০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে মাদারীপুরের যুবকের মৃত্যু

পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি)-এর হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন মাদারীপুরের এক তরুণ। নিহত যুবকের নাম ফয়সাল হোসেন (২১)। তার বাড়ি সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ছোট দুধখালী গ্রামে।

গত শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১৭ জন টিটিপি সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ফয়সালও ছিলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ফয়সালের বড় ভাই আরমান হোসেন জানান, অস্ত্র হাতে ফয়সালের একটি ছবি দেখে তিনি নিশ্চিত হন। পরিবারের সঙ্গে ফয়সালের সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছিল গত কোরবানির ঈদের আগে। তিনি ২০২৪ সালের মার্চে দুবাই যাওয়ার কথা বলে দেশ ছাড়েন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফয়সালের বাবা একজন ইলেকট্রিশিয়ান এবং বড় ভাই আরমান ডারাজে ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করেন।

 

পাকিস্তানভিত্তিক সাংবাদিক জাওয়াদ ইউসুফজাই সামাজিক মাধ্যমে জানান, নিহতদের মধ্যে একজনের কাছে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র, টাকা ও বিভিন্ন কাগজপত্র পাওয়া গেছে।

এদিকে টিটিপির হয়ে যুদ্ধরত আরেক বাংলাদেশি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ফয়সালের ছবি পোস্ট করে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বোমা হামলায় আহমেদ জোবায়ের নামে আরেক বাংলাদেশি নিহত হন। গত মে মাসে দ্য ডিসেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এক বছরের বেশি সময়ে অন্তত চার বাংলাদেশি টিটিপির হয়ে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

এসব ঘটনার পর গত জুলাইয়ে টিটিপির সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাংলাদেশে অন্তত দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

চবি কেন্দ্রে ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে মাদারীপুরের যুবকের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৪:০০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি)-এর হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন মাদারীপুরের এক তরুণ। নিহত যুবকের নাম ফয়সাল হোসেন (২১)। তার বাড়ি সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ছোট দুধখালী গ্রামে।

গত শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১৭ জন টিটিপি সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ফয়সালও ছিলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ফয়সালের বড় ভাই আরমান হোসেন জানান, অস্ত্র হাতে ফয়সালের একটি ছবি দেখে তিনি নিশ্চিত হন। পরিবারের সঙ্গে ফয়সালের সর্বশেষ যোগাযোগ হয়েছিল গত কোরবানির ঈদের আগে। তিনি ২০২৪ সালের মার্চে দুবাই যাওয়ার কথা বলে দেশ ছাড়েন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফয়সালের বাবা একজন ইলেকট্রিশিয়ান এবং বড় ভাই আরমান ডারাজে ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করেন।

 

পাকিস্তানভিত্তিক সাংবাদিক জাওয়াদ ইউসুফজাই সামাজিক মাধ্যমে জানান, নিহতদের মধ্যে একজনের কাছে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র, টাকা ও বিভিন্ন কাগজপত্র পাওয়া গেছে।

এদিকে টিটিপির হয়ে যুদ্ধরত আরেক বাংলাদেশি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ফয়সালের ছবি পোস্ট করে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বোমা হামলায় আহমেদ জোবায়ের নামে আরেক বাংলাদেশি নিহত হন। গত মে মাসে দ্য ডিসেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এক বছরের বেশি সময়ে অন্তত চার বাংলাদেশি টিটিপির হয়ে লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

এসব ঘটনার পর গত জুলাইয়ে টিটিপির সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাংলাদেশে অন্তত দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এমআর/সবা