০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ের ৩ বছর পর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করলেন স্ত্রী

মোঃ মাসুদ রানা.সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সরকারি চাকরিজীবী মামুন নবী খান (৩৪) বিয়ে করেন ২০২০ সালের ৩ জুলাই। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মেয়ে সাগরিকার (ছদ্মনাম) বাড়ি পাশ্ববর্তী কান্দাপাড়ায়। তবে ২০২০ সালের ৩ জুলাই বিয়ে করলেও সাগরিকাকে মামুন  অনুষ্ঠানিকভাবে নিজের ঘরে তুলে নেন ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি।

মামুন অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই সাগরিকা অন্য এক ছেলের সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। যদিও বিয়ের আগে থেকেই অন্য এক ছেলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ছিল। সেটা গোপন করে আমার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পরও গোপনে ওই ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা চলমান রাখে। তাদের কথোপকথনের রেকর্ড ও আমার কাছে আছে। এক পর্যায়ে বিষয়টি আমি তার মা-বাবাকে অবহিত করি। কিন্তু তারা ও বিষয়টি অস্বীকার করেন। এরপর হঠাৎ গত ১ জানুয়ারি তারা আমার বাড়িতে এসে মেয়েকে নিয়ে চলে যান। এরপর আর আমার বাড়িতে সাগরিকাকে পাঠাইনি।

মামুন নবী আরও বলেন, আমি বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি অনেকবার। এ নিয়ে স্থানীয় মাতব্বরদের নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশও বসা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনোভাবেই বিষয়টি সমাধান করতে রাজি হয়নি। এভাবে ছয় মাস অতিক্রম হওয়ার পর আমি সাগরিকাকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। সেই প্রেক্ষিতে গত ৬ জুন মেয়ের বাড়িতে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ২৭ জুলাই তারা আমার বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আর মেয়ের বয়স ১৮ পূর্ণ না হওয়ায় বিয়ের সময় কাবিননামা করা হয়নি। এই সুযোগে মেয়ের বাবা-মা ও চাচা স্থানীয় ইউপি সদস্য আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।

মামুনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে আংটি পরানো থেকে শুরু করে বিয়ের অনুষ্ঠান ও বাসরঘরের ছবিও রয়েছে। শুধু তাই নয় বিয়েতে স্থানীয় দুই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, ২০২০ সালে তাদের বিয়ে হলেও শুনেছি মেয়ের পরিবার মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। বিয়ের পর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা যায় কিনা আমার জানা নেই। তবে মেয়ের পরিবারের উদ্দেশ্য ছেলেটা যেন চাকরি করতে না পারে।

মামুন নবী খানের মা বলেন, বিয়ের পর থেকে মেয়ে অন্য একটা ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলতো। সে আমার ছেলের সঙ্গে প্রায় সময় ঝগড়া করতো। সংসারের প্রতি তার কোনো মনোযোগ ছিল না। আমাদের সঙ্গেও তেমন ভাবে কোন কথা বার্তা বলতো না। বিষয় গুলো তার মা-বাবাকে বারবার জানানো হলেও কোন কাজে আসেনি। উল্টো তারা এসে মেয়েকে নিয়ে গিয়ে আর ফেরত পাঠায়নি।

ছেলের বাবা আবু মুছা খান বলেন, মেয়ের পরিবার ডিভোর্স লেটার পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে আমার ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য অনেকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মেয়ের চাচা স্থানীয় ইউপি সদস্য হওয়ায় আমাদের উল্টো নানান ভাবে হয়রানি করছে।

এদিকে মেয়ের বাবা আল-আমিন মন্ডল বলেন, মেয়েকে ডিভোর্স দেয়ার আমার ভাইয়ের পরামশ্বে আদালতে মামলা করা হয়েছে। এসব বিষয় ভাই ভালো বলতে পারবে আমি আর কিছু বলতে পারবো না।

মেয়ের চাচা স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম মন্ডলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে। এ অবস্থায় কিছু বলতে পারবো না।

কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মীমাংসার জন্য প্রায় এক মাস আগে আমরা মুরব্বিদের নিয়ে বসেছিলাম। বিয়ের সময় মেয়ের পরিবার ছেলেকে তিন লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়েছিল। বিয়ের দেনমোহর ছিল ৭ লাখ টাকা। এজন্য আমরা ছেলেপক্ষকে ৭ লাখ টাকা দিতে বলেছিলাম। কিন্তু মেয়েপক্ষ সেটা মানেনি। লোকমুখে শুনেছি তারা নাকি ওই ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে।

