০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে নোবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছেন, তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিতকরণ ও ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে।

‘রংপুর বিভাগ ছাত্র কল্যাণ পরিষদ’-এর আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, “তিস্তা শুধু একটি নদী নয়, এটি উত্তরবঙ্গের প্রাণ, কৃষি ও জীবিকার অবিচ্ছেদ্য অংশ। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতেই হবে।”

ওশানোগ্রাফি বিভাগের জিহাদুল ইসলাম রাফি বলেন, “জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই—এটি আমাদের অধিকার। ভারতের বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তিস্তা আজ রক্তশূন্য।”

শিক্ষা বিভাগের আল জকি হোসেন উল্লেখ করেন, “তিস্তার পানি না থাকায় উত্তরবঙ্গের কৃষকরা বছরের পর বছর ক্ষতির মুখে পড়ছেন। জনগণ আর কোনো শোষণ মানবে না।”

মুজতবা ফয়সাল নাঈম বলেন, “তিস্তা মহাপরিকল্পনার জন্য ২০২৩ সালে কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যর্থতায় এখনো প্রকল্পে অগ্রগতি হয়নি। অন্তত দেশের নিজস্ব অর্থায়নের ১২ শতাংশ দিয়েই কাজ শুরু করতে হবে।”

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “তিস্তা বাঁচলে উত্তরবঙ্গ বাঁচবে, উত্তরবঙ্গ না বাঁচলে গোটা দেশে খাদ্যসংকট দেখা দেবে।”

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

মালিকানা বদলের পর ১ কোটি ১০ লাখ টাকা কী পাবেন নাঈম?

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে নোবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৪:১১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছেন, তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিতকরণ ও ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে।

‘রংপুর বিভাগ ছাত্র কল্যাণ পরিষদ’-এর আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, “তিস্তা শুধু একটি নদী নয়, এটি উত্তরবঙ্গের প্রাণ, কৃষি ও জীবিকার অবিচ্ছেদ্য অংশ। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতেই হবে।”

ওশানোগ্রাফি বিভাগের জিহাদুল ইসলাম রাফি বলেন, “জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই—এটি আমাদের অধিকার। ভারতের বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তিস্তা আজ রক্তশূন্য।”

শিক্ষা বিভাগের আল জকি হোসেন উল্লেখ করেন, “তিস্তার পানি না থাকায় উত্তরবঙ্গের কৃষকরা বছরের পর বছর ক্ষতির মুখে পড়ছেন। জনগণ আর কোনো শোষণ মানবে না।”

মুজতবা ফয়সাল নাঈম বলেন, “তিস্তা মহাপরিকল্পনার জন্য ২০২৩ সালে কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যর্থতায় এখনো প্রকল্পে অগ্রগতি হয়নি। অন্তত দেশের নিজস্ব অর্থায়নের ১২ শতাংশ দিয়েই কাজ শুরু করতে হবে।”

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “তিস্তা বাঁচলে উত্তরবঙ্গ বাঁচবে, উত্তরবঙ্গ না বাঁচলে গোটা দেশে খাদ্যসংকট দেখা দেবে।”

এমআর/সবা