০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেসিই যেখানে একমাত্র ফুটবলার

  • রুমেল খান
  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
  • 173

আগে তর্ক হতো, পেলে না ম্যারাডোনা সেরা? পরে তর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় পেলে-ম্যারাডোনা-মেসির মধ্যে কে সেরা? আরও পরে তর্কের নতুন বিষয়বস্ত হয়ে ওঠে পেলে-ম্যারাডোনা-মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর মধ্যে কে সেরা? এখানে একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয়, মেসি নামটা প্রায় বারবারই এসেছে।
পেলে-ম্যারাডোনার চেয়ে অনেক বিষয়েই এগিয়ে মেসি। পেলে কখনো ইউরোপের লিগে খেলেননি, কোপা আমেরিকা জেতেননি, অধিনায়কত্বের মতো গুরুদায়িত্ব সামলাননি, কখনো কোন দুর্বল বা আন্ডারডগ দলের হয়ে খেলেননি।
ম্যারাডোনা ইউরোপে ক্লাব ফুটবল খেলেছেন বার্সেলোনা, নাপোলি এবং সেভিয়ার হয়ে। দুর্বল নাপোলির হয়ে দু’টি লিগ এবং একটি ইউরোপা লিগ জিতলেও কখনো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতেননি তিনি।
বেশিরভাগ পশ্চিমা ম্যাগাজিন ও ওয়েবসাইটের জরিপে মেসিকেই সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে বেছে নিয়েছে। একইভাবে বেশিরভাগ ফুটবল বিশেষজ্ঞ ও বেশিরভাগ সাবেক ফুটবলারই তাকে সর্বকালের সেরা বলে মেনে নিয়েছেন।
মেসিই একমাত্র ফুটবলার, যিনি বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ‘লরিয়াস এ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন দু’বার, দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল সংস্থা (কনমেবল) তাকে ‘বিশ্ব ফুটবলের শাসক’-এর মর্যাদা দিয়েছে। ফুটবলার হিসেবে সবচেয়ে বেশি গিনেজ রেকর্ড মেসির। আরও আছে—সবচেয়ে বেশি দলীয় ট্রফি, ব্যালন ডি’অর ও ইউরোপিয় গোল্ডেন বুট জেতা, একমাত্র ফুটবলার হিসেবে দু’বার বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জেতা, দুর্বল ও অখ্যাত ক্লাবকে (ইন্টার মায়ামি) একক প্রচেষ্টায় শিরোপা জেতানো, ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি এ্যাসিস্ট, ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গোলে অবদান রাখা, সবচেয়ে বেশি প্লেমেকার পুরস্কারপ্রাপ্তি, সবচেয়ে বেশি ফাইনালে গোল, ১ বছরে ও ১ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল, পেনাল্টি ছাড়া সবচেয়ে বেশি গোল, পেনাল্টি ছাড়া সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক, জাতীয় দলের হয়ে প্রতিটি লেভেলেই শিরোপা জেতা … কত অর্জন আছে মেসির।
মেসিই বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার, যিনি ক্লাব ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব ধরনের শিরোপা জিতেছেন।
শুধু তাই নয়। ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল, বেস্ট ক্রিয়েটর্স, বেস্ট ড্রিবলার, বেস্ট এ্যাসিস্টার্স ও বেস্ট ফ্রি কিক টেকার্স … প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই টপ থ্রিতে থাকা একমাত্র ফুটবলারও মেসি। তিন দশকের মধ্যে প্রতি দশকেই কমপক্ষে ১০০+ গোল করা ফুটবলারদের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও আছে তার নাম। সবচেয়ে বড় ব্যাপার—একজন প্রথাগত স্ট্রাইকার না হয়েও এবং একজন প্লেমেকার হয়েও মেসির গোলসংখ্যা বিস্ময়কর!
তাছাড়া ফিফা বিশ্বকাপের ব্যক্তিগত সব রেকর্ডের বেশিরভাগই মেসি নিজের করে নিয়েছেন। ইউরোপিয়ান লিগে সবচেয়ে বেশি গোল ও ইউরোপের টপ ফাইভ লিগে সবচেয়ে বেশি গোলও তার। অভিষেকের পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় একই ছন্দে খেলে যাওয়া বিরল ফুটবলার মেসি।
খোদ ফিফাই বলেছে মেসিই সর্বকালের সেরা। কাতার বিশ্বকাপ শেষে সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে, তা নিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ও লিওনেল মেসির মধ্যে যখন বিতর্ক তুঙ্গে ছিল, তখন এ প্রসঙ্গে ফিফা তাদের পক্ষ থেকে একটি টুইট করে জানায়, সেরা ফুটবলারের বিতর্ক শেষ। টুইটের নিচে তাদের পক্ষ থেকে মেসির ছবি পোস্ট করা হয়।
আরকে/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

