১০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
গোপালগঞ্জে কারফিউ

এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা বোর্ড

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে গোপালগঞ্জ শহরে কারফিউ জারি হওয়ায় বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বলছে, পরীক্ষা স্থগিতের কোনো সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
বুধবার সন্ধ্যায় এই বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিতের কোনো সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
“আমরা চেষ্টা করছি গোপালগঞ্জ শহরের পরীক্ষা কারফিউয়ের আওতার বাইরে রাখার। তবে পরবর্তী সময়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
গোপালগঞ্জের পরীক্ষার্থীরা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় বসেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এইচএসসির ভূগোল দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হওয়ার কথা। আর দুপুর ২টা থেকে হওয়ার কথা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত প্রথমপত্র, আরবি প্রথম পত্র এবং পালি প্রথম পত্রের পরীক্ষা।
কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, “গোপালগঞ্জ শহরে আমাদের একটি কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার যেসব বিষয়ে পরীক্ষা, সেগুলোয় ওখানে শিক্ষার্থী কম।”
বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হওয়ার খবর এসেছে।
এনসিপির এই পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলানো হয়।
বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
এসবের মধ্যে বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে ফের হামলা হয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ পরিস্থিতিতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরে তারা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে করে পুলিশ সুপার কার্যালয় ছাড়েন।
দুপুরে জেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সন্ধ্যায় কারফিউ জারির ঘোষণা আসে।
এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

নায়ক রিয়াজের মৃত্যুসংবাদ ফেসবুকে, যা জানাল পরিবার

গোপালগঞ্জে কারফিউ

এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা বোর্ড

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে গোপালগঞ্জ শহরে কারফিউ জারি হওয়ায় বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বলছে, পরীক্ষা স্থগিতের কোনো সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
বুধবার সন্ধ্যায় এই বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিতের কোনো সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
“আমরা চেষ্টা করছি গোপালগঞ্জ শহরের পরীক্ষা কারফিউয়ের আওতার বাইরে রাখার। তবে পরবর্তী সময়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
গোপালগঞ্জের পরীক্ষার্থীরা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় বসেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এইচএসসির ভূগোল দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হওয়ার কথা। আর দুপুর ২টা থেকে হওয়ার কথা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত প্রথমপত্র, আরবি প্রথম পত্র এবং পালি প্রথম পত্রের পরীক্ষা।
কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, “গোপালগঞ্জ শহরে আমাদের একটি কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার যেসব বিষয়ে পরীক্ষা, সেগুলোয় ওখানে শিক্ষার্থী কম।”
বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হওয়ার খবর এসেছে।
এনসিপির এই পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে মঙ্গলবার থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলানো হয়।
বুধবার সকালে এনসিপি নেতারা গাড়িবহর নিয়ে শহরে ঢোকার আগেই পুলিশের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে ইউএনওর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
এসবের মধ্যে বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নেতারা পুলিশি নিরাপত্তায় টেকেহাট হয়ে মাদারীপুর যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের লঞ্চ ঘাট এলাকায় গোপালগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে ফের হামলা হয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ পরিস্থিতিতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরে তারা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে করে পুলিশ সুপার কার্যালয় ছাড়েন।
দুপুরে জেলা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সন্ধ্যায় কারফিউ জারির ঘোষণা আসে।
এমআর/সবা