০৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে বুটেক্স শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী (অপূর্ব পাল, পরিচিতি ‘অপূর্ব রাদ’) কর্তৃক আল-কুরআন অবমাননার দাবিতে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে হাজারো শিক্ষার্থী ও কিছু শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

দুপুর ১টার পর বুটেক্সের পকেট গেটের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল শুরু করে। ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটকের সামনে তারা মানববন্ধন করে। মিছিলে “আল্লাহু আকবার”, “দীন ইসলাম জিন্দাবাদ”, “আল কুরআনের অপমান সইবে না মুসলমান”, “সেক্যুলারিজম মুর্দাবাদ”, “আল কুরআনের শত্রুরা সাবধান” – এ জাতীয় স্লোগান ধ্বনিত হয় এবং কর্মসূচি জোরালো পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও প্রতিবাদে অংশ নেন।

ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদ সরকার বলেন, “আমরা সকলেই জানি, ইসলামের শত্রুরা সুপরিকল্পিতভাবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাধ্যমে ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড ছড়ানোর চেষ্টা করছে। যে ছাত্র কোরআন অবমাননা করেছে, তার কর্ম আমাদের গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছি। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মুসলিম জনতা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে—এটি আমরা সর্তকভাবে জানাচ্ছি।” তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু চিহ্নিত গোষ্ঠী ইসলামবিরোধী বার্তা ছড়াতে চাইছে; তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আল হাজ্জ বলেন, “আল-কুরআন মহাবিশ্বের সর্বোচ্চ মহাগ্রন্থ। একে অবমাননার শাস্তি হিসাবে আমরা কার্যত সর্বোচ্চ বিচার দাবি করি। যদি দেশের আইন অনুযায়ী বিচার না করা হয়, তাহলে জনগণের ধৈর্য হ্রাস পাবে।” অন্য শিক্ষার্থী কাজী ওসমান মাহদী (এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ) বলেন, “ভিডিওটি দেখার সাহস হয়নি; সেখানে কোরআনকে পায়ের নিচে ফেলে অবমাননা করা হয়েছে। এটি শুধু কোরআনের অপমান নয়, তা ১৫ কোটি মুসলমানের অন্তরে আঘাত। কিছু মিডিয়া ঘটনার মানসিক ভারসাম্যহীনতার আড়ালে কাটিয়ে দিতে চাইলেও আমাদের সেই যুক্তি গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না।”

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং পকেট গেটে এসে কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত করে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাণ্ড যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানায়।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক ও নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যকার সমন্বয়সহ একটি নিরপেক্ষ তদন্ত তাদের কাছেই দাবী করা হচ্ছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক ও জাতীয় স্তরে ঘটনার যথাযথ বিচার হওয়া নিশ্চিত করতে আন্দোলন-প্রতিবাদের আকৃতি যদি বাড়ে, তাতে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহন করা জরুরি বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে বুটেক্স শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৬:৫৩:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী (অপূর্ব পাল, পরিচিতি ‘অপূর্ব রাদ’) কর্তৃক আল-কুরআন অবমাননার দাবিতে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে হাজারো শিক্ষার্থী ও কিছু শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

দুপুর ১টার পর বুটেক্সের পকেট গেটের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল শুরু করে। ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটকের সামনে তারা মানববন্ধন করে। মিছিলে “আল্লাহু আকবার”, “দীন ইসলাম জিন্দাবাদ”, “আল কুরআনের অপমান সইবে না মুসলমান”, “সেক্যুলারিজম মুর্দাবাদ”, “আল কুরআনের শত্রুরা সাবধান” – এ জাতীয় স্লোগান ধ্বনিত হয় এবং কর্মসূচি জোরালো পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও প্রতিবাদে অংশ নেন।

ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদ সরকার বলেন, “আমরা সকলেই জানি, ইসলামের শত্রুরা সুপরিকল্পিতভাবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাধ্যমে ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড ছড়ানোর চেষ্টা করছে। যে ছাত্র কোরআন অবমাননা করেছে, তার কর্ম আমাদের গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছি। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মুসলিম জনতা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে—এটি আমরা সর্তকভাবে জানাচ্ছি।” তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু চিহ্নিত গোষ্ঠী ইসলামবিরোধী বার্তা ছড়াতে চাইছে; তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আল হাজ্জ বলেন, “আল-কুরআন মহাবিশ্বের সর্বোচ্চ মহাগ্রন্থ। একে অবমাননার শাস্তি হিসাবে আমরা কার্যত সর্বোচ্চ বিচার দাবি করি। যদি দেশের আইন অনুযায়ী বিচার না করা হয়, তাহলে জনগণের ধৈর্য হ্রাস পাবে।” অন্য শিক্ষার্থী কাজী ওসমান মাহদী (এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ) বলেন, “ভিডিওটি দেখার সাহস হয়নি; সেখানে কোরআনকে পায়ের নিচে ফেলে অবমাননা করা হয়েছে। এটি শুধু কোরআনের অপমান নয়, তা ১৫ কোটি মুসলমানের অন্তরে আঘাত। কিছু মিডিয়া ঘটনার মানসিক ভারসাম্যহীনতার আড়ালে কাটিয়ে দিতে চাইলেও আমাদের সেই যুক্তি গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না।”

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং পকেট গেটে এসে কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত করে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাণ্ড যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানায়।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক ও নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যকার সমন্বয়সহ একটি নিরপেক্ষ তদন্ত তাদের কাছেই দাবী করা হচ্ছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক ও জাতীয় স্তরে ঘটনার যথাযথ বিচার হওয়া নিশ্চিত করতে আন্দোলন-প্রতিবাদের আকৃতি যদি বাড়ে, তাতে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহন করা জরুরি বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

এমআর/সবা