১১:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিরসরাইয়ে আগুনে পুড়েছে গেছে ১১টি বসতঘর, আহত ১

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বসতঘর পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের আব্দুল লতিফ সারেং বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
 খবর পেয়ে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।অগ্নিকাণ্ডে নুরুল কবির (৬২) নামের ওই বাড়ির এক বৃদ্ধ একজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হলো— নুরুল কবির, নুরুল ইসলাম, মো. শামীম, দিল মোহাম্মদ, জসিম উদ্দিন, মো. হোসাইন, ইসমাইল ও আব্দুর রহিম। আগুন লাগার সময় ঘর থেকে বের হতে গিয়ে নুরুল কবির আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত নুরুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কীভাবে আগুন লেগেছে কিছুই বুঝতেছিনা। আগুনে আমাদের নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, জমির কাগজপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
তারা আরো বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস সময়মতো না আসায় কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তারা।
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত আলা উদ্দিন বলেন, ‘ মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে চড়িয়ে পড়ে। এতে একে সবার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যথাসময়ে আসে নাই। তারা আগুন লাগার প্রায় ১ ঘন্টা পর আসছে। তারা যথাসময়ে আসলে অনেক জিনিসপত্র রক্ষা করা যেতো। আগুনে আমরা পথের ফকির হয়ে গেছি। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এতে আমাদের অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আহম্মেদ হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও মিরসরাই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী নুরুল আমিন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার বলেন’ “অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রদান করা হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর তালিকা করে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে তাদেরকে পরবর্তীতে সহায়তা প্রদান করা হবে।”
জনপ্রিয় সংবাদ

মিরসরাইয়ে আগুনে পুড়েছে গেছে ১১টি বসতঘর, আহত ১

আপডেট সময় : ০৬:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বসতঘর পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের আব্দুল লতিফ সারেং বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
 খবর পেয়ে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।অগ্নিকাণ্ডে নুরুল কবির (৬২) নামের ওই বাড়ির এক বৃদ্ধ একজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হলো— নুরুল কবির, নুরুল ইসলাম, মো. শামীম, দিল মোহাম্মদ, জসিম উদ্দিন, মো. হোসাইন, ইসমাইল ও আব্দুর রহিম। আগুন লাগার সময় ঘর থেকে বের হতে গিয়ে নুরুল কবির আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত নুরুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কীভাবে আগুন লেগেছে কিছুই বুঝতেছিনা। আগুনে আমাদের নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, জমির কাগজপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
তারা আরো বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস সময়মতো না আসায় কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তারা।
আরেক ক্ষতিগ্রস্ত আলা উদ্দিন বলেন, ‘ মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে চড়িয়ে পড়ে। এতে একে সবার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যথাসময়ে আসে নাই। তারা আগুন লাগার প্রায় ১ ঘন্টা পর আসছে। তারা যথাসময়ে আসলে অনেক জিনিসপত্র রক্ষা করা যেতো। আগুনে আমরা পথের ফকির হয়ে গেছি। পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এতে আমাদের অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আহম্মেদ হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও মিরসরাই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী নুরুল আমিন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমাইয়া আক্তার বলেন’ “অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রদান করা হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর তালিকা করে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে তাদেরকে পরবর্তীতে সহায়তা প্রদান করা হবে।”