আইসিসির লভ্যাংশ সমান হারে বন্টন হয় না। এ নিয়ে সমালোচনা হয় প্রায়ই। ‘স্টিক টু ক্রিকেট’ পডকাস্টের সর্বশেষ পর্বে সমালোচনা হলো আরও একবার। সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার মাইকেল ভন, অ্যালিস্টার কুক, ডেভিড লয়েড, ফিল টাফনেল আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটার লারা।
সেখানে ভন প্রশ্ন রাখেন, আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে বিরক্তিকর দিক কোনটি? অ্যালিস্টার কুক জবাব দেন,‘‘জাতীয় দলের হয়ে খেলাটা এখন বড় করে দেখা হয় না।’’ তাতে সম্মতি জানান সবাই। আলোচনা হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলতে জাতীয় দল থেকে ক্রিকেটারদের অবসর নেওয়া নিয়ে। তখনই এর সমাধানে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলোর আইসিসির লভ্যাংশ থেকে আরও বেশি টাকা পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন ভন।
আইসিসি বোর্ড সভায় ২০২৪-২৭ চক্রের লভ্যাংশ ভাগাভাগির যে মডেল অনুমোদন করা হয়, সেখানে ৩৮.৫০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ভারতের জন্য। ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড ৬.৮৯, অস্ট্রেলিয়া ৬.২৫, পাকিস্তান ৫.৭৫ আর অন্য দেশগুলো পাবে ৫ শতাংশেরও কম।
৮২ টেস্টে ৫৭১৯ রান করা ভন বলেন, ‘‘ক্রিকেটের টাকা সঠিকভাবে ভাগ হয় না। আইসিসির অনেক টাকা আছে। ক্রিকেটে দুই স্তর চালু করলেও সবচেয়ে ন্যায্য হচ্ছে ভাগাভাগিটা ঠিক করা। সবাই সমান টাকা পাক সেটা বলছি না। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলগুলোর ভাগের টাকা আরও বেশি পাওয়া উচিত, যেন তারা খেলোয়াড়দের আরও বেশি টাকা দিতে পারে। ভালো অঙ্কের অর্থ পেলে ক্রিকেটাররা জাতীয় দলের হয়ে আরও বেশি দিন খেলবে।’’
মাইকেল ভনের কথায় সমর্থন জানিয়ে লারা তখন মাথা নাড়ান।
আরকে/সবা


























