টানা দুবার উইম্বলডন জিতেছিলেন কার্লোস আলকারাজ। হ্যাটট্রিকের জন্য ফেভারিট ছিলেন এবারও। রবিবার সেন্টার কোর্টের ফাইনালে অপ্রতিরোধ্য আলকারাজকে আটকালেন বিশ্বের এক নম্বর তারকা ইয়ানিক সিনার। আলকারাজকে ৪-৬, ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ গেমে হারিয়ে প্রথমবার উইম্বলডন শিরোপা জিতলেন সিনার। ইতালিয়ান এই তারকার এটি চতুর্থ গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। ৩৫ দিন আগে পাঁচ ঘণ্টা ২৯ মিনিটে পাঁচ সেটের মহাকাব্যিক ম্যাচে সিনারকে হারিয়েছিলেন আলকারাজ।
সেই ফাইনালেও সার্ভিস করতে গিয়ে এক সময় ৪০-০ এগিয়েছিলেন সিনার। সেখান থেকে তিনটি চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট বাঁচিয়ে ট্রফি নিয়ে যান আলকারাজ। উইম্বলডনে তার পুনরাবৃত্তি হল না। এবারও ৪০-০ এগিয়ে থেকে একটি পয়েন্ট খুইয়েছিলেন আলকারাজের কাছে। এরপর এমন একটা ‘এস’ সার্ভিস মারলেন যার কোনও জবাব ছিল না আলকারাজের কাছে। এরপর দুই হাত দুপাশে ছড়িয়ে দর্শকদের অভিবাদন গ্রহণ করেন সিনার। এর পর হাঁটু মুড়ে র্যাকেটে মাথা ভর দিয়ে কোর্টেই কিছুক্ষণ বসে থাকেন। দুবার হাতের তালু দিয়ে কোর্টের ঘাস চাপড়েই চলে যান গ্যালারিতে কোচেদের কাছে। উইম্বলডন জয়ের পর আবেগি সিনার বললেন, ‘এটা বিশেষ শিরোপা, কারণ আমার বাবা-মা গ্যালারিতে আছে। আমার ভাই, আমার পুরো টিম আছে। আমার ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই সপ্তাহে কোনো ফর্মুলা ওয়ানের রেস না থাকায় এখানে আসতে পেরেছে ও।’ সিনার প্রশংসা করলেন আলকারাজেরও, ‘দারুণ একটা টুর্নামেন্ট, তুমি যে মানের খেলোয়াড়, তোমার বিপক্ষে খেলা খুব কঠিন। এগিয়ে যাও, লড়াই করতে থাকো। এই ট্রফি তুমি অনেকবার জিততে পারবে, এরই মধ্যে তুমি জিতেছো দুটি।’ সিনার ঘাসের কোর্ট নন, বরং স্বচ্ছন্দ হার্ডকোর্টে খেলতে। তার আগের তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের তিনটিই হার্ডকোর্টে। ফরাসি ওপেনের ফাইনালে উঠে হেরেছেন। তবে উইম্বলডনে সেই ভুল করলেন না। সিনার আগ্রাসী ও কৌশলী টেনিস বুঝিয়ে দিলেন, আলকারাজ হয়তো আর উইম্বলডনে একচ্ছত্র দাপট দেখাতে পারবেন না। উইম্বলডনে আলকারাজের টানা ২৪টি ম্যাচ জেতার দৌড়ও এ দিন থামিয়ে দিলেন তিনি। তার গ্রাউন্ডস্ট্রোকের কোনও জবাব দিতে পারেননি আলকারাজ।
২০২৪ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন সিনার। এ বছর জুলেইয়ে সংখ্যাটা হয়ে গেল চার। এর তিনটিই সবশেষ চার গ্র্যান্ড স্লামে। কোথায় থামবেন সিনার?


























