১১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল

নান্দাইলে নারী চক্রের ভয়ঙ্কর ফাঁদ ‘হানিট্র্যাপ’

ধনাঢ্য ও করপোরেট ব্যক্তিদের টার্গেট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মেয়েদের আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো। সেখান থেকে বন্ধুত্বের শুরু। এরপর ধীরে ধীরে তা পরিণত হয় ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে। ভিডিওকলে আলাপচারিতা, পর্যায়ক্রমে কখনও বাসায় আবার কখনও হোটেলে একান্ত সাক্ষাত। এমনকি সেই অবস্থায় কৌশলে ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে ফেলা হয় ফাঁদে। এরপর ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নেওয়া হয় মোটা অংকের টাকা।
এতোদিন ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরকেন্দ্রীক এমন প্রতারণা চক্রের খবর সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হলেও এবার জেলা শহর পেরিয়ে এমনসব ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলাতে। ফেসবুক, ইমু, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কাজে লাগিয়ে অবাধেই প্রতারণার ফাঁদ পেতে যাচ্ছে একাধিক চক্র। আর এসব ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক থেকে শুরু করে সেনা ও পুলিশ সদস্যরাও।
উপজেলায় অন্তত অর্ধশত মানুষকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলিং করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া এমন একটি চক্রের খবরে অনুসন্ধান চালায় দৈনিক সবুজ বাংলা। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ফরিদা, সুলতানা, শিরিন, জেসমিন, রোজী_এসব ১৫ থেকে ২০টি নাম ব্যবহার করে চক্রের সদস্যরা। শুরুতে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট, তারপর নানা আকর্ষণীয় মেসেজ পাঠায় তারা। কোন ব্যক্তি সেসব মেসেজে সাড়া দিলেই শুরু হয় তাদের আসল কাজ। এরপর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে কয়েকদিন যৌন সুড়সুড়িমূলক কথাবার্তা বলা হয়। বশে আনার জন্য লোভ দেখানো হয় একান্ত আপন করে পাবার।
একমাসের অনুসন্ধানে যা দেখা গেছে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চক্রটির এক সদস্য জানান, ‘বেশ কয়েকদিন মোবাইল ও চ্যাটিংয়ে কথাবার্তা বলার পর কখনও বাসায় বা কোন হোটেলে একান্ত সাক্ষাতের আয়োজন করা হয়। এমনকি সেই জায়গায় পূর্বে থেকেই প্রস্তুত থাকে ভিডিওধারণ করার নানান উপকরণ। এরপর কৌশলে বিভিন্ন সময়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সেগুলোর কিছু অংশ ছবি-ভিডিও বন্ধু-স্বজনদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে সারাদেশেব্যাপী ভাইরালের হুমকি ধামকিও দেওয়া হয়। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে মামলার হুমকির ভয়ভীতি দেখিয়েও আদায় করা হয় মোটা অংকের টাকা।’
চক্রের এই সদস্যের দেওয়া তথ্য এবং চক্রটির পেছনে প্রায় একমাসের অনুসন্ধানে যা দেখা গেছে, তা রীতিমতো গা শিউরে উঠার মতোই ব্যাপার। অনুসন্ধান বলছে, এই প্রতারকদের সোর্স প্রশাসন থেকে শুরু করে আছে প্রতিটি স্থরেই। প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ছাড়াও এই চক্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ স্থানীয় কয়েকজন নামধারী সংবাদকর্মীও।
ভয়াবহ এই নারী চক্রের সদস্য দৈসিক সবুজ বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এই কাজে সোর্স হিসেবে কাজ করেন প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাংবাদিক স্থানীয় সাংবাদিক, প্রভাবশালী ব্যক্তিও। প্রথমে আমরা মক্কেলকে (প্রতারিত ব্যক্তি) ব্ল্যাকমেইল করে টাকা নেই। এরপর তার সকল তথ্য-প্রমাণ চলে যায় চিহ্নিত নেতা এবং  সাংবাদিকদের কাছে। পরে সাংবাদিক এবং নেতা মিলে মোটা সেই মক্কেলের কাছ থেকে দ্বিতীয় ধাপে টাকা নিয়ে আপোষ করেন।’
সম্মানহানির ভয়ে চুপ ভুক্তভোগীরা, বেড়েই চলছে প্রতারণা
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব প্রতারণার ঘটনায় অনেকে সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে টাকা দিয়ে চেপে যাচ্ছেন। এমনকি চাকরি এবং সম্মানহানির ভয়ে থানায় অভিযোগও করতে চান না ভুক্তভোগীরা। যে কারণে দিন দিন বেড়েই চলছে এই প্রতারক চক্রের তৎপরতা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রথমে আমার নাম্বারে অজ্ঞাত মহিলা ফোন করে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে বন্ধুত্ব করে। এরপর যৌন সুড়সুড়ি মূলক কথা বলে আমাকে কাবু করে ফেলে। কিছু বুঝে উঠার আগেই একদিন দেখা করতে বলে এবং শারীরিক সম্পর্কের প্রলোভন দেখায়। আমি বুঝতে পারিনি সে আমার আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করছে। এরপর বুঝতে পেরে আমি সড়ে আসি।’
