০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ৯ দিনব্যাপী নাট্যোৎসব

জুলহাস কবির,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।গত সোমবার শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব ২০২৩।সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তরুণ নাট্য শিল্পীদের এ আয়োজন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম আল মামুনের নাটক ‘কোকিলারা’ মঞ্চায়ন হে মাকসুদ কামাল। এবারের নাট্যোৎসবে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন নাট্যকার, অভিনেতা, নির্দেশক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ। নয় দিনব্যাপী উৎসবটি চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক সমাপনী সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে নয়দিনে ১৫টি নাটক মঞ্চস্থ হবে।
আয়োজকরা জানান, উদ্বোধনী দিনে মঞ্চায়িত হয়েছে ইফতি শাহরিয়ার রাইয়ানের নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী সৃষ্টি ‘ডাকঘর’। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে ছিল শাওনের নির্দেশনায় সেলিম আল দীনের নাটক “সংবাদ কার্টুন’ এবং রিফাত করবীর নির্দেশনায় আহমদ ছফার নাটক ‘বিলাস’। ৪ অক্টোবর হয়েছে মুজাহিদুল ইসলাম রিফাতের রিজভীর নির্দেশনায় ঠাকুর নাটক ‘চণ্ডালিকা’। ৫ অক্টোবর তাহিয়া তাসনিমের নির্দেশনায় সৈয়দ শামসুল হকের “ইর্ষা” এবং মৌমিতা সরকারের রচনা ও নির্দেশনায় নাটক ‘বৈদেহী’। ৬ অক্টোবর ছিলো মিরহাজুল শিবলীর নির্দেশনায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাটক ‘কমলাকান্তের জবানবন্দী এবং জাদিদ ইমতিয়াজ আহমেদের নির্দেশনায় আবদুল্লাহ আল মামুন এর কোকিলারা। ৭ অক্টোবরে তরিকুল সরদারের নির্দেশনায় উৎপল দত্তের মেঘ ও সালমানের নূরের নির্দেশনায় নুরুল মোমেনের নেমেসিস।৮ অক্টোবর প্রদর্শন হয়েছে প্রাণ কৃষ্ণ বণিকের নির্দেশনায় শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক “সত্যান্বেষী” এবং এসএ তানভীরের নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথের “স্ত্রীর পত্র”। অক্টোবর সমাপনী দিনে থাকছে দেবলীনা চন্দ্র দৈবীর সমাপনী দিনে থাকছে দেবলীনা চন্দ্র দৈবীর নির্দেশনায় বদরুজ্জামান আলমগীরের নাটক ‘অহরকন্ডল’ ও জয়া মারিয়া কস্তার নির্দেশনায় মুনীর চৌধুরীর নাটক ‘দণ্ডকারণ্য’।

নাট্য উৎসবের প্রভাব বিশ্লেশনে বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, “মানুষে মানুষে সম্পর্কের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।” তিনি আরও বলেন, ‘একজন হয়তো থিওরি পরীক্ষায় খারাপ করেছে, অথচ দেখা গেল অভিনয়ে সে-ই সেরা। আরেকজন হয়তো ভালো লিখতে পারে, কিন্তু যোগাযোগের দক্ষতা নেই বিশেষ। আমাদের কাজ যার ভেতরে যে প্রতিভা আছে, সেটা বের করে আনা। যেন সে ভবিষ্যতে তার শক্তিশালী দিকটা পেশাজীবনে কাজে লাগিয়ে ভালো করতে পারে।’ বিভাগের চেয়ারম্যান আরও জানালেন, পাঁচ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এত পরিশ্রম করেন যে সব রকম অভিজ্ঞতা তাঁদের হয়ে যায়, এটা অনেকটা ‘কমান্ডোদের সারভাইভাল ট্রেনিংয়ের মতো।
এবারের নাট্যউৎসবে নাট্যকার, অভিনেতা, নির্দেশক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদকে এবারের নাট্যোৎসবে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হবে। এর আগে সেলিম আল দীন, ফেরদৌসী মজুমদার, সৈয়দ শামসুল হক, আলী যাকের, আতাউর রহমান, রামেন্দু মজুমদার ও আসাদুজ্জামান নূর এই সম্মাননা পেয়েছেন। এছাড়া এবারের নাট্য উৎসবে দর্শক উপস্থিতি চোখে পড়বার মত। বাংলা নাটকের সঞ্জীবনী শক্তি দর্শকের কাছে কতটা গ্রগন যোগ্যতা পেয়েছে তা বলার অবকাশ রাখে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

একনেক সভায় ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ৯ দিনব্যাপী নাট্যোৎসব

