০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোয়ালিনী গুঁড়া দুধে ভয়াবহ জালিয়াতি, শাহাবুদ্দিন আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

চকচকে মোড়কে বড় করে লেখা ‘ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার’, কিন্তু ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় ভয়াবহ জালিয়াতির তথ্য পাওয়া গেছে। নির্ধারিত মানের চর্বি ও প্রোটিনের অনুপাতে ন্যূনতম মান পূরণ না হওয়ায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।

এই অভিযোগে চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান এসএ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন আলমের বিরুদ্ধে স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। মামলার ধার্য তারিখে আসামি হাজির না হওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন।

ল্যাব পরীক্ষায় জানা গেছে, পণ্যের গায়ে ‘ফুল ক্রিম’ লেখা থাকলেও চর্বির মান ৪২ শতাংশ থাকার কথা থাকলেও পাওয়া গেছে মাত্র ৭.৫৮ শতাংশ, এবং প্রোটিনের মান ৩৪ শতাংশের বদলে মাত্র ৯.৫০ শতাংশ। পণ্যের কোনো উপাদানই নির্ধারিত মান পূরণ করেনি।

মামলা দায়ের করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কামরুল হাসান। সন্দেহজনক পণ্যটি সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। চলতি বছরের ২১ অক্টোবর ল্যাব রিপোর্টে পণ্যটি মানহীন বলে সনদ দেওয়া হয় এবং ৩ নভেম্বর আদালত মামলাটি আমলে নেয়।

এসএ গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন আলমের বিরুদ্ধে পূর্বেও বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে কমপক্ষে ২৪টি মামলা রয়েছে। ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের দুই মামলায় শাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন আলমকে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পলাতক অবস্থায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।

এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে অগ্রণী ব্যাংকের ১১২ কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলায় শাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ নির্বাসনের পর দেশে ফেরার জন্য তারেক রহমানকে স্বাগত জানালেন জামায়াতে ইসলামের আমির

গোয়ালিনী গুঁড়া দুধে ভয়াবহ জালিয়াতি, শাহাবুদ্দিন আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেট সময় : ০৮:১০:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

চকচকে মোড়কে বড় করে লেখা ‘ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার’, কিন্তু ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় ভয়াবহ জালিয়াতির তথ্য পাওয়া গেছে। নির্ধারিত মানের চর্বি ও প্রোটিনের অনুপাতে ন্যূনতম মান পূরণ না হওয়ায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।

এই অভিযোগে চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান এসএ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন আলমের বিরুদ্ধে স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। মামলার ধার্য তারিখে আসামি হাজির না হওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন।

ল্যাব পরীক্ষায় জানা গেছে, পণ্যের গায়ে ‘ফুল ক্রিম’ লেখা থাকলেও চর্বির মান ৪২ শতাংশ থাকার কথা থাকলেও পাওয়া গেছে মাত্র ৭.৫৮ শতাংশ, এবং প্রোটিনের মান ৩৪ শতাংশের বদলে মাত্র ৯.৫০ শতাংশ। পণ্যের কোনো উপাদানই নির্ধারিত মান পূরণ করেনি।

মামলা দায়ের করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কামরুল হাসান। সন্দেহজনক পণ্যটি সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। চলতি বছরের ২১ অক্টোবর ল্যাব রিপোর্টে পণ্যটি মানহীন বলে সনদ দেওয়া হয় এবং ৩ নভেম্বর আদালত মামলাটি আমলে নেয়।

এসএ গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন আলমের বিরুদ্ধে পূর্বেও বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে কমপক্ষে ২৪টি মামলা রয়েছে। ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের দুই মামলায় শাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন আলমকে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পলাতক অবস্থায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।

এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে অগ্রণী ব্যাংকের ১১২ কোটি টাকার ঋণখেলাপি মামলায় শাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।