০২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দফা

 চার ইসরায়েলির বদলে ২০০ ফিলিস্তিনি

  1. জেনিন ছাড়ছে শত শত ফিলিস্তিনি পরিবার
  2. যুদ্ধ শুরুর পর ১৫ হাজার যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে হামাস
  3. নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ৬০ শতাংশেরও বেশি ইসরায়েলি

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় ইসরায়েলি জিম্মি চার নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গাজায় আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া ওই তিন জিম্মি গতকাল ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। এই জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ২০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার সকালের দিকে গাজা নগরীতে এক অনুষ্ঠানে ইসরায়েলি চার জিম্মিকে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাদের হাস্যোজ্জ্বল ও হাত নাড়িয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়। ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির এই অনুষ্ঠানস্থলে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র সদস্যদের দেখা যায়। পরে রেডক্রসের প্রতিনিধিদের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে রেডক্রসের সদস্যরা এই জিম্মিদের নিয়ে ইসরায়েলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এএফপি বলছে, গাজায় হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি চার জিম্মি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। এ তথ্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, গাজায় মুক্তি পাওয়া চার জিম্মিকে পেয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। গাজায় ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মুক্তি পাওয়া চার ইসরায়েলি সেনা হলেন, কারিনা আরিয়েভ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি এবং লিরি আলবাগ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি একটি সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করেন। পরে সেখান থেকে ইসরায়েলি এই চার নারী সৈন্যকে ধরে নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। হামাস বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে শনিবার ২০০ বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। তাদের মধ্যে ইসরায়েলের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হামাস যোদ্ধারাও রয়েছে।
এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে গত শুক্রবারও অভিযান চালিয়ে ইসরায়েল। এ অবস্থায় জেনিন শরণার্থী শিবির ও আশপাশের এলাকা থেকে শত শত ফিলিস্তিনি পরিবার অন্যত্র সরে গেছে। আটক করা হয়েছে ফিলিস্তিনের ২২ বাসিন্দাকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এখন পশ্চিম তীরকে টার্গেট করছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে। জেনিনের গভর্নর আবু আল রুব এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ড্রোন ও সামরিক যানবাহনে লাউড স্পিকার ব্যবহার করে শরণার্থী শিবির খালি করার নির্দেশ দেয়। এর পরই ক্যাম্পের শত শত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। ইসরায়েলের পাবলিক রেডিও জানিয়েছে, ২ হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির ছেড়ে পালিয়েছেন। এ অবস্থায় আইডিএফ পশ্চিম তীরে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, ইসরায়েলের বাহিনী পশ্চিম তীরজুড়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় তৎপরতা জোরদার করেছে। জেরিকো থেকে রামাল্লা পর্যন্ত শহরগুলোতে আরও তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। ফলে অঞ্চলজুড়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। জেনিন ক্যাম্পের জুরেট আল-ধাহাবপাড়া থেকে পালিয়ে আসা ৬৫ বছর বয়সী সালেহ আম্মার বলেন, তিনি নিজের চোখে দেখেছেন ১২টি ইসরায়েলি বড় বুলডোজার তারা শহর ধ্বংসের জন্য আনে। ভয় দেখিয়ে শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দাদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা ঘরবাড়িতে আগুন দিচ্ছে। এমনকি ছাদ থেকে স্নাইপার স্থাপন করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে।
অন্যদিকে, ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামাস ১০ থেকে ১৫ হাজার যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে, যা ইসরাইলের জন্য হুমকি বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কংগ্রেসের সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, দেড় বছরের যুদ্ধে প্রায় একই সংখ্যক হামাসের যোদ্ধা নিহত হয়েছে। সূত্রগুলো বলছে, হামাস অব্যাহতভাবে নতুন নতুন সদস্য নিয়োগ দিয়েছে, যাদের অধিকাংশই তরুণ ও অপ্রশিক্ষিত। এ বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালকের কার্যালয়ের কাছে তথ্য চাওয়া হলে তারা রয়টার্সের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আবার এদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলা এবং নাগরিকদের যথাযথ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান দেশটির ৬২ শতাংশ নাগরিক। দেশটির দৈনিক মারিভ পরিচালিত এক জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য। জরিপে অংশ নেওয়া ইসরায়েলিদের মধ্যে ৬২ শতাংশ জানিয়েছেন তারা নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান, ২৯ শতাংশ জানিয়েছেন যে তারা প্রধানমন্ত্রীর পদে নেতানিয়াহুকেই দেখতে চান এবং ১৯ শতাংশ কোনো মন্তব্য করেন নি। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন লিকুদ পার্টির সমর্থকদের পাশাপাশি ইসরায়েলের বর্তমানে ক্ষমতাসীন জোট সরকারভুক্ত দলগুলো এবং বিরোধী দলগুলোর সমর্থকরা ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দফা