মেসিই যেখানে একমাত্র ফুটবলার

আপডেট সময় : ০৩:১৭:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

আগে তর্ক হতো, পেলে না ম্যারাডোনা সেরা? পরে তর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় পেলে-ম্যারাডোনা-মেসির মধ্যে কে সেরা? আরও পরে তর্কের নতুন বিষয়বস্ত হয়ে ওঠে পেলে-ম্যারাডোনা-মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর মধ্যে কে সেরা? এখানে একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয়, মেসি নামটা প্রায় বারবারই এসেছে।
পেলে-ম্যারাডোনার চেয়ে অনেক বিষয়েই এগিয়ে মেসি। পেলে কখনো ইউরোপের লিগে খেলেননি, কোপা আমেরিকা জেতেননি, অধিনায়কত্বের মতো গুরুদায়িত্ব সামলাননি, কখনো কোন দুর্বল বা আন্ডারডগ দলের হয়ে খেলেননি।
ম্যারাডোনা ইউরোপে ক্লাব ফুটবল খেলেছেন বার্সেলোনা, নাপোলি এবং সেভিয়ার হয়ে। দুর্বল নাপোলির হয়ে দু’টি লিগ এবং একটি ইউরোপা লিগ জিতলেও কখনো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতেননি তিনি।
বেশিরভাগ পশ্চিমা ম্যাগাজিন ও ওয়েবসাইটের জরিপে মেসিকেই সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে বেছে নিয়েছে। একইভাবে বেশিরভাগ ফুটবল বিশেষজ্ঞ ও বেশিরভাগ সাবেক ফুটবলারই তাকে সর্বকালের সেরা বলে মেনে নিয়েছেন।
মেসিই একমাত্র ফুটবলার, যিনি বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ‘লরিয়াস এ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন দু’বার, দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল সংস্থা (কনমেবল) তাকে ‘বিশ্ব ফুটবলের শাসক’-এর মর্যাদা দিয়েছে। ফুটবলার হিসেবে সবচেয়ে বেশি গিনেজ রেকর্ড মেসির। আরও আছে—সবচেয়ে বেশি দলীয় ট্রফি, ব্যালন ডি’অর ও ইউরোপিয় গোল্ডেন বুট জেতা, একমাত্র ফুটবলার হিসেবে দু’বার বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল জেতা, দুর্বল ও অখ্যাত ক্লাবকে (ইন্টার মায়ামি) একক প্রচেষ্টায় শিরোপা জেতানো, ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি এ্যাসিস্ট, ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গোলে অবদান রাখা, সবচেয়ে বেশি প্লেমেকার পুরস্কারপ্রাপ্তি, সবচেয়ে বেশি ফাইনালে গোল, ১ বছরে ও ১ মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল, পেনাল্টি ছাড়া সবচেয়ে বেশি গোল, পেনাল্টি ছাড়া সবচেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক, জাতীয় দলের হয়ে প্রতিটি লেভেলেই শিরোপা জেতা … কত অর্জন আছে মেসির।
মেসিই বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার, যিনি ক্লাব ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব ধরনের শিরোপা জিতেছেন।
শুধু তাই নয়। ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল, বেস্ট ক্রিয়েটর্স, বেস্ট ড্রিবলার, বেস্ট এ্যাসিস্টার্স ও বেস্ট ফ্রি কিক টেকার্স … প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই টপ থ্রিতে থাকা একমাত্র ফুটবলারও মেসি। তিন দশকের মধ্যে প্রতি দশকেই কমপক্ষে ১০০+ গোল করা ফুটবলারদের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও আছে তার নাম। সবচেয়ে বড় ব্যাপার—একজন প্রথাগত স্ট্রাইকার না হয়েও এবং একজন প্লেমেকার হয়েও মেসির গোলসংখ্যা বিস্ময়কর!
তাছাড়া ফিফা বিশ্বকাপের ব্যক্তিগত সব রেকর্ডের বেশিরভাগই মেসি নিজের করে নিয়েছেন। ইউরোপিয়ান লিগে সবচেয়ে বেশি গোল ও ইউরোপের টপ ফাইভ লিগে সবচেয়ে বেশি গোলও তার। অভিষেকের পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় একই ছন্দে খেলে যাওয়া বিরল ফুটবলার মেসি।
খোদ ফিফাই বলেছে মেসিই সর্বকালের সেরা। কাতার বিশ্বকাপ শেষে সর্বকালের সেরা ফুটবলার কে, তা নিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ও লিওনেল মেসির মধ্যে যখন বিতর্ক তুঙ্গে ছিল, তখন এ প্রসঙ্গে ফিফা তাদের পক্ষ থেকে একটি টুইট করে জানায়, সেরা ফুটবলারের বিতর্ক শেষ। টুইটের নিচে তাদের পক্ষ থেকে মেসির ছবি পোস্ট করা হয়।
আরকে/সবা