১২:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিশ্বকাপজয়ী দলগুলোর বিপক্ষে কে কেমন

রোনাল্ডোর চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি কার্যকর মেসি!

লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে মধ্যে রেষারেষিটা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। কে G.O.A.T. বা সর্বকালের সেরা ফুটবলার, এ নিয়ে তর্কের তুফান ওঠে প্রায়ই। এক্ষেত্রে হার মানতে চায় না কোন পক্ষই!
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পরিসংখ্যানের আলোকে মেসিফ্যানরা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন বিশ্বকাপজয়ী দেশগুলোর বিরুদ্ধে বেশি গোল করায় রোনাল্ডোর চেয়ে মেসিই শ্রেয়তর। আসলেই কি তাই?
এ পর্যন্ত ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে আটটি দেশ। এগুলো হলো : উরুগুয়ে, ইতালি, জার্মানি, ব্রাজিল, ইংল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স ও স্পেন।
রোনাল্ডোর পর্তুগাল কখনো বিশ্বকাপ না জেতায় তাকে এই আট দেশের বিপক্ষেই খেলতে হয়েছে।
দেখা যাক পরিসংখ্যান কি বলে। পর্তুগাল ও আল-নাসর তারকা রোনাল্ডোর পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে-
ব্রাজিল : ০ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
জার্মানি : ২ গোল + ১ অ্যাসিস্ট
ইতালি : ০ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
আর্জেন্টিনা : ১ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
ফ্রান্স : ২ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
উরুগুয়ে : ০ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
ইংল্যান্ড : ০ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
স্পেন : ৪ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
মোট: ৯ গোল + ১ অ্যাসিস্ট = ১০ গোল অবদান

এবার দেখা যাক আর্জেন্টিনা ও ইন্টার মায়ামি তারকা মেসির বিশ্বকাপজয়ী দেশের বিপক্ষে পরিসংখ্যান-
লিও মেসি বনাম বিশ্বকাপজয়ী দলগুলো:
আর্জেন্টিনা : প্রযোজ্য নয়
ব্রাজিল : ৫ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
জার্মানি : ১ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
ইতালি : ০ গোল + ২ অ্যাসিস্ট
ফ্রান্স : ৩ গোল + ২ অ্যাসিস্ট
উরুগুয়ে : ৬ গোল + ৩ অ্যাসিস্ট
ইংল্যান্ড : কখনোই মুখোমুখি হননি
স্পেন : ২ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
মোট: ১৭ গোল + ৭ অ্যাসিস্ট = ২৪ গোল অবদান
রোনাল্ডো যেখানে ব্রাজিল, ইতালি, উরুগুয়ে ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোল পাননি, সেখানে মেসি কেবল ইতালির বিপক্ষে গোলহীন।
পর্তুগাল বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন না হওয়ায় রোনাল্ডোকে আট দেশের বিপক্ষে খেলতে হয়েছে। আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন বিধায় মেসির সাত দেশের বিপক্ষে খেলার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে খেলেছেন ছয় দেশের বিপক্ষে। কেননা এখনও তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেননি।
আট দেশের বিপক্ষে রোনাল্ডোর গোল যেখানে ৯টি, সেখানে ছয় দেশের বিপক্ষে খেলা মেসির গোলসংখ্যা এর প্রায় দ্বিগুণ, ১৭টি!
রোনাল্ডোর এ্যাসিস্ট যেখানে মাত্র ‘সবেধন নীলমনি’ ১টি, সেখানে মেসির এ্যাসিস্ট ৭টি।
গোলে সহায়তার বেলায় রোনাল্ডোর সংখ্যাটা যেখানে ১০, সেখানে মেসির সংখ্যাটা এর দ্বিগুণেরও বেশি, ২৪টি!
মেসির ১১২ আন্তর্জাতিক গোলগুলো যেখানে এসেছে ৩৮ দেশের বিপক্ষে, সেখানে রোনাল্ডোর ১৩৮ গোল এসেছে ৪৮ দেশের বিপক্ষে।
তবে দুজনেই আবার সর্বোচ্চ ১১টি করে গোল করেছেন একটি দেশের বিপক্ষে। এক্ষেত্রে মেসি যেখানে বেছে নিয়েছেন বলিভিয়াকে, সেখানে রোনাল্ডোর পছন্দ লুক্সেমবার্গকে।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দুজনের গোলসংখ্যা একেবারেই কাছাকাছি। মেসির ৩৪, রোনাল্ডোর ৩৬। তবে বিশ্বকাপের মূলপর্বের গোলসংখ্যায় আবার ১৩-৮ গোলে রোনাল্ডোর চেয়ে এগিয়ে আছেন মেসি।
শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে মেসি বিশ্বকাপজয়ী দলগুলোর বিপক্ষে রোনাল্ডোর চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি কার্যকর। তাহলে রোনাল্ডোর চেয়ে মেসি আসলেই কি বড় ম্যাচের খেলোয়াড়?
রুমেল/সব

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

বিশ্বকাপজয়ী দলগুলোর বিপক্ষে কে কেমন

রোনাল্ডোর চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি কার্যকর মেসি!