তিনি বলেন, ‘এর দুই-তিনদিন পরই কুরুচিপূর্ণ ভিডিও দিয়ে আমার কাছে টাকা দাবি করে। এমনকি তখন মান-সম্মানের ভয়ে আমি টাকা দেই। কিন্তু কিছু দিন পরপর সে টাকা দাবি করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে সামাজিক যোগাযোগ ম্যধমে ছবি ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখায় এবং মামলার হুমকি দেয়। এরপর দুইজন সাংবাদিক আসে আমার কাছে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে। এরপর তাদেরকেও টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধান করি।’
ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষক বলেন, ‘প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আমিও তার সাথে গোপনে সাক্ষাত করি। কিন্তু সেই অবস্থার আপত্তিকর ছবি-ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এমনকি মামলা করারও হুমকি দেয়। তারা বলে তাদের সাথে নাকি পুলিশেরও যোগসাজশ আছে। তাই ভয়ে আমি কয়েকদফা টাকা দিয়ে দেই।’
তিনি বলেন, ‘ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ে দেখিয়ে এবং ব্ল্যাকমেইল করে তারা আমার থেকে লাখ-তিনেকের মতো টাকা নিয়েছে। আমিও সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে টাকা দিয়েছি। কিন্তু সম্মানহানি ভয়ে থানায় অভিযোগও দিতে পারছি না।’
অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা: ওসি
এবিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদ বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এই ধরণের কোন অভিযোগ পাইনি। তবে লোকমুখে এসব ঘটনা কয়েকবার শুনেছি। কেউ যদি এসে অভিযোগ জানায়, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইন্টারনালি খোঁজ নিচ্ছি। এই চক্রের সাথে যারাই জড়িত আছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে। এসব প্রতারকচক্রের প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে অধিকতর সতর্কতা ও সচেতন থাকতে হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল

নান্দাইলে নারী চক্রের ভয়ঙ্কর ফাঁদ ‘হানিট্র্যাপ’

আপডেট সময় : ০৭:১৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ধনাঢ্য ও করপোরেট ব্যক্তিদের টার্গেট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মেয়েদের আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো। সেখান থেকে বন্ধুত্বের শুরু। এরপর ধীরে ধীরে তা পরিণত হয় ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে। ভিডিওকলে আলাপচারিতা, পর্যায়ক্রমে কখনও বাসায় আবার কখনও হোটেলে একান্ত সাক্ষাত। এমনকি সেই অবস্থায় কৌশলে ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে ফেলা হয় ফাঁদে। এরপর ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নেওয়া হয় মোটা অংকের টাকা।
এতোদিন ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরকেন্দ্রীক এমন প্রতারণা চক্রের খবর সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হলেও এবার জেলা শহর পেরিয়ে এমনসব ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলাতে। ফেসবুক, ইমু, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কাজে লাগিয়ে অবাধেই প্রতারণার ফাঁদ পেতে যাচ্ছে একাধিক চক্র। আর এসব ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে ব্যাংক কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক থেকে শুরু করে সেনা ও পুলিশ সদস্যরাও।
উপজেলায় অন্তত অর্ধশত মানুষকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলিং করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া এমন একটি চক্রের খবরে অনুসন্ধান চালায় দৈনিক সবুজ বাংলা। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ফরিদা, সুলতানা, শিরিন, জেসমিন, রোজী_এসব ১৫ থেকে ২০টি নাম ব্যবহার করে চক্রের সদস্যরা। শুরুতে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট, তারপর নানা আকর্ষণীয় মেসেজ পাঠায় তারা। কোন ব্যক্তি সেসব মেসেজে সাড়া দিলেই শুরু হয় তাদের আসল কাজ। এরপর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে কয়েকদিন যৌন সুড়সুড়িমূলক কথাবার্তা বলা হয়। বশে আনার জন্য লোভ দেখানো হয় একান্ত আপন করে পাবার।
