উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে শনিবার ভোরে তালেবানের একটি হামলায় কমপক্ষে ১২ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। স্থানীয় নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভোর ৪টার দিকে সামরিক কনভয়টি শহরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, তখন সশস্ত্র হামলাকারীরা দুই দিক থেকে ভারী অস্ত্রের নিক্ষেপ চালায়। হামলায় চারজন আহত হয়েছেন এবং হামলাকারীরা কনভয়ের কিছু অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে।
হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। যদিও আফগান তালেবানের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, টিটিপি একটি পৃথক সশস্ত্র সংগঠন। ২০২১ সালে আফগান তালেবান কাবুলে ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তান-আফগান সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি হামলার সংখ্যা আবার বাড়ছে।
এটাই কয়েক মাসের মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অন্যতম ভয়াবহ হামলা। একসময় প্রদেশের বড় অংশ টিটিপির নিয়ন্ত্রণে ছিল, ২০১৪ সালে সামরিক অভিযানের পর তাদের প্রভাব কমে গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয়ভাবে তাদের উপস্থিতি বাড়ছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, টিটিপি আবার প্রদেশে শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারে।
এএফপির হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে সশস্ত্র হামলায় প্রায় ৪৬০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তান তাদের ভূখণ্ড থেকে পাকিস্তানে হামলা চালানো জঙ্গিদের প্রতিরোধে ব্যর্থ হচ্ছে, যদিও কাবুল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর পাকিস্তানে প্রায় এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক নিহতই সেনা ও পুলিশ সদস্য।


