 চার ইসরায়েলির বদলে ২০০ ফিলিস্তিনি

আপডেট সময় : ০৯:৪৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  1. জেনিন ছাড়ছে শত শত ফিলিস্তিনি পরিবার
  2. যুদ্ধ শুরুর পর ১৫ হাজার যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে হামাস
  3. নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ৬০ শতাংশেরও বেশি ইসরায়েলি

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় ইসরায়েলি জিম্মি চার নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গাজায় আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া ওই তিন জিম্মি গতকাল ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। এই জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ২০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার সকালের দিকে গাজা নগরীতে এক অনুষ্ঠানে ইসরায়েলি চার জিম্মিকে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাদের হাস্যোজ্জ্বল ও হাত নাড়িয়ে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়। ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির এই অনুষ্ঠানস্থলে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র সদস্যদের দেখা যায়। পরে রেডক্রসের প্রতিনিধিদের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়। সেখান থেকে রেডক্রসের সদস্যরা এই জিম্মিদের নিয়ে ইসরায়েলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এএফপি বলছে, গাজায় হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি চার জিম্মি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। এ তথ্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, গাজায় মুক্তি পাওয়া চার জিম্মিকে পেয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। গাজায় ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মুক্তি পাওয়া চার ইসরায়েলি সেনা হলেন, কারিনা আরিয়েভ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি এবং লিরি আলবাগ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের গাজা সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি একটি সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করেন। পরে সেখান থেকে ইসরায়েলি এই চার নারী সৈন্যকে ধরে নিয়ে যান হামাস যোদ্ধারা। হামাস বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে শনিবার ২০০ বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। তাদের মধ্যে ইসরায়েলের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হামাস যোদ্ধারাও রয়েছে।
এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে গত শুক্রবারও অভিযান চালিয়ে ইসরায়েল। এ অবস্থায় জেনিন শরণার্থী শিবির ও আশপাশের এলাকা থেকে শত শত ফিলিস্তিনি পরিবার অন্যত্র সরে গেছে। আটক করা হয়েছে ফিলিস্তিনের ২২ বাসিন্দাকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এখন পশ্চিম তীরকে টার্গেট করছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে। জেনিনের গভর্নর আবু আল রুব এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ড্রোন ও সামরিক যানবাহনে লাউড স্পিকার ব্যবহার করে শরণার্থী শিবির খালি করার নির্দেশ দেয়। এর পরই ক্যাম্পের শত শত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। ইসরায়েলের পাবলিক রেডিও জানিয়েছে, ২ হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির ছেড়ে পালিয়েছেন। এ অবস্থায় আইডিএফ পশ্চিম তীরে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, ইসরায়েলের বাহিনী পশ্চিম তীরজুড়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় তৎপরতা জোরদার করেছে। জেরিকো থেকে রামাল্লা পর্যন্ত শহরগুলোতে আরও তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। ফলে অঞ্চলজুড়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। জেনিন ক্যাম্পের জুরেট আল-ধাহাবপাড়া থেকে পালিয়ে আসা ৬৫ বছর বয়সী সালেহ আম্মার বলেন, তিনি নিজের চোখে দেখেছেন ১২টি ইসরায়েলি বড় বুলডোজার তারা শহর ধ্বংসের জন্য আনে। ভয় দেখিয়ে শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দাদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা ঘরবাড়িতে আগুন দিচ্ছে। এমনকি ছাদ থেকে স্নাইপার স্থাপন করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছে।
অন্যদিকে, ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামাস ১০ থেকে ১৫ হাজার যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে, যা ইসরাইলের জন্য হুমকি বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কংগ্রেসের সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, দেড় বছরের যুদ্ধে প্রায় একই সংখ্যক হামাসের যোদ্ধা নিহত হয়েছে। সূত্রগুলো বলছে, হামাস অব্যাহতভাবে নতুন নতুন সদস্য নিয়োগ দিয়েছে, যাদের অধিকাংশই তরুণ ও অপ্রশিক্ষিত। এ বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা পরিচালকের কার্যালয়ের কাছে তথ্য চাওয়া হলে তারা রয়টার্সের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
আবার এদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলা এবং নাগরিকদের যথাযথ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান দেশটির ৬২ শতাংশ নাগরিক। দেশটির দৈনিক মারিভ পরিচালিত এক জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য। জরিপে অংশ নেওয়া ইসরায়েলিদের মধ্যে ৬২ শতাংশ জানিয়েছেন তারা নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান, ২৯ শতাংশ জানিয়েছেন যে তারা প্রধানমন্ত্রীর পদে নেতানিয়াহুকেই দেখতে চান এবং ১৯ শতাংশ কোনো মন্তব্য করেন নি। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন লিকুদ পার্টির সমর্থকদের পাশাপাশি ইসরায়েলের বর্তমানে ক্ষমতাসীন জোট সরকারভুক্ত দলগুলো এবং বিরোধী দলগুলোর সমর্থকরা ছিলেন।