০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাংকিংয়ে জায়গা হয়নি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের

বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাংকিং প্রকাশকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই)–এর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৬-এ স্থান পায়নি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) প্রকাশিত এই তালিকায় বাংলাদেশের মোট ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু বছর পর প্রতিষ্ঠিত হলেও তারা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি র‍্যাংকিংয়ে এবং বাকি ৯টি “রিপোর্টার” হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই ৮০০–এর ওপরে স্থান পায়নি। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, এরপর যথাক্রমে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (৮০১–১০০০ অবস্থানে)।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (প্রতিষ্ঠিত ২০০৭ সালে) অবস্থান করছে ১০০১–১২০০–এর মধ্যে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (প্রতিষ্ঠিত ১৯৯১ সালে), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯৯), এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২০০৬) রয়েছে ১২০১–১৫০০–এর মধ্যে। কিন্তু ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই তালিকায়।

রিপোর্টার ক্যাটাগরিতে স্থান পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আইইউবিএটি, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউল্যাব, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

ইরাসমাস প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া ইবি শিক্ষার্থী মুস্তাকিম পিয়াস বলেন, “টাইমস হায়ারের মতো একটি আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিং শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপের সুযোগে প্রভাব ফেলে। র‍্যাংকিংয়ে স্থান না থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই আবেদন বাতিল হয় বা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হয়।”

তিনি আরও বলেন, “ইবিতে আন্তর্জাতিকীকরণের কথা বলা হলেও বাস্তব অগ্রগতি খুব সীমিত। গবেষণায় অর্থায়ন ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রশাসনকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। রিসার্চ ক্লাবগুলোকে সক্রিয় করা গেলে পরিবর্তন সম্ভব।”

উল্লেখ্য, শিক্ষার মান, শিক্ষক–শিক্ষার্থীর অনুপাত, গবেষণার মান, সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও শিল্পখাতে অবদানের ভিত্তিতে র‍্যাংকিং নির্ধারণ করেছে টিএইচই। এবারের তালিকায় বিশ্বের ৩,১১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। শীর্ষ তিনে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, এমআইটি, এবং যৌথভাবে প্রিন্সটন ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাংকিংয়ে জায়গা হয়নি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের

আপডেট সময় : ০৫:২৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাংকিং প্রকাশকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই)–এর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৬-এ স্থান পায়নি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) প্রকাশিত এই তালিকায় বাংলাদেশের মোট ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু বছর পর প্রতিষ্ঠিত হলেও তারা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি র‍্যাংকিংয়ে এবং বাকি ৯টি “রিপোর্টার” হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই ৮০০–এর ওপরে স্থান পায়নি। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, এরপর যথাক্রমে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (৮০১–১০০০ অবস্থানে)।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (প্রতিষ্ঠিত ২০০৭ সালে) অবস্থান করছে ১০০১–১২০০–এর মধ্যে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (প্রতিষ্ঠিত ১৯৯১ সালে), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৯৯), এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২০০৬) রয়েছে ১২০১–১৫০০–এর মধ্যে। কিন্তু ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই তালিকায়।

রিপোর্টার ক্যাটাগরিতে স্থান পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আইইউবিএটি, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউল্যাব, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

ইরাসমাস প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া ইবি শিক্ষার্থী মুস্তাকিম পিয়াস বলেন, “টাইমস হায়ারের মতো একটি আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিং শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপের সুযোগে প্রভাব ফেলে। র‍্যাংকিংয়ে স্থান না থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই আবেদন বাতিল হয় বা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হয়।”

তিনি আরও বলেন, “ইবিতে আন্তর্জাতিকীকরণের কথা বলা হলেও বাস্তব অগ্রগতি খুব সীমিত। গবেষণায় অর্থায়ন ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রশাসনকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। রিসার্চ ক্লাবগুলোকে সক্রিয় করা গেলে পরিবর্তন সম্ভব।”

উল্লেখ্য, শিক্ষার মান, শিক্ষক–শিক্ষার্থীর অনুপাত, গবেষণার মান, সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও শিল্পখাতে অবদানের ভিত্তিতে র‍্যাংকিং নির্ধারণ করেছে টিএইচই। এবারের তালিকায় বিশ্বের ৩,১১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। শীর্ষ তিনে রয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, এমআইটি, এবং যৌথভাবে প্রিন্সটন ও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।

এমআর/সবা