০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভিন্নভাবে দেখা হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে কর্মীদের অভয় দিলেন চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তবে একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করেন, যারা ‘সীমা লঙ্ঘন করেছেন’, তাদেরকে ‘ভিন্নভাবে’ দেখা হবে।
সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকা কাস্টম হাউসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রত্যেকে যদি দায়িত্বশীল আচরণ করে, তাহলে কারো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে কেউ কেউ বড় আকারে সীমা লঙ্ঘন করেছে, সেটি আলাদা করে দেখা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কেউই অপরিহার্য নই, কিন্তু রাষ্ট্র ও এর রাজস্ব দপ্তরগুলো অপরিহার্য। তাই এগুলোর কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয়।”
গত জুন মাসে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ কয়েকটি দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে নামে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আন্দোলনের জেরে এনবিআরের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। পরে সরকারের আশ্বাস ও ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়।
চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব আদায়ের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এনবিআর ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে, যা আরও বাড়তে পারে। একইসঙ্গে তিনি আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত তিনটি সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, এনবিআরকে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগে বিভক্ত করার সরকারি অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে এনবিআরের সংস্কার ঐক্য পরিষদ আন্দোলন শুরু করে। সরকারের পক্ষ থেকে সংশোধনীর আশ্বাস মিললেও এনবিআর চেয়ারম্যানকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে কর্মীরা শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যান। পরে সরকারের কঠোর অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।
এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভিন্নভাবে দেখা হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০৮:১৫:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে কর্মীদের অভয় দিলেন চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। তবে একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করেন, যারা ‘সীমা লঙ্ঘন করেছেন’, তাদেরকে ‘ভিন্নভাবে’ দেখা হবে।
সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকা কাস্টম হাউসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রত্যেকে যদি দায়িত্বশীল আচরণ করে, তাহলে কারো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে কেউ কেউ বড় আকারে সীমা লঙ্ঘন করেছে, সেটি আলাদা করে দেখা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কেউই অপরিহার্য নই, কিন্তু রাষ্ট্র ও এর রাজস্ব দপ্তরগুলো অপরিহার্য। তাই এগুলোর কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়া উচিত নয়।”
গত জুন মাসে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণসহ কয়েকটি দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে নামে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আন্দোলনের জেরে এনবিআরের কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। পরে সরকারের আশ্বাস ও ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যস্থতায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়।
চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব আদায়ের সাময়িক হিসাব অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এনবিআর ৩ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে, যা আরও বাড়তে পারে। একইসঙ্গে তিনি আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত তিনটি সফটওয়্যার উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, এনবিআরকে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগে বিভক্ত করার সরকারি অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে এনবিআরের সংস্কার ঐক্য পরিষদ আন্দোলন শুরু করে। সরকারের পক্ষ থেকে সংশোধনীর আশ্বাস মিললেও এনবিআর চেয়ারম্যানকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে কর্মীরা শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যান। পরে সরকারের কঠোর অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।
এমআর/সবা