আপডেট সময় : ১১:৩৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

লিওনেল মেসি এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে মধ্যে রেষারেষিটা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। কে G.O.A.T. বা সর্বকালের সেরা ফুটবলার, এ নিয়ে তর্কের তুফান ওঠে প্রায়ই। এক্ষেত্রে হার মানতে চায় না কোন পক্ষই!
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পরিসংখ্যানের আলোকে মেসিফ্যানরা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন বিশ্বকাপজয়ী দেশগুলোর বিরুদ্ধে বেশি গোল করায় রোনাল্ডোর চেয়ে মেসিই শ্রেয়তর। আসলেই কি তাই?
এ পর্যন্ত ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে আটটি দেশ। এগুলো হলো : উরুগুয়ে, ইতালি, জার্মানি, ব্রাজিল, ইংল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স ও স্পেন।
রোনাল্ডোর পর্তুগাল কখনো বিশ্বকাপ না জেতায় তাকে এই আট দেশের বিপক্ষেই খেলতে হয়েছে।
দেখা যাক পরিসংখ্যান কি বলে। পর্তুগাল ও আল-নাসর তারকা রোনাল্ডোর পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে-
ব্রাজিল : ০ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
জার্মানি : ২ গোল + ১ অ্যাসিস্ট
ইতালি : ০ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
আর্জেন্টিনা : ১ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
ফ্রান্স : ২ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
উরুগুয়ে : ০ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
ইংল্যান্ড : ০ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
স্পেন : ৪ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
মোট: ৯ গোল + ১ অ্যাসিস্ট = ১০ গোল অবদান

এবার দেখা যাক আর্জেন্টিনা ও ইন্টার মায়ামি তারকা মেসির বিশ্বকাপজয়ী দেশের বিপক্ষে পরিসংখ্যান-
লিও মেসি বনাম বিশ্বকাপজয়ী দলগুলো:
আর্জেন্টিনা : প্রযোজ্য নয়
ব্রাজিল : ৫ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
জার্মানি : ১ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
ইতালি : ০ গোল + ২ অ্যাসিস্ট
ফ্রান্স : ৩ গোল + ২ অ্যাসিস্ট
উরুগুয়ে : ৬ গোল + ৩ অ্যাসিস্ট
ইংল্যান্ড : কখনোই মুখোমুখি হননি
স্পেন : ২ গোল + ০ অ্যাসিস্ট
মোট: ১৭ গোল + ৭ অ্যাসিস্ট = ২৪ গোল অবদান
রোনাল্ডো যেখানে ব্রাজিল, ইতালি, উরুগুয়ে ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোল পাননি, সেখানে মেসি কেবল ইতালির বিপক্ষে গোলহীন।
পর্তুগাল বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন না হওয়ায় রোনাল্ডোকে আট দেশের বিপক্ষে খেলতে হয়েছে। আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন বিধায় মেসির সাত দেশের বিপক্ষে খেলার কথা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে খেলেছেন ছয় দেশের বিপক্ষে। কেননা এখনও তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেননি।
আট দেশের বিপক্ষে রোনাল্ডোর গোল যেখানে ৯টি, সেখানে ছয় দেশের বিপক্ষে খেলা মেসির গোলসংখ্যা এর প্রায় দ্বিগুণ, ১৭টি!
রোনাল্ডোর এ্যাসিস্ট যেখানে মাত্র ‘সবেধন নীলমনি’ ১টি, সেখানে মেসির এ্যাসিস্ট ৭টি।
গোলে সহায়তার বেলায় রোনাল্ডোর সংখ্যাটা যেখানে ১০, সেখানে মেসির সংখ্যাটা এর দ্বিগুণেরও বেশি, ২৪টি!
মেসির ১১২ আন্তর্জাতিক গোলগুলো যেখানে এসেছে ৩৮ দেশের বিপক্ষে, সেখানে রোনাল্ডোর ১৩৮ গোল এসেছে ৪৮ দেশের বিপক্ষে।
তবে দুজনেই আবার সর্বোচ্চ ১১টি করে গোল করেছেন একটি দেশের বিপক্ষে। এক্ষেত্রে মেসি যেখানে বেছে নিয়েছেন বলিভিয়াকে, সেখানে রোনাল্ডোর পছন্দ লুক্সেমবার্গকে।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দুজনের গোলসংখ্যা একেবারেই কাছাকাছি। মেসির ৩৪, রোনাল্ডোর ৩৬। তবে বিশ্বকাপের মূলপর্বের গোলসংখ্যায় আবার ১৩-৮ গোলে রোনাল্ডোর চেয়ে এগিয়ে আছেন মেসি।
শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে মেসি বিশ্বকাপজয়ী দলগুলোর বিপক্ষে রোনাল্ডোর চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি কার্যকর। তাহলে রোনাল্ডোর চেয়ে মেসি আসলেই কি বড় ম্যাচের খেলোয়াড়?
রুমেল/সব