০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার দাবীতে ইবির প্রশাসন ভবনে তালা

আসন্ন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত প্রশাসন ভবন তালাবদ্ধ থাকার পরে আগামীকাল উপাচার্যের সাথে আলোচনার আশ্বাসে তালা খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা৷

শনিবার (৪ জানুয়ারি) ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ এর উভয় গেইটে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা ইবির স্বাধীনতা, রক্ষা করো করতে হবে; ইবির স্বতন্ত্রতা, রক্ষা করো করতে হবে; জবি যখন স্বাধীন, ইবি কেনো পরাধীন; সাস্ট যখন স্বাধীন, ইবি কেনো পরাধীন; খুবি যখন স্বাধীন, ইবি কেনো পরাধীন; জেগেছে রে জেগেছে, ইবিয়ানরা জেগেছে; জবি, খুবি বাহিরে, আমরা কেনো গুচ্ছে; সাস্ট গেছে যেই পথে, ইবি যাবে সেই পথে; খুবি গেছে যেই পথে, ইবি যাবে সেই পথে ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তাদের সাথে কথা বলেন উপ-উপাচার্য ড. এম এয়াকুব আলী। এসময় তিনি আগামীকাল উপাচার্যের সাথে আলোচনার আশ্বাসে দিলে প্রায় দেড় ঘন্টা পর ভবনের তালা খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভর্তি নেয়ার ফলে দীর্ঘ সেশনজট সহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি জগন্নাথ, খুলনা এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেছে। আমরা চাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি নেয়ার মাধ্যমে তার স্বকীয়তা বজায় রাখবে। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন বন্ধ করবো না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যা আমাদের দাবিও একই। আমরা বিষয়টি নিয়ে অবগত আছি। উপাচার্য আসার পর সবার সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় এখন ক্যাম্পাসে নেই। তিনি আজকে আসবেন এবং আগামীকাল বিকেল ৩টায় ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে বসবেন। সবার সাথে বসে আমরা গুচ্ছে থাকা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার দাবীতে ইবির প্রশাসন ভবনে তালা

আপডেট সময় : ০২:৩১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

আসন্ন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত প্রশাসন ভবন তালাবদ্ধ থাকার পরে আগামীকাল উপাচার্যের সাথে আলোচনার আশ্বাসে তালা খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা৷

শনিবার (৪ জানুয়ারি) ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-১ এর উভয় গেইটে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার এবং প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা ইবির স্বাধীনতা, রক্ষা করো করতে হবে; ইবির স্বতন্ত্রতা, রক্ষা করো করতে হবে; জবি যখন স্বাধীন, ইবি কেনো পরাধীন; সাস্ট যখন স্বাধীন, ইবি কেনো পরাধীন; খুবি যখন স্বাধীন, ইবি কেনো পরাধীন; জেগেছে রে জেগেছে, ইবিয়ানরা জেগেছে; জবি, খুবি বাহিরে, আমরা কেনো গুচ্ছে; সাস্ট গেছে যেই পথে, ইবি যাবে সেই পথে; খুবি গেছে যেই পথে, ইবি যাবে সেই পথে ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তাদের সাথে কথা বলেন উপ-উপাচার্য ড. এম এয়াকুব আলী। এসময় তিনি আগামীকাল উপাচার্যের সাথে আলোচনার আশ্বাসে দিলে প্রায় দেড় ঘন্টা পর ভবনের তালা খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভর্তি নেয়ার ফলে দীর্ঘ সেশনজট সহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি জগন্নাথ, খুলনা এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেছে। আমরা চাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি নেয়ার মাধ্যমে তার স্বকীয়তা বজায় রাখবে। আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন বন্ধ করবো না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যা আমাদের দাবিও একই। আমরা বিষয়টি নিয়ে অবগত আছি। উপাচার্য আসার পর সবার সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় এখন ক্যাম্পাসে নেই। তিনি আজকে আসবেন এবং আগামীকাল বিকেল ৩টায় ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে বসবেন। সবার সাথে বসে আমরা গুচ্ছে থাকা না থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো।