০৩:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাঁঠালিয়ার মাঠে মাঠে পার্চিং

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:৩০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
  • 81

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলা ৬ ইউনিয়নের ১৮টি ব্লকের আমন ধান ক্ষেতের মাঠে মাঠে পার্চিং দেখা যাচ্ছে। নিরাপদ ফসল উৎপাদনের লক্ষে এ পার্চিং বসানো হয়েছে। বিভিন্ন ব্লকে স্ব স্ব ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি অফিসার (ব্লক সুপাইভাইজারগণ) স্থানীয় কৃষকদের সাথে নিয়ে ফসলের ক্ষেতে যেয়ে গাছের ডাল ও বাঁশের তৈরী পার্চিং বসিয়ে কৃষকদের উদ্ধদ্ধু করেন।

এ সময় পাচিং এর উপকারিতা নিয়েও কৃষকদের পরামর্শ দেন কর্মকর্তারা। উপজেলার শৌলজালিয়া গ্রামের কৃষক মো.হারুন মিয়া জানান, জমিতে পাচিং করার ফলে বালাই নাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশন দূষণমুক্ত হয়। যা আগে জানতাম না। এখন শিখেছি। এই ক্ষতিকর পোকামাকড়ের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। উপকারী পোকার বংশ বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি জমিতে জৈব সার হিসেবে পাখির বিষ্ঠা যোগ হয়। এতে জমির উর্বরতা বাড়ে। এই পদ্ধতি খুবই উপকারে আসে কৃষকের।

উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. হাসিবুর রহমান ও মো.বখতিয়ার উদ্দিন শান্ত জানান, পাচিং অর্থাৎ ডাল পোতার মাধ্যমে প্রকৃতিভাবে ধানের ক্ষতিকর পোকা নিয়ন্ত্রণ করে। এজন্য জমিতে গাছের শুকনো ডাল খুটি বা বাঁশের কঞ্চি পুতে রাখতে হয়। এতে ফিঙেসহ বিভিন্ন পাখি এসে বসে। সে সাথে অনিষ্টকারি পোকা খেয়ে ফসলকে সুরক্ষা করে। পরিবেশ বান্ধব এ প্রযুক্তি ব্যবহারে বালাই নাশকের ব্যবহার হৃাস পায়। পাশাপাশি ফসলের উৎপাদন খরচও সাশ্রয় হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ তানজিলা আহমেদ জানান, নিরাপদ ফসল উৎপাদনে পার্চিং এর কোন বিকল্প নেই। এ কাজের সুফল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে তিনি উপসহকারি কৃষি অফিসারদের মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করছেন। তিনি আরো জানান, উপজেলার প্রতি ব্লকেই পাচিং বসানো হয়েছে। একই সাথে কৃষক-কৃষানীরাও উৎসাহিত হয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

কাঁঠালিয়ার মাঠে মাঠে পার্চিং

আপডেট সময় : ০৫:৩০:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলা ৬ ইউনিয়নের ১৮টি ব্লকের আমন ধান ক্ষেতের মাঠে মাঠে পার্চিং দেখা যাচ্ছে। নিরাপদ ফসল উৎপাদনের লক্ষে এ পার্চিং বসানো হয়েছে। বিভিন্ন ব্লকে স্ব স্ব ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি অফিসার (ব্লক সুপাইভাইজারগণ) স্থানীয় কৃষকদের সাথে নিয়ে ফসলের ক্ষেতে যেয়ে গাছের ডাল ও বাঁশের তৈরী পার্চিং বসিয়ে কৃষকদের উদ্ধদ্ধু করেন।

এ সময় পাচিং এর উপকারিতা নিয়েও কৃষকদের পরামর্শ দেন কর্মকর্তারা। উপজেলার শৌলজালিয়া গ্রামের কৃষক মো.হারুন মিয়া জানান, জমিতে পাচিং করার ফলে বালাই নাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশন দূষণমুক্ত হয়। যা আগে জানতাম না। এখন শিখেছি। এই ক্ষতিকর পোকামাকড়ের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। উপকারী পোকার বংশ বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি জমিতে জৈব সার হিসেবে পাখির বিষ্ঠা যোগ হয়। এতে জমির উর্বরতা বাড়ে। এই পদ্ধতি খুবই উপকারে আসে কৃষকের।

উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. হাসিবুর রহমান ও মো.বখতিয়ার উদ্দিন শান্ত জানান, পাচিং অর্থাৎ ডাল পোতার মাধ্যমে প্রকৃতিভাবে ধানের ক্ষতিকর পোকা নিয়ন্ত্রণ করে। এজন্য জমিতে গাছের শুকনো ডাল খুটি বা বাঁশের কঞ্চি পুতে রাখতে হয়। এতে ফিঙেসহ বিভিন্ন পাখি এসে বসে। সে সাথে অনিষ্টকারি পোকা খেয়ে ফসলকে সুরক্ষা করে। পরিবেশ বান্ধব এ প্রযুক্তি ব্যবহারে বালাই নাশকের ব্যবহার হৃাস পায়। পাশাপাশি ফসলের উৎপাদন খরচও সাশ্রয় হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ তানজিলা আহমেদ জানান, নিরাপদ ফসল উৎপাদনে পার্চিং এর কোন বিকল্প নেই। এ কাজের সুফল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে তিনি উপসহকারি কৃষি অফিসারদের মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করছেন। তিনি আরো জানান, উপজেলার প্রতি ব্লকেই পাচিং বসানো হয়েছে। একই সাথে কৃষক-কৃষানীরাও উৎসাহিত হয়েছেন।