একমাসের অনুসন্ধানে যা দেখা গেছে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চক্রটির এক সদস্য জানান, ‘বেশ কয়েকদিন মোবাইল ও চ্যাটিংয়ে কথাবার্তা বলার পর কখনও বাসায় বা কোন হোটেলে একান্ত সাক্ষাতের আয়োজন করা হয়। এমনকি সেই জায়গায় পূর্বে থেকেই প্রস্তুত থাকে ভিডিওধারণ করার নানান উপকরণ। এরপর কৌশলে বিভিন্ন সময়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সেগুলোর কিছু অংশ ছবি-ভিডিও বন্ধু-স্বজনদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে সারাদেশেব্যাপী ভাইরালের হুমকি ধামকিও দেওয়া হয়। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে মামলার হুমকির ভয়ভীতি দেখিয়েও আদায় করা হয় মোটা অংকের টাকা।’
চক্রের এই সদস্যের দেওয়া তথ্য এবং চক্রটির পেছনে প্রায় একমাসের অনুসন্ধানে যা দেখা গেছে, তা রীতিমতো গা শিউরে উঠার মতোই ব্যাপার। অনুসন্ধান বলছে, এই প্রতারকদের সোর্স প্রশাসন থেকে শুরু করে আছে প্রতিটি স্থরেই। প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ছাড়াও এই চক্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ স্থানীয় কয়েকজন নামধারী সংবাদকর্মীও।
ভয়াবহ এই নারী চক্রের সদস্য দৈসিক সবুজ বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এই কাজে সোর্স হিসেবে কাজ করেন প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাংবাদিক স্থানীয় সাংবাদিক, প্রভাবশালী ব্যক্তিও। প্রথমে আমরা মক্কেলকে (প্রতারিত ব্যক্তি) ব্ল্যাকমেইল করে টাকা নেই। এরপর তার সকল তথ্য-প্রমাণ চলে যায় চিহ্নিত নেতা এবং  সাংবাদিকদের কাছে। পরে সাংবাদিক এবং নেতা মিলে মোটা সেই মক্কেলের কাছ থেকে দ্বিতীয় ধাপে টাকা নিয়ে আপোষ করেন।’
সম্মানহানির ভয়ে চুপ ভুক্তভোগীরা, বেড়েই চলছে প্রতারণা
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব প্রতারণার ঘটনায় অনেকে সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে টাকা দিয়ে চেপে যাচ্ছেন। এমনকি চাকরি এবং সম্মানহানির ভয়ে থানায় অভিযোগও করতে চান না ভুক্তভোগীরা। যে কারণে দিন দিন বেড়েই চলছে এই প্রতারক চক্রের তৎপরতা।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রথমে আমার নাম্বারে অজ্ঞাত মহিলা ফোন করে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে বন্ধুত্ব করে। এরপর যৌন সুড়সুড়ি মূলক কথা বলে আমাকে কাবু করে ফেলে। কিছু বুঝে উঠার আগেই একদিন দেখা করতে বলে এবং শারীরিক সম্পর্কের প্রলোভন দেখায়। আমি বুঝতে পারিনি সে আমার আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করছে। এরপর বুঝতে পেরে আমি সড়ে আসি।’
তিনি বলেন, ‘এর দুই-তিনদিন পরই কুরুচিপূর্ণ ভিডিও দিয়ে আমার কাছে টাকা দাবি করে। এমনকি তখন মান-সম্মানের ভয়ে আমি টাকা দেই। কিন্তু কিছু দিন পরপর সে টাকা দাবি করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে সে সামাজিক যোগাযোগ ম্যধমে ছবি ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখায় এবং মামলার হুমকি দেয়। এরপর দুইজন সাংবাদিক আসে আমার কাছে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে। এরপর তাদেরকেও টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধান করি।’
ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষক বলেন, ‘প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আমিও তার সাথে গোপনে সাক্ষাত করি। কিন্তু সেই অবস্থার আপত্তিকর ছবি-ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এমনকি মামলা করারও হুমকি দেয়। তারা বলে তাদের সাথে নাকি পুলিশেরও যোগসাজশ আছে। তাই ভয়ে আমি কয়েকদফা টাকা দিয়ে দেই।’
তিনি বলেন, ‘ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ে দেখিয়ে এবং ব্ল্যাকমেইল করে তারা আমার থেকে লাখ-তিনেকের মতো টাকা নিয়েছে। আমিও সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে টাকা দিয়েছি। কিন্তু সম্মানহানি ভয়ে থানায় অভিযোগও দিতে পারছি না।’
অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা: ওসি
এবিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদ বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এই ধরণের কোন অভিযোগ পাইনি। তবে লোকমুখে এসব ঘটনা কয়েকবার শুনেছি। কেউ যদি এসে অভিযোগ জানায়, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইন্টারনালি খোঁজ নিচ্ছি। এই চক্রের সাথে যারাই জড়িত আছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে। এসব প্রতারকচক্রের প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে অধিকতর সতর্কতা ও সচেতন থাকতে হবে।