চট্টগ্রাম রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন সেবা ও সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের পার্কিং স্পেস নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার কারণে নতুন টেন্ডার আহ্বান করা যাচ্ছে না। স্টেশনের ১২ হাজার বর্গফুটের পার্কিং স্পেসটি পূর্বে এসএ করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছিল। ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে ইজারা দিতে গেলে প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করে। মামলার কারণে টেন্ডার প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা (বাণিজ্যিক) মো. মামুন মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, “মামলার কারণে পার্কিংসহ অন্যান্য সেবা যেমন ক্যাটারিং সার্ভিসের নতুন ঠিকাদার নিয়োগও ঝুলে রয়েছে। মামলা শেষ হলে টেন্ডার আহ্বান করা হবে।”
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন শাখা বর্তমানে ১,৪৫০টি মামলা পরিচালনা করছে। এর মধ্যে: সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ: ৬৫টি, হাইকোর্ট বিভাগ: ৫৪০টি, জজ কোর্ট: ৭৭০টি, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল: ৭৫টি।
মামলার ৮০ শতাংশই ভূমি সংক্রান্ত। প্রতি মাসে ৮–১০টি মামলা দায়ের হলেও প্রতিসম্পন্ন মাত্র ১–২টি মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে। বছরের পর বছর মামলাগুলো ঝুলে থাকা এবং নিষ্পত্তি না হওয়া রেলের কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।
রেলওয়ের আইন কর্মকর্তা মো. আলআবলেন জানিয়েছেন, আইন শাখায় জনবল সংকট রয়েছে। এখানে দু’জন আইন কর্মকর্তা রয়েছেন, কিন্তু পাঁচটি কোর্ট পরিদর্শকের মধ্যে কেউ কর্মরত নেই। স্টেনো টাইপিস্ট, প্রধান সহকারী ও অফিস সহকারীর পদও শূন্য। এছাড়া আইনজীবীর সংখ্যা কম এবং তাদের প্রাপ্য অর্থও নগণ্য।
বছরের পর বছর ধরে মামলার ধীরগতি ও ঝুলে থাকা নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়া রেলের আর্থিক ও কার্যকরী সেবা ব্যাহত করছে। পার্কিং স্পেস, ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ধীরগতি রেলের আয় ও যাত্রীসেবা ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, যদি জনবল সংকট পূরণ করা হয় এবং মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা হয়, তবে এ ধরণের সমস্যা অনেকাংশে সমাধান করা সম্ভব হবে।
এমআর/সবা


