তাদের বিয়ে পড়ান স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও কান্দাপাড়া হাটখোলার বিসমিল্লাহ ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী হোমিও চিকিৎসক হাসান আলী। তিনি বলেন, উভয় পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছিল। আমি নিজে বিয়ের কালেমা পড়িয়েছি। কিন্তু মেয়ের বয়স কম হওয়ায় ওই সময় কাবিন হয়নি। শুনেছি ওই ছেলের বিরুদ্ধে নাকি মেয়ের পরিবার মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন, ওই মেয়েকে ডিভোর্স দেয়ার পর ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে এটা শুনেছি। তবে তাদের বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের দফায় দফায় বসা হলেও আমি উপস্থিত ছিলাম না।

সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাড. নাসির উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে নিষিদ্ধ হলেও বিশেষ ক্ষেত্রে ‘সর্বোত্তম স্বার্থে’ আদালতের নির্দেশে ও বাবা মায়ের সম্মতিতে যে কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ে হতে পারে। আইনের এই ফাঁকটিরই ব্যবহার করছেন অভিভাবকরা। কারণ আমাদের সমাজে এখনো ১১/১২ বছর বয়সের বিয়েটাকেই বাল্যবিয়ে বলে মনে করা হয়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ১৬ বছর পর্যন্ত শিশু। অথচ জাতিসংঘের হিসেবে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশু। আবার বিয়ে হয়ে গেলে ১৩ বছর বয়সের স্ত্রীর সঙ্গে বাধ্যতামূলক যৌন সম্পর্ক করাটা বৈধ। আইনে বলা হচ্ছে, বিবাহিত সম্পর্কের মধ্যে কোনো স্বামী যদি ১৩ বছরের কোনো মেয়েকে নিজের স্ত্রী হিসেবে জোর করে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করে, তবে সেই মেয়েটি ধর্ষণের কোনো মামলা করতে পারবে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, ভরি ছাড়াল দুই লাখ ২৭ হাজার

বিয়ের ৩ বছর পর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করলেন স্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৪৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

মোঃ মাসুদ রানা.সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সরকারি চাকরিজীবী মামুন নবী খান (৩৪) বিয়ে করেন ২০২০ সালের ৩ জুলাই। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মেয়ে সাগরিকার (ছদ্মনাম) বাড়ি পাশ্ববর্তী কান্দাপাড়ায়। তবে ২০২০ সালের ৩ জুলাই বিয়ে করলেও সাগরিকাকে মামুন  অনুষ্ঠানিকভাবে নিজের ঘরে তুলে নেন ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি।

মামুন অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই সাগরিকা অন্য এক ছেলের সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। যদিও বিয়ের আগে থেকেই অন্য এক ছেলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ছিল। সেটা গোপন করে আমার সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পরও গোপনে ওই ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলা চলমান রাখে। তাদের কথোপকথনের রেকর্ড ও আমার কাছে আছে। এক পর্যায়ে বিষয়টি আমি তার মা-বাবাকে অবহিত করি। কিন্তু তারা ও বিষয়টি অস্বীকার করেন। এরপর হঠাৎ গত ১ জানুয়ারি তারা আমার বাড়িতে এসে মেয়েকে নিয়ে চলে যান। এরপর আর আমার বাড়িতে সাগরিকাকে পাঠাইনি।

মামুন নবী আরও বলেন, আমি বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি অনেকবার। এ নিয়ে স্থানীয় মাতব্বরদের নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশও বসা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনোভাবেই বিষয়টি সমাধান করতে রাজি হয়নি। এভাবে ছয় মাস অতিক্রম হওয়ার পর আমি সাগরিকাকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। সেই প্রেক্ষিতে গত ৬ জুন মেয়ের বাড়িতে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ২৭ জুলাই তারা আমার বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আর মেয়ের বয়স ১৮ পূর্ণ না হওয়ায় বিয়ের সময় কাবিননামা করা হয়নি। এই সুযোগে মেয়ের বাবা-মা ও চাচা স্থানীয় ইউপি সদস্য আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।

মামুনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়েকে আংটি পরানো থেকে শুরু করে বিয়ের অনুষ্ঠান ও বাসরঘরের ছবিও রয়েছে। শুধু তাই নয় বিয়েতে স্থানীয় দুই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, ২০২০ সালে তাদের বিয়ে হলেও শুনেছি মেয়ের পরিবার মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। বিয়ের পর স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা যায় কিনা আমার জানা নেই। তবে মেয়ের পরিবারের উদ্দেশ্য ছেলেটা যেন চাকরি করতে না পারে।

মামুন নবী খানের মা বলেন, বিয়ের পর থেকে মেয়ে অন্য একটা ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলতো। সে আমার ছেলের সঙ্গে প্রায় সময় ঝগড়া করতো। সংসারের প্রতি তার কোনো মনোযোগ ছিল না। আমাদের সঙ্গেও তেমন ভাবে কোন কথা বার্তা বলতো না। বিষয় গুলো তার মা-বাবাকে বারবার জানানো হলেও কোন কাজে আসেনি। উল্টো তারা এসে মেয়েকে নিয়ে গিয়ে আর ফেরত পাঠায়নি।

ছেলের বাবা আবু মুছা খান বলেন, মেয়ের পরিবার ডিভোর্স লেটার পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে আমার ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য অনেকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মেয়ের চাচা স্থানীয় ইউপি সদস্য হওয়ায় আমাদের উল্টো নানান ভাবে হয়রানি করছে।

এদিকে মেয়ের বাবা আল-আমিন মন্ডল বলেন, মেয়েকে ডিভোর্স দেয়ার আমার ভাইয়ের পরামশ্বে আদালতে মামলা করা হয়েছে। এসব বিষয় ভাই ভালো বলতে পারবে আমি আর কিছু বলতে পারবো না।

মেয়ের চাচা স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম মন্ডলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে মামলা চলছে। এ অবস্থায় কিছু বলতে পারবো না।

কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মীমাংসার জন্য প্রায় এক মাস আগে আমরা মুরব্বিদের নিয়ে বসেছিলাম। বিয়ের সময় মেয়ের পরিবার ছেলেকে তিন লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়েছিল। বিয়ের দেনমোহর ছিল ৭ লাখ টাকা। এজন্য আমরা ছেলেপক্ষকে ৭ লাখ টাকা দিতে বলেছিলাম। কিন্তু মেয়েপক্ষ সেটা মানেনি। লোকমুখে শুনেছি তারা নাকি ওই ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে।

তাদের বিয়ে পড়ান স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও কান্দাপাড়া হাটখোলার বিসমিল্লাহ ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী হোমিও চিকিৎসক হাসান আলী। তিনি বলেন, উভয় পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছিল। আমি নিজে বিয়ের কালেমা পড়িয়েছি। কিন্তু মেয়ের বয়স কম হওয়ায় ওই সময় কাবিন হয়নি। শুনেছি ওই ছেলের বিরুদ্ধে নাকি মেয়ের পরিবার মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন, ওই মেয়েকে ডিভোর্স দেয়ার পর ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে এটা শুনেছি। তবে তাদের বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের দফায় দফায় বসা হলেও আমি উপস্থিত ছিলাম না।

সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাড. নাসির উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে নিষিদ্ধ হলেও বিশেষ ক্ষেত্রে ‘সর্বোত্তম স্বার্থে’ আদালতের নির্দেশে ও বাবা মায়ের সম্মতিতে যে কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ে হতে পারে। আইনের এই ফাঁকটিরই ব্যবহার করছেন অভিভাবকরা। কারণ আমাদের সমাজে এখনো ১১/১২ বছর বয়সের বিয়েটাকেই বাল্যবিয়ে বলে মনে করা হয়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ১৬ বছর পর্যন্ত শিশু। অথচ জাতিসংঘের হিসেবে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশু। আবার বিয়ে হয়ে গেলে ১৩ বছর বয়সের স্ত্রীর সঙ্গে বাধ্যতামূলক যৌন সম্পর্ক করাটা বৈধ। আইনে বলা হচ্ছে, বিবাহিত সম্পর্কের মধ্যে কোনো স্বামী যদি ১৩ বছরের কোনো মেয়েকে নিজের স্ত্রী হিসেবে জোর করে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করে, তবে সেই মেয়েটি ধর্ষণের কোনো মামলা করতে পারবে না।