প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যভিত্তিক উচ্চশিক্ষাবিষয়ক সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই)–এর বিশ্ব র্যাংকিংয়ে স্থান পেয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। ২০২৬ সালের তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ১২০১–১৫০০–এর মধ্যে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) টিএইচই তাদের ওয়েবসাইটে এ র্যাংকিং প্রকাশ করে। তালিকায় বাংলাদেশের ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।
দেশের মধ্যে নোবিপ্রবি রয়েছে ১২তম, আর গবেষণার মানদণ্ডে বিশ্ব তালিকায় অবস্থান ৭২২তম।
বিশ্ব র্যাংকিংয়ে এবার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ১১৫টি দেশ ও অঞ্চলের ২,১৯১টি বিশ্ববিদ্যালয়। শীর্ষ ৫০০–এর মধ্যে এবারও বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পায়নি।
বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, এরপর গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (৮০১–১০০০)।
এছাড়া বুয়েট, ব্র্যাক, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১০০১–১২০০ অবস্থানে।
নোবিপ্রবির সঙ্গে একই ক্যাটাগরিতে রয়েছে চুয়েট, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এআইইউবি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, আর ভারত এবার যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তালিকায় স্থান পেয়েছে।
নোবিপ্রবির শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা এ অর্জনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পর এই স্বীকৃতি নোবিপ্রবির গবেষণামুখী পরিবেশের প্রতিফলন।
নোবিপ্রবির উপ–উপাচার্য ও র্যাংকিং সেলের পরিচালক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, “প্রথমবারের মতো নোবিপ্রবি বিশ্ব র্যাংকিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে। এটি আমাদের সবার গর্বের দিন। এক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রমের ফল আজকের এই অর্জন।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, “নোবিপ্রবি পরিবারের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল এটি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে।”
প্রসঙ্গত, টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাংকিং নির্ধারণ করে পাঁচটি মানদণ্ডে—শিক্ষা, গবেষণা পরিবেশ, গবেষণার মান, শিল্পখাতে অবদান ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি।
এমআর/সবা


























