০৩:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীন-উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে চিন্তিত হলেও আশাবাদী কোচ বাটলার

আগামী বছরের ১ থেকে ২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় হবে নারী এশিয়ান কাপ। সোমবার ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের জমকালো ড্র হয়েছে। প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নেওয়া বাংলাদেশের স্থান হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীনের গ্রুপে। ‘বি’ গ্রুপে অন্য দুটি দেশ হলো উজবেকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া। নিজেদের অবস্থান দেখে বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার গ্রুপকে কঠিন বলতে পিছপা হননি।

চীন এই টুর্নামেন্টের ৯ বারের চ্যাম্পিয়ন। উত্তর কোরিয়াও কম নয়। তিনবারের ট্রফি জেতা দল তারা। শুধু উজবেকিস্তানের তেমন সাফল্য নেই। আর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও তিন দলই বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। যেখানে বাংলাদেশ (১২৮) একশর বাইরে, সেখানে গ্রুপের অপেক্ষাকৃত আরেক দুর্বল দল উজবেকিস্তানই ৫১ নম্বরে। চীন (১৭) ও উত্তর কোরিয়া (৯) তো অনেক দূরে। তাই ঋতুপর্ণাদের জন্য কঠিন এক টুর্নামেন্ট অপেক্ষা করছে।

বাটলার বলেছেন, ‘গ্রুপটা খুবই কঠিন, তবে আমি মুখিয়ে আছি। আমার মনে হয়, এটা মেনে নিয়ে উপভোগ করা উচিত। আমার ও দলের দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ১২ মাস আগে আমরা চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে খেলেছিলাম এবং তখন বেশ ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলাম। তারপর থেকে ধীরে ধীরে দলে পরিবর্তন এনেছি, উন্নতি করেছি এবং ধারাবাহিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়েছি।’

এরপর আশাবাদী কণ্ঠে ইংলিশ কোচ বলেছেন, ‘১২ মাস আগের চেয়ে আমরা এখন ভালো দল। ৬ মাস, এমনকি ৩ মাস আগের চেয়েও ভালো অবস্থানে আছি। আমি বিশ্বাস করি আমরা উন্নতির পথে আছি। চীনের বিপক্ষে খেলা খুব কঠিন হবে, উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষেও তাই। কিন্তু সবকিছুই সম্ভব। আমি এই চ্যালেঞ্জ নিতে চাই এবং সবাইকে বলতে চাই আমরা লড়াই করবো, নিজেদের সর্বোচ্চটা দেবো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা একটা ভালো ছাপ রাখবো।’

মার্চে চূড়ান্ত পর্ব নিয়ে বাটলারের পরিকল্পনা আছে। তবে বাফুফে কতটুকু কী করতে পারবে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। বাটলারের অভিমত, ‘আমার পরিকল্পনা আছে, তবে সবকিছু নির্ভর করছে বাফুফের অর্থায়নের ওপর। কথা বলা সহজ। আমি বলতে পারি, আমি সৌদি আরবে খেলতে চাই অথবা অন্য কোথাও যেতে চাই। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার হাতে নেই। আমি কেবল অনুরোধ করতে পারি, বাকিটা আসলে বাফুফের ব্যাপার। আমি পরিকল্পনা ও কৌশল দিয়ে থাকি, এরপর সব নির্ভর করে কর্তৃপক্ষের ওপর যাদের অর্থের ব্যবস্থা করতে হবে। আশা করছি, আমরা কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ ও প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারবো।’
দল নিয়ে বাটলার বড় রকমের পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে নারাজ, ‘সত্যি বলতে, আমার স্কোয়াড প্রায় ঠিকঠাক হয়ে গেছে। কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন হতে পারে। তবে আমাদের অনূর্ধ্ব-২০ দল খুবই ভালো করেছে। জাতীয় দলের নির্বাচনে তারা বড় ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া আমাদের আরও কিছু খেলোয়াড় আছে, যাদের প্রয়োজন হলে ডাকা হবে।’

চীনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ৩ মার্চ। তারা ৬ মার্চ মুখোমুখি হবে উত্তর কোরিয়ার। এই দুটি ম্যাচ হবে সিডনিতে। পার্থে ৯ মার্চ গ্রুপের শেষ ম্যাচ হবে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে।

