লিওনেল মেসি বারবার গোল করেন, ব্রেসের আনন্দ ভরে দেয় মাঠ-গ্যালারি। তবু, সেই তৃতীয় গোলের জন্য অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয়, একটাই প্রশ্ন গর্জে ওঠে হৃদয়ে, হ্যাটট্রিক করা কি সত্যিই এতো কঠিন?
আগের ম্যাচে নিউ ইংল্যান্ড রেভ্যুলেশনের বিপক্ষে জোড়া গোলে দুর্দান্ত এক রেকর্ড করেছিলেন ইন্টার মায়ামির মেসি। এমএলএস ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা চার ম্যাচে একাধিক গোলের কীর্তি গড়েছিলেন।
এবার নিজের রেকর্ডকে আরও শক্তিশালী করলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। বাংলাদেশ সময় আজ রোববার সকালে ন্যাশভিল এসসির বিপক্ষেও জোড়া করেছেন মেসি। অর্থাৎ টানা পাঁচ ম্যাচে একাধিক গোল করলেন এলএম টেন।
এদিন ফোর্ট লডারডেলে ন্যাশভিলকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। এতে টানা ১৫ ম্যাচের অপরাজিত ধারা থেকে ছিটকে গেল ন্যাশভিল। ১৯ এপ্রিলের পর এটি ক্লাবটির প্রথম হার।
প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) কাছে হেরে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার পর টানা তিন ম্যাচে জয় পেল মিয়ামি।

১৭ মিনিটে মেসির অসাধারণ ফ্রি-কিক গোলে এগিয়ে যায় মিয়ামি। ডিফেন্ডারদের রক্ষণের গাঁথুনির ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠান মেসি। ক্যারিয়ারে এটি মেসির ৬৯তম ফ্রি কিক গোল। তার সামনে আছেন কেবল দুই ব্রাজিলিয়ান পেলে (৭০) এবং জুুনিনহো (৭৭)।
৪৯ মিনিটে ন্যাশভিলের হানি মুখতার দারুণ হেডে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। অ্যান্ডি নাজার এবং প্যাট্রিক ইয়াজবেক ছিলেন অ্যাসিস্টদাতা।
৬২ মিনিটে ন্যাশভিল গোলরক্ষক উইলিসের একটি ভুল পাস ধরে বল নিজের দখলে নেন মেসি। গোলরক্ষককে কাটিয়ে জাল খুঁজে বের করেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা। যা ছিল ম্যাচের জয়সূচক গোল।
এ নিয়ে এমএলএসের চলতি মৌসুমে ১৬টি গোল করলেন মেসি। ন্যাশভিলের সাম স্যারিজের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিযোগিতাটির সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন আটবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা। অথচ স্যারিজের চেয়ে ৫ ম্যাচ কম খেলেছেন মেসি!
খেলা শেষে স্বভাবতই ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে মেসির হাতে। টানা ৫ ম্যাচেই এই পুরস্কারটি পেলেন তিনি।
সর্বশেষ ৫ এমএলএস লিগ ম্যাচে ১০ গোল ৪ এসিস্টও করলেন মেসি। অর্থাৎ ৫ ম্যাচে ১৪ গোলে সরাসরি অবদান!
মেজর লিগ সকারে নিজেদের ১৯তম ম্যাচে এটা মায়ামির একাদশ জয়। ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে। ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন আছে শীর্ষে। যদিও তারা মায়ামির চেয়ে ৩ ম্যাচ বেশি খেলেছে।
গোলের পরিসংখ্যানে মেসি
১১১২তম ম্যাচে সার্বিকভাবে মেসির গোল ৮৭২, ক্লাব গোল ৭৬০, লিগ গোল ৫৩৩ এবং ইন্টার মায়ামির হয়ে ৫৬ গোল।
আরকে/সবা

























