নথিকক্ষে আগুন লাগিয়ে সব নথি পুড়িয়ে দেন। আমরা এই দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবী করছি।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।