আরকে/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মৃতিসৌধে তারেক রহমান

চীন-উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে চিন্তিত হলেও আশাবাদী কোচ বাটলার

আপডেট সময় : ০৮:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

আগামী বছরের ১ থেকে ২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় হবে নারী এশিয়ান কাপ। সোমবার ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের জমকালো ড্র হয়েছে। প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নেওয়া বাংলাদেশের স্থান হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীনের গ্রুপে। ‘বি’ গ্রুপে অন্য দুটি দেশ হলো উজবেকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া। নিজেদের অবস্থান দেখে বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার গ্রুপকে কঠিন বলতে পিছপা হননি।

চীন এই টুর্নামেন্টের ৯ বারের চ্যাম্পিয়ন। উত্তর কোরিয়াও কম নয়। তিনবারের ট্রফি জেতা দল তারা। শুধু উজবেকিস্তানের তেমন সাফল্য নেই। আর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও তিন দলই বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। যেখানে বাংলাদেশ (১২৮) একশর বাইরে, সেখানে গ্রুপের অপেক্ষাকৃত আরেক দুর্বল দল উজবেকিস্তানই ৫১ নম্বরে। চীন (১৭) ও উত্তর কোরিয়া (৯) তো অনেক দূরে। তাই ঋতুপর্ণাদের জন্য কঠিন এক টুর্নামেন্ট অপেক্ষা করছে।

বাটলার বলেছেন, ‘গ্রুপটা খুবই কঠিন, তবে আমি মুখিয়ে আছি। আমার মনে হয়, এটা মেনে নিয়ে উপভোগ করা উচিত। আমার ও দলের দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ১২ মাস আগে আমরা চায়নিজ তাইপের বিপক্ষে খেলেছিলাম এবং তখন বেশ ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলাম। তারপর থেকে ধীরে ধীরে দলে পরিবর্তন এনেছি, উন্নতি করেছি এবং ধারাবাহিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়েছি।’

এরপর আশাবাদী কণ্ঠে ইংলিশ কোচ বলেছেন, ‘১২ মাস আগের চেয়ে আমরা এখন ভালো দল। ৬ মাস, এমনকি ৩ মাস আগের চেয়েও ভালো অবস্থানে আছি। আমি বিশ্বাস করি আমরা উন্নতির পথে আছি। চীনের বিপক্ষে খেলা খুব কঠিন হবে, উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষেও তাই। কিন্তু সবকিছুই সম্ভব। আমি এই চ্যালেঞ্জ নিতে চাই এবং সবাইকে বলতে চাই আমরা লড়াই করবো, নিজেদের সর্বোচ্চটা দেবো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা একটা ভালো ছাপ রাখবো।’

মার্চে চূড়ান্ত পর্ব নিয়ে বাটলারের পরিকল্পনা আছে। তবে বাফুফে কতটুকু কী করতে পারবে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। বাটলারের অভিমত, ‘আমার পরিকল্পনা আছে, তবে সবকিছু নির্ভর করছে বাফুফের অর্থায়নের ওপর। কথা বলা সহজ। আমি বলতে পারি, আমি সৌদি আরবে খেলতে চাই অথবা অন্য কোথাও যেতে চাই। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার হাতে নেই। আমি কেবল অনুরোধ করতে পারি, বাকিটা আসলে বাফুফের ব্যাপার। আমি পরিকল্পনা ও কৌশল দিয়ে থাকি, এরপর সব নির্ভর করে কর্তৃপক্ষের ওপর যাদের অর্থের ব্যবস্থা করতে হবে। আশা করছি, আমরা কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ ও প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারবো।’
দল নিয়ে বাটলার বড় রকমের পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে নারাজ, ‘সত্যি বলতে, আমার স্কোয়াড প্রায় ঠিকঠাক হয়ে গেছে। কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন হতে পারে। তবে আমাদের অনূর্ধ্ব-২০ দল খুবই ভালো করেছে। জাতীয় দলের নির্বাচনে তারা বড় ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া আমাদের আরও কিছু খেলোয়াড় আছে, যাদের প্রয়োজন হলে ডাকা হবে।’

চীনের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ৩ মার্চ। তারা ৬ মার্চ মুখোমুখি হবে উত্তর কোরিয়ার। এই দুটি ম্যাচ হবে সিডনিতে। পার্থে ৯ মার্চ গ্রুপের শেষ ম্যাচ হবে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে।

আরকে/সবা