০৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিনথেটিক পিচ বসানো হবে

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, সারা দেশের ১০০টি স্কুলে সিনথেটিক পিচ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা স্থানীয় পর্যায়ের ক্রিকেটকে আরও বিস্তৃত ও সহজপ্রাপ্য করে তুলবে। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফাইড ফেসবুকের এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ক্রিকেটপ্রেমী এই দেশে খেলাটির সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিকেন্দ্রীকরণই এখন সবচেয়ে জরুরি পদক্ষেপ। উপদেষ্টার পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘ক্রিকেটকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে সারাদেশের তৃণমূল থেকে ক্রিকেটার তুলে আনা এবং ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়ার যে স্বপ্ন ক্রীড়া উপদেষ্টা দেখেছিলেন, তার শুরুটা এখানেই।’ উপদেষ্টার পোস্টে বলা হয়েছে, ‘টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২৫ বছরের আয়োজনে দেশের ৪টি অঞ্চলে মিনি বিসিবি স্থাপনের ঘোষণা দেন বিসিবি সভাপতি। এ উদ্যোগের আওতায় ক্রিকেট পৌঁছে যাবে তৃণমূলে, পাইপলাইন হাতড়ে বেড়ানো থেকেও রেহাই মিলবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের।’

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, সিএসআর ফান্ডের একটি নির্দিষ্ট অংশ ডেডিকেটেডভাবে স্পোর্টসের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যয় করার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে সরকার। শুধু ব্যাংক নয় অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে যাদের সিএসআর করার নিয়ম আছে সেখানে স্পোর্টসকে ম্যান্ডেটরি করার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সাথে কাজ করা হচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশ হওয়ায় ক্রীড়াক্ষেত্রে সরকারিভাবে পর্যাপ্ত বাজেট সহযোগিতার সুযোগ কম থাকে সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ স্পন্সরদের উপর নির্ভর করতে হয়। ক্রীড়াক্ষেত্রে সিএসআর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

গতকাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে ময়মনসিংহ বিভাগীয় টেনিস প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই খেলাধুলার বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলে আসছে। বিভিন্ন স্তরে স্তরে যখন প্রতিযোগিতামূলক খেলা অনুষ্ঠিত হবে তখন বিভিন্ন লেয়ারে খেলোয়াড়দেরকে প্রতিযোগিতামূলক স্পোর্টসে আসার সুযোগ করে দেয় এবং সেখান থেকে ভালো প্লেয়ারদের বাছাই করে ন্যাশনাল লেভেলের প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ন্যাশনাল স্পোর্টস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠ্রা নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে যার কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা হলে সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের এডভান্স লেভেলের ট্রেনিং প্রদান করা যাবে। স্পোর্টসের সাথে সাইন্স নিবিড়ভাবে জড়িত। এই বিষটি আমরা এড্রেস করার চেষ্টা করছি সে অনুযায়ী ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং পলিসিগুলো নিচ্ছি। এই কাজগুলো কন্টিনিউ হলে ভবিষ্যতে স্পোর্টস সেক্টর একটি কাঙ্ক্ষিত জায়গায় যেতে পারবে বলে উপদেষ্টা আশা ব্যক্ত করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

সিনথেটিক পিচ বসানো হবে

আপডেট সময় : ১০:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, সারা দেশের ১০০টি স্কুলে সিনথেটিক পিচ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা স্থানীয় পর্যায়ের ক্রিকেটকে আরও বিস্তৃত ও সহজপ্রাপ্য করে তুলবে। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভেরিফাইড ফেসবুকের এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ক্রিকেটপ্রেমী এই দেশে খেলাটির সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিকেন্দ্রীকরণই এখন সবচেয়ে জরুরি পদক্ষেপ। উপদেষ্টার পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘ক্রিকেটকে বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে সারাদেশের তৃণমূল থেকে ক্রিকেটার তুলে আনা এবং ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়ার যে স্বপ্ন ক্রীড়া উপদেষ্টা দেখেছিলেন, তার শুরুটা এখানেই।’ উপদেষ্টার পোস্টে বলা হয়েছে, ‘টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২৫ বছরের আয়োজনে দেশের ৪টি অঞ্চলে মিনি বিসিবি স্থাপনের ঘোষণা দেন বিসিবি সভাপতি। এ উদ্যোগের আওতায় ক্রিকেট পৌঁছে যাবে তৃণমূলে, পাইপলাইন হাতড়ে বেড়ানো থেকেও রেহাই মিলবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের।’

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, সিএসআর ফান্ডের একটি নির্দিষ্ট অংশ ডেডিকেটেডভাবে স্পোর্টসের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যয় করার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে সরকার। শুধু ব্যাংক নয় অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে যাদের সিএসআর করার নিয়ম আছে সেখানে স্পোর্টসকে ম্যান্ডেটরি করার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সাথে কাজ করা হচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশ হওয়ায় ক্রীড়াক্ষেত্রে সরকারিভাবে পর্যাপ্ত বাজেট সহযোগিতার সুযোগ কম থাকে সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ স্পন্সরদের উপর নির্ভর করতে হয়। ক্রীড়াক্ষেত্রে সিএসআর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

গতকাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে ময়মনসিংহ বিভাগীয় টেনিস প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই খেলাধুলার বিকেন্দ্রীকরণের কথা বলে আসছে। বিভিন্ন স্তরে স্তরে যখন প্রতিযোগিতামূলক খেলা অনুষ্ঠিত হবে তখন বিভিন্ন লেয়ারে খেলোয়াড়দেরকে প্রতিযোগিতামূলক স্পোর্টসে আসার সুযোগ করে দেয় এবং সেখান থেকে ভালো প্লেয়ারদের বাছাই করে ন্যাশনাল লেভেলের প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ন্যাশনাল স্পোর্টস ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠ্রা নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে যার কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা হলে সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের এডভান্স লেভেলের ট্রেনিং প্রদান করা যাবে। স্পোর্টসের সাথে সাইন্স নিবিড়ভাবে জড়িত। এই বিষটি আমরা এড্রেস করার চেষ্টা করছি সে অনুযায়ী ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং পলিসিগুলো নিচ্ছি। এই কাজগুলো কন্টিনিউ হলে ভবিষ্যতে স্পোর্টস সেক্টর একটি কাঙ্ক্ষিত জায়গায় যেতে পারবে বলে উপদেষ্টা আশা ব্যক্ত করেন।