রাজধানীর মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ।
শুক্রবার ( ১১জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জেরো পয়েন্টে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মিছিলটি সোহরাওয়ার্দী মোড় হয়ে আলাওল এবং এ.এফ রহমান হলের সামন দিয়ে আবারো জেরো পয়েন্টে এসে বক্তৃতার মাধ্যমে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, আমার ভাই মরলো কেন? তারেক জিয়া জবাব দে, ইন্টেরিম জবাব দে আমার ভাই মরলো কেন? আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না, জ্বালিয়ে দাও গুরিয়ে দাও সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, বিএনপির অনেক গুন ১০ মাসে ১০০ খুন। পাথর মেরে করছে খুন, বিএনপির অনেক গুন ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, মিটফোর্ডে চাঁদার জন্য ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে থেঁতলিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে যুবদল নেতাকর্মীরা। দেশের ছাত্রসমাজ বিএনপি ও তাদর অঙ্গ সংগঠনের অপকর্মকে আর সহ্য করবে না। বাংলাদেশের জনগণ ও ছাত্রসমাজ এই খুনিদের বিচার চায়।
বিক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান বলেন, জুলাই আগস্টে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা ৫ আগস্ট পেয়েছি। কিন্তু আমরা দেখতে পেরেছি একটা দল গত ১০ মাসে ১০০ খুন করেছে। এমন বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম? আমরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে জুলাইয়ে আন্দোলন করেছি তা বৃথা যেতে দিবো না। নতুন করে শপথ নেওয়ার সময় এসেছে, চাঁদাবাজদের ঠিকানা বাংলাদেশে হবে না।
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, গত জুলাইয়ের মতো এই জুলাই এতোটা কঠিন নয়। তোমাদের পাথর আমাদেরকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। তোমরা যতবার পাথর মারবে আমরা ততোবার রুখে দাঁড়াব। নতুন বাংলাদেশে কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস এবং খুনীদের ঠিকানা হবে না। তোমরা যতবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে আমরা ততবার তোমাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিবো। তোমরা ক্ষমতায় যাওয়ার আগে যে বর্বরতা শুরু করেছ তা জাহিলিয়াতকেও হার মানায়। আপনারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন নয়তো হাসিনার মতো চলে যেতে হবে।
বিপ্লবী ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক তাহসান হাবীব বলেন, আবারো জুলাইয়ে দাড়িয়ে আমাদের দেখতে হচ্ছে নৃশংসতা। এদেশ আর আগের মতো নেই, কেউ যদি স্বৈরাচার হতে চায় তাহলে হাসিনার মতো দিল্লীতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আমরা ইন্টেরিমকে বলতে চাই যদি আপনারা বিচার করতে না পারেন তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। জুলাইয়ে যেমন রক্ত দিয়েছি দরকার হলে আবারো জুলাই বাংলাদেশে নেমে আসবে তবুও চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশে থেকে মুক্ত করবো।


























