০৭:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি

প্রিয় অধ্যাপক ইউনূস এবং আমাদের ছাত্রনেতাবৃন্দ,

প্রথমত, বাংলাদেশের এই নতুন অধ্যায় তৈরিতে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা ও অভিবাদন জানাচ্ছি। দ্বিতীয়ত, আমরা দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার, অর্থনীতি রক্ষা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করতে সম্মত হওয়ায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়ে লিখছি। আমরা জানি যে, এই সন্ধিক্ষণে অগ্রাধিকার হচ্ছে আন্দোলনের চেতনাকে সমুন্নত রাখা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, শাসন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পুনরুজ্জীবিত করা এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা। এর পাশাপাশি, দারিদ্র্যের ফ্যামিনাইজেশন, প্রান্তিকীকরণ এবং বর্জনের বিষয়গুলি সমাধানের বিষয়টিও মনে রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বৈষম্যের সংস্কৃতি থেকে সরে যেতে এবং পিতৃতন্ত্রের অবসান ঘটাতে সরকারি পরিষেবা এবং অফিসগুলিকে আরও জেন্ডার-সংবেদনশীল হয়ে উঠতে সহায়তা করা। নারী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘুদের অবদান এবং অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি যথাযথভাবে উপলব্ধি করা হয়নি, তাদের যে সম্ভাবনা রয়েছে তার স্বীকৃতি দেওয়া এবং ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী প্রক্রিয়ায় তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা, সমাজের ক্ষতিকর নিয়মকানুন ও চর্চাসমূহ মোকবেলা করে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে সমাজের সর্বস্তরে একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দেয়া যে, ছাত্রনেতারা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকার কোনো প্রকার সহিংসতাকে প্রশয় দেবে না।
একশনএইড বাংলাদেশ যেসমস্ত সম্প্রদায় এবং কর্মীদের সাথে কাজ করে থাকে তাদের পক্ষ থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক এবং জেন্ডার-সংবেদনশীল পাবলিক সার্ভিস এবং গভর্নেন্সের উপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের বিষয়কে অগ্রাধিকার প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছে। আমরা আপনাদের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি এবং আপনাদের যেকোনো সহায়তায় সর্বদা পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক,
একশনএইড বাংলাদেশ।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাধীনবাংলা সাহিত্য পরিষদ ঢাকা বিভাগীয় কমিটির গঠন

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি

আপডেট সময় : ০৪:৩১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪

প্রিয় অধ্যাপক ইউনূস এবং আমাদের ছাত্রনেতাবৃন্দ,

প্রথমত, বাংলাদেশের এই নতুন অধ্যায় তৈরিতে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা ও অভিবাদন জানাচ্ছি। দ্বিতীয়ত, আমরা দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার, অর্থনীতি রক্ষা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করতে সম্মত হওয়ায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়ে লিখছি। আমরা জানি যে, এই সন্ধিক্ষণে অগ্রাধিকার হচ্ছে আন্দোলনের চেতনাকে সমুন্নত রাখা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, শাসন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পুনরুজ্জীবিত করা এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা। এর পাশাপাশি, দারিদ্র্যের ফ্যামিনাইজেশন, প্রান্তিকীকরণ এবং বর্জনের বিষয়গুলি সমাধানের বিষয়টিও মনে রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বৈষম্যের সংস্কৃতি থেকে সরে যেতে এবং পিতৃতন্ত্রের অবসান ঘটাতে সরকারি পরিষেবা এবং অফিসগুলিকে আরও জেন্ডার-সংবেদনশীল হয়ে উঠতে সহায়তা করা। নারী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘুদের অবদান এবং অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি যথাযথভাবে উপলব্ধি করা হয়নি, তাদের যে সম্ভাবনা রয়েছে তার স্বীকৃতি দেওয়া এবং ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী প্রক্রিয়ায় তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা, সমাজের ক্ষতিকর নিয়মকানুন ও চর্চাসমূহ মোকবেলা করে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে সমাজের সর্বস্তরে একটি শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দেয়া যে, ছাত্রনেতারা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকার কোনো প্রকার সহিংসতাকে প্রশয় দেবে না।
একশনএইড বাংলাদেশ যেসমস্ত সম্প্রদায় এবং কর্মীদের সাথে কাজ করে থাকে তাদের পক্ষ থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক এবং জেন্ডার-সংবেদনশীল পাবলিক সার্ভিস এবং গভর্নেন্সের উপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের বিষয়কে অগ্রাধিকার প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছে। আমরা আপনাদের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি এবং আপনাদের যেকোনো সহায়তায় সর্বদা পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক,
একশনএইড বাংলাদেশ।