কুড়িগ্রামের চিলমারীতে নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই ইট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্কুল সভাপতির বিরুদ্ধে।
জানাগেছে,কুড়িগ্রামের চিলমারীতে গত ৬ জুলাই বন্যায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চর শাখাহাতি ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীভাঙনের হুমকির মুখে পড়লে ওই সময় প্রতিষ্ঠানটির পাশ্বে আর ডি আর এস গ্রামে স্থানান্তরিত করা হয়। সে সময় স্কুলটির প্রায় ৪০ হাজার ইট সংরক্ষণ করা হয়েছিল। তবে সেই ইট নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়াই বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে ৷
কমিটির রেজুলেশন ও নিলাম ছাড়াই অবৈধ পন্থায় দুটি ভবন, ১টি ওয়াশ ব্লক এবং শহীদ মিনারসহ প্রায় ৪০ হাজার ইট বিক্রি করা দেন বিদ্যালয়টির সভাপতি মশিউর। স্থানীয় কালা চাঁন, হাসান, মাফুজারসহ অনেকের কাছে। প্রতি হাজার ইটের মুল্য ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেন তারা। তারা দ্রুত ইটগুলো সরিয়ে ফেলেন।
স্থানীয় হাসান মিয়া বলেন, আমি শেষ সময় ভাঙাচুরা ইট মিলে ৪ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি। টাকাটা সভাপতি মশিউর রহমানকে দিয়েছি৷ সভাপতির ভাইসহ অনেকেই ইট নিয়ে যেতে দেখেছি।
চর শাখাহাতি ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. সাহিদা খাতুন বলেন , সব ইট নদীতে চলে গেছে ইট বিক্রির বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
চিলমারী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,সেদিন আমি উপস্থিত ছিলাম কিন্তু ইট বিক্রি করে টাকা আমি নেইনি মিলন(দপ্তরী) নিয়েছে। প্রায় ৫০ হাজারের মত ইট থাকতে পারে ।
স্কুলের অফিস সহায়ক মিলন মিয়া বলেন, ইট আমি বিক্রি করিনি এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
স্কুলের সহসভাপতি মোছা. সাহেরা খাতুন বলেন, আমি সভাপতির কাছে জানতে চেয়েছি ইটগুলো কোথায়। আমাকে ডেকেছিলেন। তখন আমার বাড়ি সরানোর কাজ চলছিল, তাই যেতে পারিনি। এখন সভাপতি বলছে রফিকুল মেম্বারকে ইটের দায়িত্ব দিছে। উনি কি করছে সেটা আমার জানা নেই। ইট বিক্রির কমিটির রেজুলেশন হয়নি।
এ বিষয়ে চিলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান বলেন,আমি উলিপুরে চাকরির সুবাদে থাকি তাই কমিটির সদস্য রফিকুল চাচা (মেম্বার)কে ইটের দায়িত্ব দিয়েছি। স্কুল স্থানান্তর করাতে দুই লাখ টাকা আমার খরচ হয়ে গেছে।সেই চিন্তায় বাচিনা। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বেশির ভাগ নদীতে ইট চলে গেছে আর বাকি ইট স্কুলে আছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমকতা (ভারপ্রাপ্ত) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, স্কুলটি ভাঙার সময় সভাপতি বলেছিল ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে পরে আমরা ইউএনও স্যারের সঙ্গে বসে ৬০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছি খরচ বাবদ। শেষ পর্যন্ত তিনি এক টাকাও পাননি, তবে পরে জানতে পেরেছি তিনি ২-৩ নৌকা ইট সরিয়ে নিয়েছেন, বাকিগুলো সরানো সম্ভব হয়নি। তবে নিলাম হয়েছে কিনা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ওই কর্মকর্তা।
উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


























