০৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পবিপ্রবিতে আরো ৫ বহিরাগত মাদকসেবী আটক 

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) আবাসিক হল সংলগ্ন রাস্তায় মাদকসেবনরত অবস্থায়  বহিরাগত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে গতকাল ১৫ নভেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পেছন থেকে ৩ জন মাদকসেবি ও মাদকবিক্রেতাকে আটক করা হয়।

১৬ নভেম্বর (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয় এর আবাসিক হল সংলগ্ন রাস্তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর আবুল বাশার খান এর নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডি, নিরাপত্তা শাখার প্রধান মুকিত মিয়া সহ নিরাপত্তা টীম মাদকসেবনরত অবস্থায় ৫ জন মাদকসেবীকে হাতেনাতে আটক করে। তারা হলেন- পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার দুমকি-১ নং গ্রামের নাসির খানের পুত্র কে এম আব্দুল্লাহ(১৬), শ্রীরামপুর, জামলা ৫ নং ওয়ার্ডের মোঃ আবুল কালামের পুত্র মোঃ মুছাব্বির, আঙ্গারিয়া জালিশা গ্রামের দলিল উদ্দিন এর পুত্র মোঃ সৌরভ(১৭), সাতানির সেলিম হকের পুত্র মোঃ রাফি (১৭) এবং শ্রীরামপুর ১নং ওয়ার্ডের ইউনুচ আলী মৃধার পুত্র আব্দুল্লাহ আল নোমান(১৭)। তাদের কাছ থেকে গাঁজা, গাঁজা সেবনের সরঞ্জামাদি, জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী(কনডম) উদ্ধার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, “বর্তমানে প্রক্টরিয়াল টীম সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আমরা ২ জনকে শাস্তির আওতায় এনেছি। আজকেও আমরা ৫ জন কে আটক করেছি। বর্তমানে আমাদের চলমান এই অভিযান ও তদারকির ফলে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মাদকের প্রাপ্তি ও সহজলভ্যতা কমাতে পেরেছি। আমাদের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বর্তমানে প্রক্টরিয়াল এবং এডভাইজরি  টীম সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নয় সম্পূর্ণ নির্মূলের জন্য নিরলস কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নিয়মিত টহল ও তদারকি করছি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। গতকালও এমন অভিযান হয়েছে। বর্তমানে আমাদের চলমান এই অভিযান ও তদারকির ফলে মাদকের যোগান ও সেবনে আমরা কিছুটা হলেও লাগাম টানতে সক্ষম হয়েছি।” তবে মূল মাদক কারবারিদের ধরবার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও গোয়েন্দা সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া পুরো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাদক সম্পূর্ণভাবে নির্মূলের জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

উল্লেখ্য যে, বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই মাদকসহ চলমান বিভিন্ন অন্যায়-অনিয়ম নির্মূলের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে দায়িত্ব পালনের জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

পবিপ্রবিতে আরো ৫ বহিরাগত মাদকসেবী আটক 

আপডেট সময় : ১০:১৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) আবাসিক হল সংলগ্ন রাস্তায় মাদকসেবনরত অবস্থায়  বহিরাগত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে গতকাল ১৫ নভেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পেছন থেকে ৩ জন মাদকসেবি ও মাদকবিক্রেতাকে আটক করা হয়।

১৬ নভেম্বর (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয় এর আবাসিক হল সংলগ্ন রাস্তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর আবুল বাশার খান এর নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডি, নিরাপত্তা শাখার প্রধান মুকিত মিয়া সহ নিরাপত্তা টীম মাদকসেবনরত অবস্থায় ৫ জন মাদকসেবীকে হাতেনাতে আটক করে। তারা হলেন- পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার দুমকি-১ নং গ্রামের নাসির খানের পুত্র কে এম আব্দুল্লাহ(১৬), শ্রীরামপুর, জামলা ৫ নং ওয়ার্ডের মোঃ আবুল কালামের পুত্র মোঃ মুছাব্বির, আঙ্গারিয়া জালিশা গ্রামের দলিল উদ্দিন এর পুত্র মোঃ সৌরভ(১৭), সাতানির সেলিম হকের পুত্র মোঃ রাফি (১৭) এবং শ্রীরামপুর ১নং ওয়ার্ডের ইউনুচ আলী মৃধার পুত্র আব্দুল্লাহ আল নোমান(১৭)। তাদের কাছ থেকে গাঁজা, গাঁজা সেবনের সরঞ্জামাদি, জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী(কনডম) উদ্ধার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন, “বর্তমানে প্রক্টরিয়াল টীম সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আমরা ২ জনকে শাস্তির আওতায় এনেছি। আজকেও আমরা ৫ জন কে আটক করেছি। বর্তমানে আমাদের চলমান এই অভিযান ও তদারকির ফলে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মাদকের প্রাপ্তি ও সহজলভ্যতা কমাতে পেরেছি। আমাদের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।”

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বর্তমানে প্রক্টরিয়াল এবং এডভাইজরি  টীম সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নয় সম্পূর্ণ নির্মূলের জন্য নিরলস কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা নিয়মিত টহল ও তদারকি করছি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। গতকালও এমন অভিযান হয়েছে। বর্তমানে আমাদের চলমান এই অভিযান ও তদারকির ফলে মাদকের যোগান ও সেবনে আমরা কিছুটা হলেও লাগাম টানতে সক্ষম হয়েছি।” তবে মূল মাদক কারবারিদের ধরবার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও গোয়েন্দা সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া পুরো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাদক সম্পূর্ণভাবে নির্মূলের জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

উল্লেখ্য যে, বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই মাদকসহ চলমান বিভিন্ন অন্যায়-অনিয়ম নির্মূলের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে দায়িত্ব পালনের জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।