আপডেট সময় : ০৬:১৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

জুলহাস কবির,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় 

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।গত সোমবার শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব ২০২৩।সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তরুণ নাট্য শিল্পীদের এ আয়োজন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম আল মামুনের নাটক ‘কোকিলারা’ মঞ্চায়ন হে মাকসুদ কামাল। এবারের নাট্যোৎসবে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন নাট্যকার, অভিনেতা, নির্দেশক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ। নয় দিনব্যাপী উৎসবটি চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক সমাপনী সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে নয়দিনে ১৫টি নাটক মঞ্চস্থ হবে।
আয়োজকরা জানান, উদ্বোধনী দিনে মঞ্চায়িত হয়েছে ইফতি শাহরিয়ার রাইয়ানের নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী সৃষ্টি ‘ডাকঘর’। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে ছিল শাওনের নির্দেশনায় সেলিম আল দীনের নাটক “সংবাদ কার্টুন’ এবং রিফাত করবীর নির্দেশনায় আহমদ ছফার নাটক ‘বিলাস’। ৪ অক্টোবর হয়েছে মুজাহিদুল ইসলাম রিফাতের রিজভীর নির্দেশনায় ঠাকুর নাটক ‘চণ্ডালিকা’। ৫ অক্টোবর তাহিয়া তাসনিমের নির্দেশনায় সৈয়দ শামসুল হকের “ইর্ষা” এবং মৌমিতা সরকারের রচনা ও নির্দেশনায় নাটক ‘বৈদেহী’। ৬ অক্টোবর ছিলো মিরহাজুল শিবলীর নির্দেশনায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাটক ‘কমলাকান্তের জবানবন্দী এবং জাদিদ ইমতিয়াজ আহমেদের নির্দেশনায় আবদুল্লাহ আল মামুন এর কোকিলারা। ৭ অক্টোবরে তরিকুল সরদারের নির্দেশনায় উৎপল দত্তের মেঘ ও সালমানের নূরের নির্দেশনায় নুরুল মোমেনের নেমেসিস।৮ অক্টোবর প্রদর্শন হয়েছে প্রাণ কৃষ্ণ বণিকের নির্দেশনায় শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক “সত্যান্বেষী” এবং এসএ তানভীরের নির্দেশনায় রবীন্দ্রনাথের “স্ত্রীর পত্র”। অক্টোবর সমাপনী দিনে থাকছে দেবলীনা চন্দ্র দৈবীর সমাপনী দিনে থাকছে দেবলীনা চন্দ্র দৈবীর নির্দেশনায় বদরুজ্জামান আলমগীরের নাটক ‘অহরকন্ডল’ ও জয়া মারিয়া কস্তার নির্দেশনায় মুনীর চৌধুরীর নাটক ‘দণ্ডকারণ্য’।

নাট্য উৎসবের প্রভাব বিশ্লেশনে বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, “মানুষে মানুষে সম্পর্কের বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।” তিনি আরও বলেন, ‘একজন হয়তো থিওরি পরীক্ষায় খারাপ করেছে, অথচ দেখা গেল অভিনয়ে সে-ই সেরা। আরেকজন হয়তো ভালো লিখতে পারে, কিন্তু যোগাযোগের দক্ষতা নেই বিশেষ। আমাদের কাজ যার ভেতরে যে প্রতিভা আছে, সেটা বের করে আনা। যেন সে ভবিষ্যতে তার শক্তিশালী দিকটা পেশাজীবনে কাজে লাগিয়ে ভালো করতে পারে।’ বিভাগের চেয়ারম্যান আরও জানালেন, পাঁচ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এত পরিশ্রম করেন যে সব রকম অভিজ্ঞতা তাঁদের হয়ে যায়, এটা অনেকটা ‘কমান্ডোদের সারভাইভাল ট্রেনিংয়ের মতো।
এবারের নাট্যউৎসবে নাট্যকার, অভিনেতা, নির্দেশক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদকে এবারের নাট্যোৎসবে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হবে। এর আগে সেলিম আল দীন, ফেরদৌসী মজুমদার, সৈয়দ শামসুল হক, আলী যাকের, আতাউর রহমান, রামেন্দু মজুমদার ও আসাদুজ্জামান নূর এই সম্মাননা পেয়েছেন। এছাড়া এবারের নাট্য উৎসবে দর্শক উপস্থিতি চোখে পড়বার মত। বাংলা নাটকের সঞ্জীবনী শক্তি দর্শকের কাছে কতটা গ্রগন যোগ্যতা পেয়েছে তা বলার অবকাশ রাখে না।