০২:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় দেওয়ার বিনিময়ে ৫০০ টাকা দেবেন ইবি সমন্বয়ক

প্রত্যেক ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে থানায় হস্তান্তরের বিনিময়ে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট।  তিনি বলেছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাদের ধরে থানায় দিতে পারলে প্রত্যেক নেতার বিনিময়ে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে থানায় জমা দিন। আমরা দেখতে চাই আপনারা কে কতজন ছাত্রলীগ নেতাকে ধরতে চান।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৯ টায় কুয়েটে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ইবি সমন্বয়ক বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যখন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ হামলা করে তখন আমরা বলেছি সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ। এখন যদি সেই সন্ত্রাস ছাত্রদল হয় তাহলে আমার সন্ত্রাসী ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বলতে কোন আপত্তি নেই। অন্তর্বর্তীকাল সরকারের উপদেষ্টারা যখন দেশ সংস্কারে নিরলস পরিশ্রম করছে তখন আপনাদের এই কর্মসূচি মাধ্যমে আপনারা পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পুনর্বাসনকে কয়েক ধাপে এগিয়ে দিচ্ছেন কিনা সেই প্রশ্ন রেখে গেলাম। অনেকেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে জিজ্ঞেস করে যে আমরা কারা। আমরা তাদের বলে দিতে চাই আমরা ঈদের পরে আন্দোলন করার মানুষ না। আমরা ১৬-১৭ বছরের স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা কে সরিয়ে দেওয়া ছাত্রজনতা।

সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, শেখ হাসিনা সরকার থাকাকালীন অন্য কেউ আন্দোলন করতে না পারলেও আমরা তার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলাম। আজ, পাখা গজানো কেউ যদি এই ধরনের হামলার চেষ্টা করে ছাত্র সমাজ ছেড়ে দিবে না। বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশকে সংস্কার করার, ঠিক তার বিপরীতে একদল লোক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের কাজে যদি বাধা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয় এবং দেশের ক্যাম্পাস সমূহে কারো গায়ে হাত তোলা হয় আমরা ছাত্রসমাজ দল-মত নির্বিশেষে প্রতিহত করবো ইনশা-আল্লাহ।

এদিন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়ামোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ মিনারে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সন্ত্রাস, একসাথে চলে না; লীগ গেছে যে পথে, দল যাবে সেই পথে; টেম্পু না শিক্ষা, শিক্ষা শিক্ষা; চাঁদাবাজি না শিক্ষা, শিক্ষা শিক্ষা; হৈ রৈ রৈ, ছাত্রদল গেলি কই; ছাত্রদলের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশান; ছাত্রদলের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এতে ইবি সমন্বয়ক ছাড়াও সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াশিরুল কবীর সৌরভ, সায়েম আহমেদ, ইসমাইল হোসেন রাহাত এবং প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় দেওয়ার বিনিময়ে ৫০০ টাকা দেবেন ইবি সমন্বয়ক

আপডেট সময় : ১০:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যেক ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে থানায় হস্তান্তরের বিনিময়ে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক এস এম সুইট।  তিনি বলেছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাদের ধরে থানায় দিতে পারলে প্রত্যেক নেতার বিনিময়ে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে থানায় জমা দিন। আমরা দেখতে চাই আপনারা কে কতজন ছাত্রলীগ নেতাকে ধরতে চান।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৯ টায় কুয়েটে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ইবি সমন্বয়ক বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যখন সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ হামলা করে তখন আমরা বলেছি সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ। এখন যদি সেই সন্ত্রাস ছাত্রদল হয় তাহলে আমার সন্ত্রাসী ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বলতে কোন আপত্তি নেই। অন্তর্বর্তীকাল সরকারের উপদেষ্টারা যখন দেশ সংস্কারে নিরলস পরিশ্রম করছে তখন আপনাদের এই কর্মসূচি মাধ্যমে আপনারা পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পুনর্বাসনকে কয়েক ধাপে এগিয়ে দিচ্ছেন কিনা সেই প্রশ্ন রেখে গেলাম। অনেকেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে জিজ্ঞেস করে যে আমরা কারা। আমরা তাদের বলে দিতে চাই আমরা ঈদের পরে আন্দোলন করার মানুষ না। আমরা ১৬-১৭ বছরের স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা কে সরিয়ে দেওয়া ছাত্রজনতা।

সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, শেখ হাসিনা সরকার থাকাকালীন অন্য কেউ আন্দোলন করতে না পারলেও আমরা তার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলাম। আজ, পাখা গজানো কেউ যদি এই ধরনের হামলার চেষ্টা করে ছাত্র সমাজ ছেড়ে দিবে না। বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশকে সংস্কার করার, ঠিক তার বিপরীতে একদল লোক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের কাজে যদি বাধা সৃষ্টির অপচেষ্টা করা হয় এবং দেশের ক্যাম্পাস সমূহে কারো গায়ে হাত তোলা হয় আমরা ছাত্রসমাজ দল-মত নির্বিশেষে প্রতিহত করবো ইনশা-আল্লাহ।

এদিন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়ামোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ মিনারে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সন্ত্রাস, একসাথে চলে না; লীগ গেছে যে পথে, দল যাবে সেই পথে; টেম্পু না শিক্ষা, শিক্ষা শিক্ষা; চাঁদাবাজি না শিক্ষা, শিক্ষা শিক্ষা; হৈ রৈ রৈ, ছাত্রদল গেলি কই; ছাত্রদলের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশান; ছাত্রদলের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এতে ইবি সমন্বয়ক ছাড়াও সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াশিরুল কবীর সৌরভ, সায়েম আহমেদ, ইসমাইল হোসেন রাহাত এবং প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।