০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাকৃবিতে আধুনিক ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি উন্নয়নে কর্মশালার উদ্বোধন

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শুরু হয়েছে ‘টেকসই ও উন্নত কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি ব্যবস্থার গতিশীলতা ও জলবায়ু সহনশীলতা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা জোরদারকরণ’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের উদ্বোধনী কর্মশালা।

শনিবার (১১ অক্টোবর) কৃষি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এটি হায়ার এডুকেশন একসেলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (এইচইএটি) প্রকল্পের আওতায় একাডেমিক ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (ATF)-এর সহায়তায় আয়োজিত হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), বাংলাদেশ।

প্রকল্পের আওতায় আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণাগার ও মডেল ফার্ম স্থাপন, পাঠ্যক্রম হালনাগাদ, জলবায়ু সহনশীল স্নাতকোত্তর গবেষণা জোরদার, প্রশিক্ষণ ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং চায়না অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস ও চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান। প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমান এবং এফএও বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. দিয়াঁ সানু। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক এবং এ টি এফ সচিবালয়ের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ উদ্দীন ভূঁইয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।

বাকৃবি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম বলেন, “মডার্ন ফার্মিং সিস্টেম মানে একক কৃষককে কেন্দ্র করে একটি পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন কাঠামো তৈরি করা—যেখানে ফসলের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ, মাছ, হাঁস-মুরগি সবকিছুর সমন্বয় থাকে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা একটি বাস্তবসম্মত মডেল তৈরি করেছি। এটি সফল করতে ফার্মিং সিস্টেম বিষয়ক বিশেষায়িত মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করা জরুরি, যাতে প্রশিক্ষিত গ্র্যাজুয়েটরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সেবা দিতে পারেন।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “বর্তমান প্রজন্মের যুবকরা সামাজিক পরিবর্তনের পাশাপাশি কৃষিকেও পেশা হিসেবে নিচ্ছে—এটি ইতিবাচক ইঙ্গিত। বিশ্বজুড়ে কৃষির ধরন বদলে যাচ্ছে, নতুন ফসল ও প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। আমাদেরও জলবায়ু সহনশীল ও ভবিষ্যতমুখী কৃষি ব্যবস্থার দিকে মনোযোগী হতে হবে। টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাই এখন সময়ের দাবি।”

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

মূল্যস্ফীতি এখনো ঊর্ধ্বমুখী

বাকৃবিতে আধুনিক ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি উন্নয়নে কর্মশালার উদ্বোধন

আপডেট সময় : ০৫:২২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শুরু হয়েছে ‘টেকসই ও উন্নত কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি ব্যবস্থার গতিশীলতা ও জলবায়ু সহনশীলতা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা জোরদারকরণ’ শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের উদ্বোধনী কর্মশালা।

শনিবার (১১ অক্টোবর) কৃষি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এটি হায়ার এডুকেশন একসেলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (এইচইএটি) প্রকল্পের আওতায় একাডেমিক ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (ATF)-এর সহায়তায় আয়োজিত হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), বাংলাদেশ।

প্রকল্পের আওতায় আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণাগার ও মডেল ফার্ম স্থাপন, পাঠ্যক্রম হালনাগাদ, জলবায়ু সহনশীল স্নাতকোত্তর গবেষণা জোরদার, প্রশিক্ষণ ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং চায়না অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস ও চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসান। প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমান এবং এফএও বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. দিয়াঁ সানু। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক এবং এ টি এফ সচিবালয়ের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ উদ্দীন ভূঁইয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।

বাকৃবি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম বলেন, “মডার্ন ফার্মিং সিস্টেম মানে একক কৃষককে কেন্দ্র করে একটি পূর্ণাঙ্গ উৎপাদন কাঠামো তৈরি করা—যেখানে ফসলের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ, মাছ, হাঁস-মুরগি সবকিছুর সমন্বয় থাকে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা একটি বাস্তবসম্মত মডেল তৈরি করেছি। এটি সফল করতে ফার্মিং সিস্টেম বিষয়ক বিশেষায়িত মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করা জরুরি, যাতে প্রশিক্ষিত গ্র্যাজুয়েটরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সেবা দিতে পারেন।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “বর্তমান প্রজন্মের যুবকরা সামাজিক পরিবর্তনের পাশাপাশি কৃষিকেও পেশা হিসেবে নিচ্ছে—এটি ইতিবাচক ইঙ্গিত। বিশ্বজুড়ে কৃষির ধরন বদলে যাচ্ছে, নতুন ফসল ও প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। আমাদেরও জলবায়ু সহনশীল ও ভবিষ্যতমুখী কৃষি ব্যবস্থার দিকে মনোযোগী হতে হবে। টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাই এখন সময়ের দাবি।”

এমআর/সবা